শীতকাল আসলেই শরীরটা অলস হয়ে যায়।কাজ কর্মেও অলসতা আসে সেই সাথে আসে নানান রোগ।কয়েকদিন বেশ অসুস্থ থাকার পরে এখন কিছুটা ভালো থাকায় ভাবলাম আপনাদের মাঝে নতুন মানে একদমি নতুন কিছু পাগলামি করি।মানে যা পারি আরকি।আঁকাআকি ছাড়া তো কোন গুণ নেই।নতুন আঙ্গিকে বাগান বিলাস আঁকাবো আজকে তবে রঙ করবো ভিন্ন কিছু দিয়ে।এমনিতেই বাগান বিলাস আমার খুব পছন্দের ফুল। এই ফুল কে ঘিরে রয়েছে নানা কবিতা,প্রেমিকার সাথে প্রেমিকের কত উপমা।এই বাগান বিলাস বেশি দেখা যায় গ্রাম -শহরের বাসা-বাড়ির গেইট এ। এত সুন্দর লাগে এই বাগান বিলাস তা বলার বাহিরে।যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন একটু মজা করি এক সাথে।আব্বু বাজার থেকে অনেক ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি এনেছিল। এই ফলের মধ্যে ছিল ড্রগন ফল যা খাওয়ার পর মুখ পার্পেল রঙ হয়ে যায় আর সবুজ সবজি তো সবুজ রঙের হয়।এই থেকেই ভাবনা আসলে বাগান বিলাস আঁকানো।
১. ড্রইং খাতা।
২. কলম।
৩.ড্রাগন ফলের টুকরা ।
৪.পালং শাক ।
৫.তুলি।
প্রথমে কলম দিয়ে খাতায় ২টি দাগ দিয়ে নিব দেয়াল বুঝাতে।
কলম দিয়েই কোট কোট করে নিব ইটের দেওয়াল বুঝাতে।
| |
এখন ইট রঙ গাঢ় করতে কলম দিয়েই রঙ করে নিব।হয়ে গেল একটা দেয়াল এটার উপরেই বাগন বিলাস আঁকাব।
এখন দেওয়ালের উপরে ডাল পালা এবং কলম দিয়ে বাগান বিলাস আঁকাব।
| |
এবার রঙ করার পালা।বাটিতে থাকা ড্রাগন ফলের রস দিয়ে রঙ করা শুরু করলাম।
সম্পূর্ণ বাগান বিলাস রঙ করাত পর পাতা রঙ করার পালা।তাই আমি আগে থেকেই পালং শাক গুলো ছেচে নিয়েছি।এই রস দিয়ে তুলির সাহায্যে পাতা রঙ করবো এখন।
পাতা ভালোভাবে রঙ করলেই রেডি। নিজ হাতে বানানো রঙ দিয়ে এরকম বাগান বিলাস আঁকাতে পেরে বেশ মজা লাগছে।সত্যি এরকম ভাবে রঙ করতে পারলে বেশ ভালোলাগে।আপনারাও এভাবে চেষ্টা করতে পারবেন।নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে আমার আনন্দ হয়।আমি চেষ্টা করি সেই আনন্দ আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবার।কত টুকু আনন্দ দিতে পেরেছি জানিনা তবে আশা করছি আপনাদের সবার আমার এক্সপেরিমেন্ট টি ভালো লাগবে।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
ধরন | আর্ট🖼️। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
আপনার এত সুন্দর আইডিয়া দেখে আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। ড্রাগন ফল আর পালং শাক দিয়ে আপনি বাগান বিলাস ফুলের সুন্দর একটা পেইন্টিং করে নিলেন। এটা দেখতে জাস্ট চমৎকার লেগেছে আমার কাছে। দেখে মনে হচ্ছে সত্যিকারের বাগান বিলাস ফুল দেয়ালের পাশে রয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করে এভাবে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
অসাধারণ আপু আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সময় নিয়ে যত্ন সহকারে ড্রাগন ফল এবং পালং শাক দিয়ে বাগানবিলাস ফুলের টপ তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আমি প্রতিনিয়ত আপনার হাতের কাজগুলো যত দেখছি ততই অবাক হয়ে যাচ্ছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটা ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
বাহ্ আপু আপনি ইউনিক একটা আর্ট শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার এ ধরনের পোস্টগুলো আমার কাছে সবসময় অনেক বেশি ভালো লাগে। আর্টের প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসাধারণ প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হলাম এমন আইডিয়া আগে কখনো দেখিনি। ড্রাগন আর পালংশাক দিয়ে সুন্দর একটি বাগান বিলাস ফুলের চিত্র অংকন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ড্রাগন ফল এবং পালং শাক এই দুটোই ন্যাচারাল কালার। এবং বাগান বিলাস ফুলের জন্য একদমই উপযুক্ত। সেই দুটোকে কাজে লাগিয়ে আপনি বেশ সুন্দর দেখতে এই ছবিটি এঁকেছেন। আপনার বুদ্ধির তারিফ করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। আপনি সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগে। নিজের তৈরি করা আর্টে রঙের ব্যবহারটা সত্যিই দারুণ হয়েছে। আসলে প্রাকৃতিক উপায়ে রঙ করার কারণে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।