এমবাপ্পের গোলে ফেরা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Live Tv football channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া।
আন্তর্জাতিক বিরতি শেষ করে খেলোয়ার রা আবার তাদের ক্লাবে ফিরেছে। গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল আরেক স্প্যানিস ক্লাব লেগানেস এর সাথে। ম্যাচটা ছিল রিয়ালের অ্যাওয়ে ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের সময় টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। অনেকদিন সে কোন গোল পাচ্ছে না। তবে এই ম্যাচে সে গোলে ফিরেছে। ঠিইমতো ফিনিশ করতে পারলে এই গোলের সংখ্যা বাড়তে পারত। কার্লো আনচেলওি এই ম্যাচে ফর্মেশনে একটা চমক রেখেছিল। রিয়াল মাদ্রিদ এই ম্যাচে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলতে নামে। যেখানে ভিনিসিয়াস ছিল সেন্টার ফরোয়ার্ড রোলে এবং এমবাপ্পে লেফট উইং এ। অন্যদিকে লেগানেস এর ফর্মেশন ছিল ৩-৪-২-১।
শক্তির বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অনেক পিছিয়ে এই দলটা। যাইহোক খেলার শুরু থেকেই বেশ গুছিয়ে খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৯ মিনিটে এমবাপ্পে কে দারুণ একটা বল দেয় ভিনিসিয়াস। এমবাপ্পে দূর্দান্ত ফিনিশ করে গোল করলেও পরবর্তীতে দেখা যায় সেটা অফসাইড। অর্থাৎ প্রথম গোলটা বাতিল হয়ে যায় । এরপর আরও গুছিয়ে আক্রমণে যেতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। কিছুক্ষণ পর আর্দা গুলার অসাধারণ একটা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিবক্সে ডুকে কয়েকজন কে ড্রিবল করে গোলে শর্ট নিলে সেটা সেভ দিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। মাঝে মাঝে লেগানেস কিছু আক্রমণ তৈরি করছিল কিন্তু সেগুলো থেকে গুলো হয়নি কোন। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল খেলা।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে লেগানেস ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যায় ভিনিসিয়াস। নিজে শর্ট না নিয়ে বলটা বাড়িয়ে দেয় এমবাপ্পের দিকে। এমবাপ্পে গোল করে ০-১ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ কে। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে কিছুটা গুছিয়ে খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম দিকে খুব একটা আক্রমণে যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে ক্রমেই আক্রমণের গতি বাড়তে থাকে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। যথারীতি পরিকল্পিতভাবে ফ্রি কিক থেকে আর্দা গুলারের দেওয়া বলে দূরপাল্লার একটা শর্ট করে ভালভার্দে। এবং দেখার মতো দৃষ্টিনন্দন একটা গোল হয়ে যায়। রিয়াল মাদ্রিদ ০-২ গোলে এগিয়ে যায়।
তখনও ম্যাচের বেশ অনেক টা অংশ বাকি। একের পর এক আক্রমণ করছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রীতিমতো প্রতিপক্ষ কে তাদের ঘরের মাঠে চেপে ধরেছিল তারা। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে শর্ট নেয় ব্রাহিম দিয়াজ বলটা ডিফ্লেকটেড হয়ে গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এবং ফিরতি বলে হেড দিয়ে গোল করে জুড বেলিংহাম। এটা এই সিজেনে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বেলিংহামের দ্বিতীয় গোল। সবমিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তখন পুরোপুরি ০-৩ গোলে এগিয়ে। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি। পুরোপুরি তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। টেবিল টপার বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৪ তবে তারা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে বেশি খেলেছে এক ম্যাচ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily work proof
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপ্পে কে নিয়ে যেভাবে আশা করেছিল সেটা সে কোনভাবেই পূরণ করতে পারছে না। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি সে ভাল খেলছে কিন্তু গোল করতে পারছে না। এই ম্যাচে দেখতে শেয়ার একটা গোল করেছে।