দুধের মিশ্রণে আমের জুস তৈরী।।২৩.০৮.২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় ভাল আছেন নিজের ব্যস্তার মধ্যে ও। আমি ও ভাল আছি আপনাদের সহযোগিতা আর ভালবাসায়। আসলেই যত দিন যাচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ এ ততই মুগ্ধ হচ্ছি। আমার বাংলা ব্লগ কাউকে হতাশ করেন না এটাই আমার মনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস জমে গেছে। আমার বাংলা ব্লগের এডমিন ও মডারেটর ভাই ও বোনেরা এত এত সহযোগিতা করেন সত্যি আমি অনেক খুশি। সকল এডমিন-মডারেটর ভাইয়া-আপুকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমি আজ আমার ব্লগিং শুরু করতেছি। |
---|
আমি প্রতিদিনের ন্যায় আজ ও একটি নতুন ব্লগিং নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। বন্ধুরা আজ আমি শেয়ার করবো একটি রেসিপি। আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে পাকা আমের জুস বানানো। খুব সহজে কিভাবে পাকা আমের জুস তৈরী করা হয় তা আমি আজ দেখাবো আপনাদের।
আমরা জানি আম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। এই আম আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। তার মধ্যে আমের জুস হচ্ছে অন্যতম। আমরা সবাই কম-বশি সকলেই ঘরে আমের জুস বানাতে পারি। তাই আমি ও ঝটপট একটি আমের জুস তৈরী করেছি যা এখন আপনাদের ধাপে ধাপে দেখাবো।
চলুন বন্ধুরা আমার আজকের আমের রেসিপি টা দেখেই আসি।
প্রথমে আমি উপকরণ গুলো নিয়ে দেখাবোঃ
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
আম বড় সাইজের | ১টি |
চিনি | ১ বাটির এক তৃতীয়াংশ |
গুড়া দুধ/তরল দুধ | হাফ বাটি |
বরফ খণ্ড | ৪/৫ টুকরো |
পানি | পরিমাণ মত |
সব উপকরণ নিয়েছি এবার কিভাবে তৈরী করবো তা ধাপে ধাপে দেখাবো।
ধাপ-এক
প্রথমে আমি একটা আম নিয়েছি বড় সাইজের। আম টি আমি চামড়া ফেলে দিব ভাল করে।
আমের সবুজ চামড়া ভাল করে ফেলে দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার আমি আম টাকে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি।
ধপ-দুই
আমি এখানে গুঁড়া দুধ এবং চিনি নিয়েছি। আমি বরফের টুকরা ও নিয়েছি। জুসের মধ্যে বরফ বা ঠান্ডা পানি দিলে খেতে অনেক ভাল লাগে। বিশেষ করে গরমের দিনে।
ধাপ-তিন
প্রথমে আমি ব্লেন্ডার মেশিন নিয়েছি। ব্লেন্ডারের জারে কেটে রাখা আমের টুকরো গুলো দিয়েছি এবং গুঁড়া দুধ ও চিনি দিয়ে দিয়েছি। সাথে আইস টুকরো ও দিয়ে দিছি।পরিমাণ মত পানি দিয়েছি। পানি টা আপনার উপর ডিপেন্ট করবে আপনি জুস কতটুকু ঘন বা পাতলা করবেন।
তবে আমার মতে পাতলা ও না আবার বেশি ঘন ও না, তাহলে খেতে ভাল লাগবে।
ধাপ-চার
সব উপকরণ দিয়ে দিয়েছি। উপকরণ দেওয়ার পর ব্লেন্ডারের জার এর ঢাকনা লাগায় দিবো।
ধাপ-পাঁচ
ব্লেন্ডার মেশিন একটা পজিশনে রেখে জুস ব্লেন্ড করে নিচ্ছি।
আম এবং দুধ, আইসের মিশ্রণে জুস ব্লেন্ড করা শেষ।
ধাপ-ছয়
এখন আমি খালি একটা কাঁচের গ্লাস নিয়েছি। কাঁচের গ্লাসে ২/৩ টুকরো আইস দিবো। আমি বরফের টুকরো গুলো ঢেলে দিয়েছি।
ধাপ-সাত
বরফের টুকরার উপর আস্তে আস্তে তৈরী জুস ঢেলে দিবো। আমার আমের মজাদার ঠান্ডা ঠান্ডা জুস তৈরী হয়ে গেল। এই দুধ আমের মিশ্রণ জুস সাথে আইস টুকরো ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে কিন্তু অনেক স্বাদের। তাছাড়া এই গরমের দিনে অনেক আরাম লাগে খেয়ে। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের সময় বেশি ভাল লাগে এই আমের আর দুধের মিশ্রণ জুস। আশা করি আমার আজকের আমের জুস তৈরী আপনাদের ভাল লেগেছে। কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানালে খুশি হবো।
আমার রেসিপিতে দেওয়া ছবির তথ্য সমূহ এবং বিবরণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko,T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | W-V770 |
লোকেশন | নিজ বাসা |
বন্ধুরা আমি আজ আমার ব্লগিং এখানে শেষ করে দিচ্ছি আবার দেখা হবে আরেকটি ব্লগিং নিয়ে। সেই সময় পর্যন্ত সুস্থ্য এবং ভাল থাকবেন এই কামনা রইলো।
আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
আমি বাংলায় লিখতে, পড়তে ভালবাসি।
আমি আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসি।
আমি আমার প্রাণের ভাষা বাংলাকে
অনেক অনেক ভালবাসি।
আপনার আজকের পোস্টটি বেশ সুন্দর এবং ভালো ছিলো।ডিস্কোর্ড একটিভিটি বৃদ্ধি করবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য।আমি চেষ্টা করি আপু যথাসম্ভবএকটিভ থাকার।আরো এক্টিভ বাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করবো ইনশাল্লহ
খুবই সুন্দর ভাবে পাকা আমের জুস তৈরি করেছেন।। এই গরমের সময় এরকম জুস শরীরের জন্য খুবই উপকারী।। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আপনি খুব সুন্দর করে সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টি সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
So much juice! 🍍🍉👏
thank you so much!
আমের জুস খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনি খুব সুন্দর করে দুধের মিশ্রণে আমের জুস রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে কলিজা জুড়িয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার কলিজা জুড়িয়ে গেল দেখে বুঝতে পেরেছি আমার রেসিপি করা সার্থক হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাশাআল্লাহ আপু অনেক মজাদার একটি জুস শেয়ার করেছেন। খুবই উপকারী একটি খাবার।আম আমার এমনিতেই অনেক ভালো লাগে।জুস খেতে তো বেশি ভালো লাগে।জুস বানানোর ধাপগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সহজেই উপস্থাপন করেছেন।যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে রেসিপি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি জুস তৈরি করা শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জ্বি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন,আমের জুস তৈরি করা আসলেই সহজ।ঝটপট তৈরি করা যায়।খেতে ও সুস্বাদু লাগে।আপনার জন্য শুভকামনা অনেক।
দুধের মিশ্রণে আমের জুস তৈরী দেখি তো আমার অনেক লোভ হয়ে গেল।সত্যিই অনেক ইউনিক একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে অবস্থান করেছেন।দুধের মিশ্রণে আমের জুস খেতে খুব ইচ্ছে করছে আমার। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি প্রায় সময় দুধের মিশ্রণে করি ভাইয়া।আপনিও বাসায় ট্রাই করতে পারেন ভাল লাগবে।ধন্যবাদ
এ ধরনের মিল্ক সেক খেতে খুবই ভালো লাগে। এই গরমে দুপুরবেলায় ঠান্ডা ঠান্ডা এ ধরনের মিল শেক পেলে প্রাণটাই জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ম্যাংগো জুস আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মতামতের জন্য
আপু আপনার তৈরি দুধের মিশ্রণে আমের জুস রেসিপি দেখে ভীষণ খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে প্রাণটা যখন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম ঠিক সেই মুহূর্তে এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস খেলে সত্যিই প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে। জুস তৈরীর পদ্ধতিটি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য গুলো সব সময় ইউনিক হয় ভাইয়া।খুব ভাল লাগলো ভাইয়া রেসিপি শেয়ার করা সার্থক হয়েছে।
পাকা আমের জুস দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। কারণ যে গরম গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা পাকা আমের জুস খেতে খুবই ভালো লাগে। ঠিকই বলেছেন আপনি আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। ধন্যবাদ আপনাকে সময় উপযোগী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভাল লেগেছে আপু।আপনি ঠিক বলেছেন এই গরমের দিনে জুস খেতে কে নাহি চাইবে,সবার প্রিয় দেখছি আমের জুস।
আমের জুস খেতে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু। আপনি আরো এর সাথে দুধ অ্যাড করেছেন তাহলে তো এটা খেতে আরো বেশি মজা হবে বোঝাই যাচ্ছে। তবে গরমের দিনে এরকম এক গ্লাস আমের জুস খেলে কি সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ভালো ছিল আপনার পোস্টটি ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আসলেই আমের জুস টি খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিল।বরফ দেওয়াতে ঠান্ডা ঠান্ডা বেশী ভাল লাগে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামতের জন্য