ফিলিপ হিউজ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আপনি কী জানেন একজন ক্রিকেটার কে কেউ কখনও আউট করতে পারবে না। যতদিন ক্রিকেট থাকবে সেই ব্যাটসম্যান ৬৩* রানে নটআউট থাকবে। কথাটা অবাস্তব শোনা গেলেও সত্য। আজ সেই ঘটনাই বলব আপনাদের। ২০১৪ সালের কথা। তখন সবেমাএ ক্রিকেট দেখা শুরু করেছি। ক্রিকেটের নিয়ম গুলো জানার আগ্রহ আমার চরমে। প্রতিনিয়ত নিউজে ক্রিকেটের নিউজ দেখতাম। তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চলছে। যেখানে ৬৩ রানে ব্যাট করছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। তখন তার বয়স মাএ ২৫। ২৫ শে নভেম্বরের কথা। প্রতিপক্ষ দলের বোলার শেন অ্যাবট বোলিং এ আসে। অস্ট্রেলিয়ান বাউন্সি পিসে তার দূরন্ত গতির বল খেলতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল ব্যাটসম্যান রা।
শেন অ্যাবট এর সামনে ফিলিপ হিউজ। অ্যাবট এর একটা বাউন্সার পুল করতে যায় হিউজ। এবং সেটা ব্যাটে বলে না হয়ে সরাসরি তার মাথার নিচের অংশে আঘাত করে। হেলমেটও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। তাৎক্ষণিক মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে ফিলিপ হিউজ। জরুরি ভিওিতে মাঠে প্রবেশ করে মেডিকেল টিম। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং তাৎক্ষণিক জরুরি ভাবে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালে। টানা দুইদিন সে কোমায় ছিল। দুইদিন তার কোন জ্ঞান ছিল না। দুইদিন চিকিৎসা চলার পরে ২৭ নভেম্বর ২০১৪, ফিলিপ হিউজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।
পুরো ক্রিকেট বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া। হিউজ মারা যাওয়ার তিনদিন পর ৩০ শে নভেম্বর ছিল তার জন্মদিন। ক্রিকেট মাঠে ঘটে যায় একটা অঘটন। ঐদিন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব শোক পালন করে। প্রতিটা ক্রিকেট দল ম্যাচ শুরুর পূর্বে নীরবতা পালন করে হিউজের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ম্যাচে মাঠের মধ্যে লেখা ছিল ফিলিপ হিউজ নট আউট ৬৩*। সেই ঘটনার ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ক্রিকেট মাঠে খেলার সময় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু হয়তো হিউজের জীবন চলে যাওয়া ছিল সবচাইতে বড় ঘটনা। কী নিষ্ঠুর নিয়তি ভাবতেই অবাক লাগে। বতর্মান সময়ে ক্রিকেট অনেক আধুনিক। একজন ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু তারপরও কোন নিশ্চয়তা নেই।
ফেসবুকে হঠাৎ হিউজ এর ঘটনা টা সামনে আসলো। তক্ষণাৎ পুরো ঘটনা টা আমার মনে পড়ে গেল। ক্রিকেট মাঠেই নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছিল এক জীবন্ত কিংবদন্তি। ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর পরে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়। পরিবর্তন করা হয় হেলমেট এর গঠন। পরবর্তীতে আরও অনেক দূর্ঘটনা ঘটেছে কিন্তু প্রাণঘাতি কখনও হয়নি। ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান রা রাজ করলেও কিছু কিছু বোলার ছিল যাদের দেখে ব্যাটসম্যান রা রীতিমতো ভয় পেত। কারণ এদের গতি যেকোন ব্যাটসম্যানদের জীবন নিয়ে নিতে সক্ষম ছিল। ফিলিপ হিউজের ক্রিকেট প্রোফাইল ঘাটতে গেলে আপনি দেখবেন লেখা আছে "Philip Huge not out at 63*.
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.