রেসিপি -৩ কালোজিরা ভর্তা || ১৯.০৬.২০২২ || @shimulakter
আসসালামু আলাইকুম , আদাব সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি ভাল আছেন । আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি । আমি আজ এমন এক রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম, যে রেসিপিটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী । আমার আজকের রেসিপি হল- কালোজিরা ভর্তা ।
কালোজিরার গুনাগুনঃ
কালোজিরা ভর্তার রেসিপি দেয়ার আগে , আমি এই কালোজিরার গুনাগুন সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই । কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয় , যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশী উপকারী । এতে আছে ফসফেট , আয়রন ও ফসফরাস । এই কালোজিরা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচায়। সব রোগের ঔষধ বলা হয় , এই কালোজিরাকে । স্মৃ্তিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগ জনিত সমস্যার আশংকা কমায় ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং মাংস পেশীর ব্যথা কমাতে অনেক বেশি উপকারী ।
কালোজিরা ভর্তা যারা না খেতে পারেন , তারা ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানিতে, এক চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে খালি পেটে ৮/১০ টা কালোজিরার দানা খেয়ে নিন , তার পর দেখতে পাবেন এর কি গুনাগুণ । এভাবে প্রতিদিন খান , তখন নিজেই আপনি এর গুনাগুণ বুঝতে পারবেন ।
অনেক ত গুনের কথা শুনলাম , আসলে এর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না । এবার আমরা আমাদের মূল রেসিপিতে চলে যাব ---
কালোজিরা ভর্তার রেসিপিঃ
এই রেসিপি করতে আমার যা যা লেগেছে , তা এক এক করে আমি তুলে ধরছি --
উপকরনঃ
১। কালোজিরা
২। তেল ( সয়াবিন অথবা সরিষার তেল )
৩। পেঁয়াজ কুচি
৪। রসুন কুচি
৫। শুকনা মরিচ ( যতটুকু ঝাল পছন্দ করেন )
৬। তেজপাতা (২/৩ টি )
৭। লবন ( পরিমান মত )
প্রস্তুত প্রণালীঃ
এই ভর্তা করার প্রণালীটি আমি ধাপে ধাপে বর্ণনা করছি ।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে কালোজিরা গুলি কড়াইতে টেলে নিতে হবে , বেশি ভাজা যাবে না তাতে তেতো লাগবে ।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এরপর এই ভেজে রাখা কালোজিরা ভাল ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে দিয়েছি সামান্য পানি দিয়ে এবং ব্লেন্ড করে নিয়েছি । এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি আর শুকনা মরিচ দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে মাখা মাখা করে নিয়েছি । বেশি পানি পানি করা যাবে না । যাদের ব্লেন্ডার নেই , তারা এক ই প্রসেসে বাটায় বেটে নিবেন ।
তৃতীয় ধাপঃ
এই ধাপে এসে আমি চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে গরম হওয়ার পর তেল, রসুন কুচি ও তেজপাতা কুচি দিয়েছি ।এরপর এতে পরিমান মত লবন দিয়ে নিয়েছি । এগুলি বাদামি রঙ হলে তাতে আমি কালোজিরা বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভুনা ভুনা করে নিয়েছি । ব্লেন্ড করার সময় যতটুকু পানি দিয়েছি , তা শুকানো পর্যন্ত নেড়েচেড়ে রান্না করতে হবে ।
চতুর্থ ধাপঃ
চতুর্থ ধাপে এসে , ভর্তাটা ঠিক খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেল। আর কেন দেরি ? এবার গরম ভাত নিয়ে খেতে শুরু করুন ।
আমি আমার এই রেসিপির সব ছবি নিজেই নিজের মোবাইলে তুলেছি । তার বর্ণনা নিচে তুলে ধরছি ।
ছবির সোর্সঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
লোকেশন | ধানমন্ডি,ঢাকা |
আমার এই রেসিপিটি কেমন লাগলো , তা জানতে হলে বাসায় অবশ্যই করে খেতে হবে । যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে , অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । আজ এ পর্যন্তই । আবার একদিন হয়ত আর কোন রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব । আপনারা সবাই ভাল থাকবেন , সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত বিদায় নিচ্ছি ।
আল্লাহ হাফেজ সবাইকে ,
শিমুল আক্তার
ধানমন্ডি, ঢাকা
কালোজিরাকে বলা হয় মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ। এই খাবারটি স্বাস্থ্যগুন এতো বেশি যে আসলে অবাক হতে হয়। আমি একসময় কালোজিরা ভর্তা খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু খেতে কিছুটা তিতা লাগায় আর পরে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি ভালো হয়েছে। তবে চেষ্টা করুন নতুন কিছু করতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার রেসিপিটি পড়ার জন্য। এই খাবারটার এত উপকারিতা, তাই খাওয়া উচিত। আমার রেসিপি ফলো করে করলে তেতো লাগবে না।
কালোজিরা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমারতো খুব পছন্দের এই ভর্তা আমার বাসায় মাঝে মাঝে তৈরি করা হয়। অনেক ভালো লাগে আমার কাছে গরম ভাত দিয়ে এটা খেতে ধন্যবাদ আপনাকে কালোজিরা ভর্তা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। সব রোগের ঔষধ এই কালোজিরা।
কালোজিরার ভর্তা এই বিষয়টাই আমি এর আগে আর কখনও শুনিনি। কালোজিরা দিয়ে ভর্তা তৈরি করা যায় আমার জানা ছিলনা। কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কালোজিরার ভর্তা আমি একদিন তৈরি করে।
হে ভাইয়া, কালোজিরা ভর্তা করা যায় । আপনি খাবেন, ভাল লাগবে । আর এর গুনও অনেক ,বলে শেষ করা যায় না ।
কালোজিরা ভর্তা আমার খেতে বেশি ভালো লাগে। এছাড়া এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যা অনেক রোগ বালাই মুক্ত করে। আপনার কালিজিরা ভর্তা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের সামনে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
কালোজিরা ভর্তা লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয় খুব মজা হয়েছিল। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে তোর লোভ লাগিয়ে দিলেন খুবই তাড়াতাড়ি প্রস্তুত করে খেতে হবে না হলে আগ্রহটা দিন দিন আরো বেড়ে যাবে
ধন্যবাদ ভাইয়া। অবশ্যই বাসায় করে খাবেন। সত্যি অনেক বেশি মজা হয়েছে।
কালোজিরা ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। তবে এভাবে কালোজিরা ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। আমার বাসায় সাধারণত কালোজিরা ভেজে নিয়ে এরপর পাটায় বেটে ভর্তা করা হয়। তবে যাই হোক আজকে আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ, রেসিপিটি পড়ার জন্য।নতুন করে একটা রেসিপি দিলাম, অবশ্যই করে খাবেন।ভাল লাগবে।
কালোজিরার ভর্তা খুবই চমৎকার হয়েছে। তবে কালোজিরার ভর্তা খেতে একটু তিতা লাগে। কিন্তু এই কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের সবারই উচিত মাঝে মাঝে কালোজিরার ভর্তা করে খাওয়া।
ধন্যবাদ আপু। এভাবে করে খাবেন, একদন তেতো লাগবে না।
কালোজিরা সত্যিই অনেক উপকারী একটি খাবার। আমার ভর্তার মধ্যে এই কালোজিরার ভর্তা সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আমার আম্মু অনেক মজা করে শিল পাটায় বেটে এটি তৈরি করে। তবে আমরা এই ভর্তায় তেজপাতা ব্যবহার করি না। খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ ।
কোরআন এবং হাদীসে আছে মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ওষুধ এই কালোজিরা। কালোজিরাতে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন আছে। কিন্তু আমি কালোজিরা খেতে পারিনা আমার কাছে তেতো লাগে এটি। যাইহোক, আপনার এই কালোজিরা ভর্তার রেসিপি টা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার রেসিপি করে খেলে, তেতো লাগবে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুবই উপকারী একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার জানামতে কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের বাসায় মাঝে মধ্যেই এটি তৈরি করা হয়। তবে তেজপাতা ব্যবহার করে না। আপনাকে ধন্যবাদ শরীরের উপকারী একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।