ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি, নিয়ে এলাম আজ,, সাথী রান্না ঘরে চলছে,, তারি কারুকাজ।
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি
নিয়ে এলাম আজ,,
সাথী রান্না ঘরে চলছে
তারি কারুকাজ।
"সাথী রান্না ঘরে ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজির মজাদার " রেসিপি"꧂☆
☆꧁ "সাথী রান্না ঘরে" ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি রেসিপির অনুভূতি "꧂☆
ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজির রেসিপিটি রান্নার জগতে একটি সত্যিকারের সোনালি রত্ন। যখন আমি আজ এটি রান্না করলাম, তখন মনে হলো যেন একটি নতুন স্বাদের আবিষ্কার করছি। প্রথমে যখন চিচিঙ্গা কাটছিলাম, তার তাজা গন্ধেই মন প্রফুল্ল হয়ে উঠছিল।
ডিম আর চিচিঙ্গা যখন সবকিছু ভালোভাবে মিশে গেল, তখন তা গরম তেলে ফেলে ভাজতে শুরু করলাম। দেখতে দেখতে সোনালী রং ধারণ করতে লাগল। রান্নার সময় পুরো ঘর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল অসাধারণ সুগন্ধ, যা সত্যিই খুবই মধুর।
এখন, গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করার সময় এল। ভাতের সাথে এই ভাজি খেলে যেন এক স্বাদের উৎসব বয়ে আনে। প্রতিটি কামড়ে ডিমের কোমলতা আর চিচিঙ্গার মিষ্টি স্বাদ এক অসাধারণ সংমিশ্রণ তৈরি করে। এই পদটি খেয়ে মনে হলো, সঙ্গী রান্নাঘরের স্নেহের ছোঁয়া নিয়ে এসেছিল।
সত্যিই, এই রেসিপিটি আমাকে নতুন একটি অনুভূতির সঞ্চার করেছে—এটি কেবল খাবার নয়, বরং পরিবারের সাথে কাটানো সময়ের একটি চিত্র। আগামীতে আবারো এই অসাধারণ পদটি রান্না করার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকব।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার *** ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি রেসিপি***।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
চিচিঙ্গা
ডিম
শুকনো মরিচ গুড়া
পেঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
রসুন
লবণ
হলুদ
জিড়ার গুঁড়া
তেল
- প্রথমে ভালোভাবে ছিলে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ধুইয়ে নিলাম।
- প্রথমেই চুলার মধ্যে একটি করাই বসিয়ে দিয়ে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং রসুন গুলো হালকা ভাবে ভেজে নেব
- এবার অল্প পাঁচফোড়ন দিয়ে আবারো ভেজে নেব কিছুক্ষণ। তারপর মরিচ পেঁয়াজগুলো করাইয়ের এক সাইড করে নিয়ে, ডিম দিয়ে দেব।
- এবার ডিমটাকে গুরু গুরু করে নিয়ে মরিচ পেয়াজ গুলোর সাথে একটু ভেজে নেব। এবং হালকা লবণ ছিটিয়ে দেব। তারপর চিচিঙ্গা গুলো দিয়ে লবণ হলুদ এবং হালকা একটু লাল মরিচের গুড়া ও ভাজা জিরার গুড়া ছিটিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নেব।
- এবার মৃদু তাপে হালকা হালকা করে ভেজে নেব চিচিঙ্গা গুলো। তবে এই চিচিঙ্গা ভাজিতে রসুন এবং তেলের পরিমাণটা একটু বেশি দিলে দুর্দান্ত স্বাদের হয়ে থাকে। এবং মিডিয়াম তাপে একটু সময় নিয়ে এই ভাজিটা করতে হয়।
- ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে এবার নামিয়ে পরিবেশন করব গরম গরম ভাত বা রুটির সাথে।
!
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ
ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
এই রেসিপিটা দুর্দান্ত স্বাদের হয়ে থাকে একবার বাসায় ট্রাই করবেন। এর স্বাদ জিভে লেগে থাকবে আজীবন।
আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আর আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখেই ভীষণ লোভ লেগে গেল। এইভাবে ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি খেতে দারুন লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ডিম দিয়ে এই চিচিঙ্গা ভাজি খেতে সত্যিই অসাধারণ সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমিও খেতে বেশ পছন্দ করি।
মাছের তেল দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজা করেছি অনেকবার কিন্তু ডিম দিয়ে কখনও করিনি। দেখেতে তো বেশ ভালো লাগছে৷ চিচিঙ্গা ও ডিম দুটোই আমার খুব প্রিয় খাবার৷ একসাথে মেলবন্ধন কত মজাদার হয়েছিল ভাবছি৷ সাথী, যে রাঁধে সে কবিতাও লেখে৷😍😍
আপু ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি খেতে অনেক মজার। আপনার রেসিপি খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। সত্যি পরিবারের সবার সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনি তো খুব মজা রেসিপি করেছেন। ডিম এবং সেই চিচিঙ্গা দিয়ে মজার ভাজি রেসিপি করেছেন। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। আর আপু এই রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে অনেক মজা লাগে। মজার রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
রেসিপিটা সত্যি লোভনীয় এবং মজাদার হয়েছিল। গরম ভাতের সাথে যেন ইয়াম্মি লাগছিল।
আমাদের প্রিয় সাথী আপুর রান্না মানেই দারুন কিছু। আপু আপনার রান্না গুলো দেখেই তো আপনার বাসায় যেতে ইচ্ছে করে। অনেক সুন্দর করে আপনি এই রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল।
এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আজ তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। গরম ভাতের সাথে গরম ভাজি। আহ কি মজা!
গরম গরম ভাতের সাথে চিচিঙ্গা ভাজি খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। এই রেসিপিতে ডিম দিলে তো রেসিপির স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই রেসিপিটা আমাদের বাসায় প্রায়ই খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ভাজিটা খেতে এত বেশি মজা ও সুস্বাদু হয়েছিল যে, জিভে লেগে আছে এখনো। আমি ছোটবেলা থেকে এই রেসিপিটা খুব পছন্দ করতাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।