ট্রাভেল: রেমাক্রি রাত্রি যাপন পর্ব-১০ // by ripon40

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • রেমাক্রি রাত্রি যাপন
  • ২৪, নভেম্বর ,২০২৪
  • রবিবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি সাঙ্গু নদী দিয়ে রেমাক্রি যাওয়ার পথে রাজা পাথরের সাক্ষাৎ শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



1000056800-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
রেমাক্রি রাত্রি যাপন
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..





তাহলে চলুন শুরু করি


জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম। যাইহোক আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে বান্দরবান ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছি।

IMG_20240120_152628-01.jpeg

IMG_20240120_161223-01.jpeg

IMG_20240120_161225-01.jpeg

IMG_20240120_161231-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
রেমাক্রি পৌছানো মুহুর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



এর আগের পর্বে আপনাদের সাথে সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় চারিপাশের দৃশ্যপটভূমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমাদের এই ছোট্ট দেশে পার্বত্য অঞ্চলে অনেকগুলো জায়গাতে ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু নদীপথে পার্বত্য অঞ্চলে কোথাও যাওয়া হয়নি। প্রথম সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় ভিন্ন এক অনুভূতির সাক্ষী হয়েছিলাম। সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান কেমন। তারা পাহাড়ি অঞ্চলে কিভাবে বসবাস করে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুযোগ সুবিধা এবং কষ্টময় মুহূর্ত গুলো কেমন সেটা ভালই উপলব্ধি করতে পেরেছি। এই নদী পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দৃশ্যমান অনেক বিষয়ই চোখে পড়েছিল। যেগুলো গত পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে যখন সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার ট্রাভেলিং ব্লগ গুলো দেখতাম অনেক ভালো লাগতো। যখন নিজে সাক্ষী হলাম সেই অনুভূতিটা একদমই আলাদা ছিল।

IMG_20240120_161346-01.jpeg

IMG_20240120_161349-01.jpeg

IMG_20240120_174707-01.jpeg

IMG_20240120_180136-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
নেটওয়ার্ক এর বাইরে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



যেহেতু আমরা নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গিয়েছিলাম ।চারিপাশের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে করতে সেই বিষয়টি মনেই ছিল না। হঠাৎ করে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি নেট নেই । যেটা আমরা আগে থেকেও জানতাম। তখন একটি বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম সেটা হল চাইলেও সহজে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারব না। যেমনটা আমরা খুব সহজেই অনেক দূরের মানুষের সাথে যোগাযোগ করি। মনে হচ্ছে আদিম যুগে ফিরে গিয়েছি। তাহলে তারা কিভাবে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সেটাই অবাক লাগছিল। সাঙ্গু নদী দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আমাদের সেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাই। যাই হোক আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেখানে একটি রাত যাপন করব। নেটওয়ার্কের বাইরে প্রত্যেকের ভিন্ন এক অনুভূতি। এমনিতে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার এত পরিমান শুরু করেছি যে একসঙ্গে বসে আড্ডা দিব সেই মুহূর্তটুকু কখনো হয় না।

IMG_20240120_212102-01.jpeg

IMG_20240120_212108-01.jpeg

IMG_20240120_212456-01.jpeg

IMG_20240120_212502-01.jpeg

IMG_20240120_212502-01-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
রাতের আড্ডাময় মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর একটি হোটেল ঠিক করি । কাঠের বাড়ি ছোট্ট ছোট্ট পাহাড়ের উপর দারুন ছিল ।আমাদের সেখানে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল ।নিজেরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বান্দরবান শহরের থেকে তেমন একটা খাওয়া দাওয়া হয়নি কারণ রান্না এতটাই খারাপ যে কেউই ভালোভাবে খেতে পারিনি। আমরা যে হোটেলে ছিলাম রেমাক্রিতে সেই মালিকের মাধ্যমে খাওয়া-দাওয়ার যে ব্যবস্থা সেটা আয়োজন করা হলো। এদিকে আমরা ফ্রেশ হয়ে সেই নদীর ধারে বসে আড্ডা দিতে থাকলাম। প্রচন্ড শীত ছিল কিছু শুকনা কাঠের খড়ি নিয়ে এসে আগুন ধরিয়ে দিলাম। বিভিন্ন ধরনের গল্প চলছে যে যেরকম পারছে মজা নিচ্ছে। নেটওয়ার্কের বাইরে থেকে এটাই সবচেয়ে ভালো আড্ডার মুহূর্ত ছিল। সেখানে গিয়ে এতটাই ভালো লেগেছে যে আরো কিছু সুন্দর মুহূর্ত যেটা পর্ব আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেমাক্রি রাত্রি যাপন
ডিভাইসRedmi note 11
ফটোগ্রাফার@ripon40
লোকেশনবান্দরবান

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

Sort:  
 5 days ago 

Screenshot_2024-11-24-15-48-21-204_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2024-11-24-15-49-15-141_com.coinmarketcap.android.jpg

Screenshot_2024-11-24-15-51-19-859_com.android.chrome.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। আপনারা রাত্রিবেলা অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। রাত্রিবেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।

 4 days ago 

সেখানে যাওয়ার পর যে বিষয়টি সব চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটা হলো ঐ এলাকার মানুষের জীবন পরিচালনার দৃশ্যপট। তবে আমাদের ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় সেখানে গিয়ে আরো বেশি মজা করতে পেরেছি কারণ ফোন নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা ছিল না। সবার চিন্তাধারা ছিল এই জায়গাটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে।