Stuffed flatbread with soya and mixed veggies! (পর্দা রুটি!)

নামকরণ নিজস্ব এমনকি আজকে যে খাবারটি রান্নার পদ্ধতি ভাগ করে নিতে চলেছি, সেটাও নিজের মগজের গবেষণা দ্বারা উৎপত্তি।

যখন হাতে সময় কম থাকে, আমার প্রথম ভাবনা যেটা আমাকে বিব্রত করে, সেটা হলো খুব কম সময়ে রাতের খাবারে জন্য কি তৈরি করা যায়।

প্রতিদিন ম্যাগীকে বিব্রত করতে করতে ওই প্যাকেটের দিকে তাকালেই, নিঃশব্দে যেনো ম্যাগী বলে, আজ আবার আমার পালা?

তাই গতকাল রাত্রে ভাবছিলাম কী করা যায়, একদিকে বেশকিছু ঘরের সাথে প্ল্যাটফর্মের কাজ করতে হচ্ছে একসাথে!

হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা যদি পর্দা বিরিয়ানি হয়, তাহলে

কেনো হবে না?

যেমন ভাবনা তেমনি কাজ, ঘরে মাল্টিগ্রেইন আটা ছিল, আর কিছু তলানিতে পড়ে থাকা সবজি!
আর কি আছে? আর কি আছে? ভাবতেই মনে হলো সয়াবিন দানা গুলোকে ব্যবহার করা যাক।

তাহলে আসুন আমার রান্না ঘরে আর দেখুন কেমন সল্প সরঞ্জামে আর সাধারণ কিছু জিনিষ দিয়ে কিভাবে তৈরি করেছিলাম

নামটা কেমন দিয়েছি, সেটা পুরো লেখাটি পড়ে জানাতে ভুলবেন না যেনো!

উপকরণ

উপাদান(এক্ জনের পরিমাণে)	পরিমাণ
1. সেদ্ধ সয়াবিন	25 টি (বড় দানার সয়াবিন)
2. গাজর	অর্ধেক (গ্রেটেড)
3. ফ্রেঞ্চ বিনস্	4 টে (মিহি করে কুচি করা)
4. মটরশুঁটি	6-7 টি(খোসা ছাড়ানো)
5. ক্যাপসিকাম	1/4(কুচি করে কাটা)
6. পেঁয়াজ	1টি (ছোটো কুচিয়ে কাটা)
7. মিশ্র মশলা(ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আদার গুঁড়ো, )	1 চা চামচ
8.মাখন	10 গ্রাম
9.আটা	দুটো রুটির পরিমাণ মতো
10. নুন	স্বাদ মত
11. সাদা তেল	দেড় চা চামচ(পুর তৈরি জন্য)
12. গরম মশলা	সামান্য পরিমাণে

এবার তৈরির পদ্ধতি ভাগ করে নেবার আগে জানাই, আমার ঘরে মোট 120 গ্রাম নিউট্রেলা কোম্পানির সয়াবিন ছিল, যার থেকে প্রয়োজনীয় দানা রুটিতে ব্যাবহার করেছি, আর বাকিটা দিয়ে নিরামিষ তরকারি করে ফেলেছিলাম।

সাধারণত, প্যাকেট কেটে ফেললে, তাতে হওয়া ঢুকে সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
এবার, যাওয়া যাক তৈরির পদ্ধতির দিকে!

---

তৈরির পদ্ধতি

• প্রথমত:- সেদ্ধ করা সোয়া দানার থেকে উপরিউক্ত পরিমাণ একটি আলাদা পাত্রে জল ঝরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম ঠান্ডা হবার জন্য।

• দ্বিতীয় ধাপে:- আটা মেখে নিয়ে (একটু নরম করে) কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম।

• তৃতীয় পর্বে:- মিক্সিতে সোয়া দানাগুলোকে দিয়ে কিমা করে নিয়েছিলাম।

• চতুর্থ ধাপে:- একটা কড়াই মাঝারি আঁচে বসিয়ে, পাত্র গরম হলে সাদা তেল দিয়ে দিতে হবে, তেল গরম হলে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে হবে, কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর সোয়া কিমা দিয়ে দিতে হবে, সাথে কেটে রাখা ফ্রেঞ্চ বিনস্, আর মটর শুটি, ক্যাপসিকাম দিয়ে দিতে হবে, সবটা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে আঁচ কমিয়ে!

• পঞ্চম পর্বে:- গাজর দিয়ে, মিশিয়ে রাখা মশলা দিয়ে, গাজর দিয়ে সঙ্গে নুন দিয়ে দিয়েছিলাম, এরপর জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করে, ঠিক নামাবার সামান্য গরম মশলা দিয়ে দিয়েছিলাম। এখানে জানিয়ে রাখি, আমার ব্যবহৃত মশলার পরিবর্তে যদি মিট মশলা বাড়িতে থাকে ব্যবহার করতে পারেন, সেটাও দুর্দান্ত ভাবে জমে যাবে!

তৈরি করা রুটির পুর একটি বাটিতে সরিয়ে রেখেছিলাম ঢাকা দিয়ে।
ঠাণ্ডা হবার পরেই পুর ব্যবহার করতে হবে।

• ষষ্ঠ ধাপে:- মেখে রাখা আটা থেকে দুটি রুটির লেচি কেটে, রুটি বেলে নিয়েছিলাম শুকনো আটা দিয়ে!

• সপ্তম অধ্যায়:- একটি রুটির উপরে চামচের সাহায্যে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া পুর ভালকরে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সমানভাবে। এরপর সামান্য হাত ভিজিয়ে রুটির বাড়তি চারিদিকে হালকা হাতে মাখিয়ে দিয়ে, আরেকটি রুটি দিয়ে পুর ঢাকা দিয়ে চারপাশ একটু চেপে আটকে দিতে হবে।

• অষ্টম ধাপে:- একটি আগে থেকে মাঝারি আঁচে বসিয়ে রাখা তাওয়াতে রুটি দুদিক থেকেই ভালো করে সেঁকে নিতে হবে, এবং যখন রুটিতে হালকা রং ধরবে, সেই মুহূর্তে মাখন দিয়ে সোনালী করে দু পিঠ ভেজে নিতে হবে।

এরপর, খাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই, চাইলে শুধু অথবা আপনাদের পছন্দের পার্শ্ব যেকোনো কিছুর সাথে খাওয়া যেতে পারে এই রুটি।

খুব সত্যি বলছি, আমার বেশ লেগেছিল, নিজে তৈরী করেছি বলে বলছি না, আপনারাও তৈরি করে জানাতে পারেন, কেমন লেগেছে।

সুস্বাদু খাবার তো বটেই, তবে এই খাবারটি স্বাস্থ্যকর ও বটে। বিশেষ করে যেসকল মানুষ সবজি দেখলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়!