Better Life With Steem || The Diary game || 6/6/2024
গতকালকে সাহেব বাসায় আসছিল রাত ২ টার সময় এসে কতক্ষণ বিশ্রাম নিলো গোসল করল। তারপর রাতের খাবার খেলো, খেতে খেতে রাত তিনটা বেজে গেল। আর ঘুমাতে গেলে তো সহজে তো ঘুম আসে না এপাশ-ওপাশ ওলট-পালট করার পরে ঘুম আসে। মনে হয় রাত সাড়ে তিনটার সময় ঘুমিয়ে পড়েছি।
তাই আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটাই লেট হয়ে গেল সাড়ে নয়টার সময় ঘুম থেকে উঠেছি, উঠে হাতমুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে দুপুরের রান্নাটাই সকালে বসিয়ে দিলাম। আর এদিকেও সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাত মুখটা ধুয়ে বাজারে গেল বাসার জন্য কিছু বাজার করতে। সাহেব বাজার থেকে আসতে আসতে আমার দুপুরের রান্না বান্না সবকিছুই হয়ে গেল। তখন সকাল ১০.৪০ মিনিট বাজে।
সে বাজার থেকে আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো, তারপর আমি তাকে গরম ভাত তরকারি খেতে দিলাম। তারপর সে করলো কি? একটা গামলায় করে সব ভাত তরকারি মেখে নিলো আর বলে, তোমরাও তো সকাল অব্দি কিছু খাওনি চলো একসাথে সবাই মিলে খাই। আজকের সকালে খাবারটা একসাথে বেশ মজা করে খেলাম। তবে দুঃখের বিষয় ছবি তুলতে পারিনি তখন ছেলে ফোন দিয়ে কার্টুন দেখছিল একবার আনারও চেষ্টা করছিলাম কান্না করে দিল।
খেয়েদেয়ে ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। সাহেব ও অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর তার কাজে বেরিয়ে পড়ল। যেহেতু আজকে দুপুরে রান্নাটা তাড়াতাড়ি করেছি তাই ভাবলাম, বাসার ভিতরে চারপাশটা এবং আনাচে কোনাচে ভালো করে ধুই মোছেনি, যেহেতু আজকে হাতে অনেক মেলা সময় আছে। আর বেশি আগ্রহ করে মুছার কারণ হলো। সামনের মাসে আমরা নতুন বাসায় উঠবো, আর আমরা এই বাসায় থেকে চলে গেলে তো আর এক ভাড়াটিয়া আসবে তখন তারা যদি দেখে বাসার ভিতর অনেক নোংরা তাহলে তারা কি ভাববে। যদিও আমি বাসা কোন সময় নোংরা করে রাখি না সবসময়ই মোছার উপরেই রাখি তারপরও ।
সবকিছু মোছা হয়ে গেলে এরপর ছেলেকে নিয়ে আমি গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দি। ওর খাওয়া শেষ হলে এরপর আমরা খেলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমিও ঘুমাতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোনভাবেই ঘুম আসছিল না, ঘুম না আসার পরে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলাম এবং ইউটিউবে ঢুকে একটা নাটক দেখলাম।
এরপর আসরের আজান দিল ফোন রেখে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে বাসার ভিতরেই সময় কাটালাম আর কিছু খুঁটি নাটি কাজ করি। তারপর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেলে ওকে সামলালাম।
কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান দিল ওযু করে নামাজ পড়লাম। এরপর ছেলেকে পড়তে বসালাম, মেয়ে পড়তে বসেনি কোন কি রেসিপি দেখেছে সেটা বানাবে। তারপর রান্না ঘরে গিয়ে নিজের ইচ্ছা মতোন করে বানাতে লাগল, আমি দারে কাছেও যায়নি আর গেলেও আমাকে পাঠিয়ে দেয়। যাক তারপর আমি পোস্ট লেখা শুরু করি।
আমার পোস্ট লেখার ভিতর ওর বানানো খাবারটি আমার সামনে নিয়ে আসে। প্রথমে দেখে কেমন জানি লাগছে তারপর খেয়ে বুঝলাম খুব ভালো হয়েছে। আর এমনিতেও ছোটরা কিছু বানিয়ে নিয়ে আসলে ভালো বলতে হয় তাহলে ওদের কাজের উৎসাহটা আরো বেড়ে যায়। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম এই নাস্তাটার নাম কি? উত্তরে বলল এই খাবারটার নাম জানিনা কিন্তু দেখে শিখেছি ।
যাই হোক মেয়ে নাস্তা বানানো খেয়ে বাকি পোস্টটুকু লিখে শেষ করলাম। এশার আজান দিলো নামাজ পড়ে নিলাম ছেলেকেও ভাত খাওয়ালাম। ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে আমরাও খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কারণ সাহেব তো রাত একটা দেড়টার সময় বাসায় আসবে আবার সেই ঘুম থেকে উঠতে হবে তাকে খাওয়াতে হবে তারপর আবার ঘুমাতে ঘুমাতে সেই দেরী হয়ে যায়।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বেগুন ভাজা খেতে আমার ভালো লাগে আমার এলার্জি থাকার কারনে বেগুন খেলে ঠোঁট চুলকায়। তারপর মাঝে মাঝে বেগুন ভাজা খাই। আজকে বাসার আনাচে-কানাচে মুছে পরিষ্কার করেছিলেন। আপনি ইউটিউবে নাটক দেখেছেন তবে আমি মাঝে মাঝে গোপাল ভাড় দেখে থাকি। গোপাল ভাড় দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
বেগুন ভাজা আমি বেশ পছন্দ করি এবং খেয়ে খেয়ে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ আমার কোন এলার্জি নাই সব ধরনের খাবারই খেতে পারি। সামনের মাসে অন্য বাসায় যাব তার জন্য এই বাসাটা ভালো করে মুছে নিলাম।
আপনি ইউটিউবে গোপাল ভার দেখেন,তার জন্য আমার এক চাচার কথা মনে পড়ে গেল কারণ , আমার সেই চাচা বলতো সব সময় গোপাল ভার দেখবে গোপাল ভার দেখলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে। থ্যাংক ইউ খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পড়ে।।।
বাহ্ আজকাল বোধহয় আপনার একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ হয়েছে, কারন আপনার মেয়ে ভালোই রান্না করতে পছন্দ করছে। আর সত্যিই বাচ্চারা কিছু তৈরি করলে, তাদের উৎসাহ দেওয়া বড়দের দায়িত্ব। ঘরবাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা সকলের জন্য জরুরি। আপনি তেমনটা করেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনার সাহেব অনেক রাতে বাসায় ফিরেছিল। এভাবে অনেক রাত জেগে থাকার পর, একবার ঘুম নষ্ট হয়ে গেলে, পরে আর ঘুম আসতে চায় না। যাইহোক দেরিতে ঘুমানোর কারণে অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছেন। পরে সকালের নাস্তা না খেয়ে একবারে দুপুরে রান্না বান্না সেরে নিয়েছেন।
আপনার সাহেব খুব ভালো একটি কাজ করেছে। শুধু নিজের চিন্তা করেনি নিজের বউ বাচ্চার চিন্তা করে একসাথেই ভাত খেয়েছে। বিষয়টি পড়ে আমারও খুব ভালো লাগলো।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আসলে আমি ঠিক সময় মতন ছেলে-মেয়েকে রাতে খাবার খেয়ে ওদেরকে নিয়ে শুয়ে পড়ি কিন্তু সেই ঘুম থেকে আবারই উঠতে হয়। একবার গভীর ঘুম হলে থ ঘুম ভাঙলে পরবর্তীতে আর ঘুম আসে না তাই প্রতিনিয়ত সেই রাত একটা দেড়টা পর্যন্ত সজাগ থাকার চেষ্টা করি।
আর হ্যাঁ সবাই মিলে একসাথে এক গামলায় ভাত খেলে মজা এবং আনন্দটাই অন্যরকম। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
আসলে একটা কথা আছে না, সময়ের কাজ সময় না হলে, খুব বড় একটা সমস্যা। সেরকম নিয়মের মধ্যে ঘুম না হলে, পরে ঘুমালে আর ঘুম ধরে না। আসলে পরিবারের সদস্য সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম।
দোয়া করি, আপনি স্বামী সন্তান সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটান।
আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসলে বাসা যতই মুছে রাখা হয় না কেন? দু এক দিন পরে কেমন যেন আবার নোংরা হয়ে যায়! যে প্রতিনিয়ত মুছে রাখতে হয়। আপনার মেয়ে দেখছি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠেছে আজকেও সে নতুন আরেকটা রেসিপি দিয়ে, নতুন একটা খাবার তৈরি করেছে। যেটা দেখতেই অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।