ভ্রমণ :- পুরনো সুইজগেট ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করব পুরনো সুইজগেট ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কালকে দুপুর বেলা আমি পুরনো সুইজগেট ঘুরতে গেলাম। মূলত আমার ভাগিনা আমাদের বাড়িতে আসলো। এবং ভাগিনা রাসেল মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। বাগিনা বলতে আমার মামাতো বোনের ছেলে। তার মা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলো সাথে ভাগিনা রাসেল ও আসলো। এবং রাসেল শুনেছে পুরনো সুইজগেট আমাদের বাড়ি থেকে কাছে। এই কারণে সকাল থেকে বলতেছি সেই পুরনো সুইজগেট ঘুরতে যাবে। যদিও সে আমাদের এলাকা চিনে না। তাদের বাড়ি অন্য জায়গায়।
তখন আমার মামাতো বোন বলতেছে তাকে একটু পুরনো সুইজগেট নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন আমি আমার মামাতো বোনকে বলেছি ঠিক আছে দুপুরবেলা নিয়ে যাব। তবে পুরনো সুইজগেট আমাদের বাড়ি থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে। যদিও ছোট থাকতে আমরা প্রায় সময় বিকেলবেলা ঘুরতে যেতাম পুরনো সুইজগেটের দিকে। এরপর আমি আমার এক বন্ধুকে মোবাইলে কল করলাম সুইসগেট ঘুরতে যাবে নাকি।
তখন সাথে সাথে আমার বন্ধুটি ও রাজি হল। যদিও আমার বন্ধুটি আমাদের পাশের বাড়ির। সে আর আমি ভালোই বন্ধু। তবে রিস্তা আমরা কাকা ভাতিজা। এবং বন্ধুটির নাম হচ্ছে ফারুক। যদিও ফারুকের কাছে বাইক আছে। এই কারণে আমাদের জন্য একটু সুবিধা হল। তারপর আমরা তিনজন বাইক নিয়ে সুইচগেট ঘুরতে গেলাম। তবে এই নদীর মধ্যে অনেক বড় বড় পাঙকাস মাছ পাওয়া যায়। নতুন সুইজগেট ভেঙে যাওয়ার পর এই নদীতে বড় পাংকাস মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এই কারণে আমাদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেল সুইজগেট ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তবে আমরা বাইক নিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সুইচগেট পৌঁছে গেলাম। তখন আমরা দেখলাম আরো কিছু লোক নদীর ধারে ঘুরতে আসলো।
যদিও ওই সময় নদীতে জোয়ার ছিল না পানি নেই বললেই চলে। এবং সাবান্য পানি তবে কাঁদা অনেক। এবং সুইচগেট নদীটি রাস্তা থেকে অনেক নিচু। তবে বর্তমান নতুন সুইজগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের এলাকা মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। সত্যি আমার ভাগিনা টি পুরনো সুইজগেট ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়ে যায়। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে বড় বড় এই জিনিসগুলো কি। তখন আমি তাকে বলতেছি এইখানে আগে সুইজগেট ছিল। এবং সুইচগেটের অনেক জিনিস নদীতে তলিয়ে গেল। এবং কিছু অংশ এখনো ওই জায়গাতে আছে এগুলো সেই জিনিস।
এবং আমার ভাগিনা অন্যদিকে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করল। তবে আমি তাকে মানা করলাম। কারণ সুইজগেট নদীটি ভালো না অনেকে বলে। তারপর আমরা নদীর ধারও কিছুক্ষণ সময় ঘুরলাম। যদিও সুইচগেট জায়গাটি রাত্রে বেলার জন্য অনেক বিপদজনক। রাত্রে এখানে কেউ ঘুরতে গেলে তাদের থেকে হাইজ্যাক করে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তবে নদীর একদম ধারে কোন দোকানপাট নেই। নদী থেকে পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলে দোকান আছে। তবে এই নদীর এক পাশে ফেনী জেলা অন্যে পাশে কোম্পানীগঞ্জ জেলা। সত্যি নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে।
তবে বেশি ভালো লাগলো ভাগিনা রাসেল পুরনো সুইচগেটে ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আসলে মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করে এই কারণে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনা ছেলেটি। এদিকে আমার বন্ধু ফারুক আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য দেখতেছি। তবে এই নদীতে যখন জোয়ার আছে তখন নদীর পানি অনেক বেড়ে যায়। এই হচ্ছে পুরনো সুইজগেট ভাগিনা রাসেলকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1861309273940337018?t=8pVc4dUuskpHNImdm8F8Vg&s=19
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ভ্রমণ জাতীয় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে পুরনো সুইচগেটের এরিয়া ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলেন কয়েকজনের সাথে। ঠিক সে মুহূর্তের অনুভূতি তুলে ধরেছেন তাই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভাগ্নের সঙ্গে সুইচগেট দেখতে গিয়ে খুব সুন্দর আনন্দ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। জায়গাটিও খুব সুন্দর। অনেক পুরনো একটা ভাঙ্গা বাঁধ বলে মনে হচ্ছে। এমন সুন্দর নদীর ধারে ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে। আপনার ভাগ্নে অনেক আনন্দ পেয়েছে এখানে গিয়ে। পোষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষয়টি উপস্থাপনা করলেন।
ভাইয়া এ জায়গাটি আগে পুরনো সুইচগেট ছিল। সেটি এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।