ঢাকা শহর ভ্রমণ
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।শুরুতেই একটু হাসি আনন্দের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে শুরু করলাম। ইচ্ছে হয়েছিল চিল্লায়ে বলি মামা কাজী অফিস এর দেখা পেয়েছি, কিন্তু চিল্লাইয়ে মার্কেট পাওয়া যাবে না।
Infinix Hot 11s
আমরা সকলে ভ্রমন করতে পছন্দ করি। কেউ শখ করে ভ্রমণে বের হয়। আবার কেউ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর ছেড়ে বের হয়। ঠিক তেমনি আপনারা জানেন আমি আমার আম্মার জন্য ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করেছিলাম। ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর অবস্থান করে বেশ অনেক জায়গাতে ছোটাছুটি করতে হয়েছে। ঠিক তেমনি জাহাঙ্গীরনগর থেকে ধানমন্ডি 32 পর্যন্ত বেশ অনেকবার যেতে হয়েছে আমার। তারমধ্যে এটা ছিল প্রথম ভ্রমণ। আর প্রথম ভ্রমণ বলতে বোঝায় অনেক উৎসাহ মনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা। যদিও আম্মুর জন্য মনটা খারাপ ছিল। তবে ঢাকা শহরের দৃশ্যগুলো প্রথম দেখতে পেরে কিছুটা হলেও নিজের মধ্যে স্বস্তি আনার চেষ্টা করছিলাম। শুধু অনলাইনে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে ঢাকা শহরে দেখেছি আর এটা ছিল নিজের স্বচক্ষে দেখা তাই আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল যখন পথে বের হয়ে। তাই ফ্লাইওভার থেকে যেমন ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছি ঠিক তেমনি গাড়ির মধ্যে থেকেও বেশ অনেক অনেক ফটো ধারণ করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার ছিল লোকাল বাস গুলো যখন জায়গায় জায়গায় থামছিল তখন অচেনা জায়গা গুলো সম্পর্কে একটু ভালো ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং দেখার চেষ্টা করেছিলাম।
তবে একটা জিনিস আমার তোকে বেশি পড়েছিল সেটা হচ্ছে অসংখ্য বিল্ডিং এর পাশাপাশি জায়গায় জায়গায় রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। যেগুলো গ্রামগঞ্জে এখন আর এভাবে চোখে বাধেনা। বিশেষ করে রাস্তার পাশে তো চোখে বাঁধে না কিন্তু ঢাকা শহরে এমন এমন জায়গাতে চোখে বাধলো প্রথম অবস্থায় আমার কাছে যেন কেমন কেমন লেগেছিল। এছাড়াও শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকমের দোকান। দোকানে সাইনবোর্ডে খুব সুন্দর ভাবে লিখে রাখার হয়েছে যে সকল পণ্য তারা ব্যবহার করে থাকে এছাড়াও তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা। এমনকি বিভিন্ন দালান কোটাতেও দেখলাম বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বা কোম্পানির জিনিসের বিজ্ঞাপন আর্ট করা রয়েছে।
আপনি নতুন কোথাও যদি ভ্রমণ করতে যান তাহলে অবশ্যই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা আপনার মধ্যে আসবে তবে প্রথম অবস্থায় একটু অচেনা বলে কেমনটা অনুভব হবে। কিন্তু একাধিকবার চলাচল করলে সেই বিষয়গুলো অনেকটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমার পরবর্তীতে ক্লিয়ার হলে প্রথম অবস্থায় আমার কাছে একটু ভিন্ন অনুভূতি লেগে। যাহোক দীর্ঘদিন আমি হাসান শহীদ সোহরাওয়ার্দী নামে যেই সোহরাওয়ারদী মেডিকেল হসপিটাল রয়েছে সেটার নাম জেনে আসলাম তবে এবার সৌভাগ্য হয়েছিল মেডিকেল হসপিটাল দেখার। আর এভাবেই যেন দীর্ঘ পথ ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর থেকে ঢাকা ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত একের পর এক দৃশ্য দেখেছি এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
অনেকে লেখাপড়ার জন্য এডমিশনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু ভালো ছাত্র হওয়া সত্বেও আমাদের সে ভাগ্য হয়নি পারিবারিক সমস্যার কারণে। জন্ম থেকে দেখে আসছি বাবা অসুস্থ। লেখাপড়া শেষ করলাম মায়ের অসুস্থতা। যেন বাড়ি থেকে বাইরের পথে চলা হয়ে ওঠে না। নিজের চাকরির জন্য যে বাইরে কোথাও জয়েন করব সেখানেও সমস্যা রয়েছে আমার। বা পা এর সমস্যার জন্য জুতা পরা যাবেনা। যাই হোক সেগুলা বাদ রাখলাম তবে লেখাপড়া শেষে এই মুহূর্তে উপস্থিত হতে হলো আম্মুর জন্য। তাই ঢাকা শহর প্রথম দেখায় যতদূর সম্ভব চেষ্টা করেছিলাম ক্যামেরাবন্দি করতে। আর যেদিন পথে বের হয়েছি সেদিনকেই কিছু না কিছু ফটো ধারণ করেছি ব্লগ করার জন্য। আর এভাবেই দীর্ঘ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের ফটোগুলো ধারন করেছি সুযোগ বুঝে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
X-promotion
26-11-24
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমরা কোথাও ঘুরতে গেলে অবশ্যই তা থেকে আমাদের নতুন কোন অভিজ্ঞতা জন্ম নেবে। তাই আমার কাছে ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করলে বাইরের পরিবেশের সাথে নিজেকে খারাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করি এবং সবুজে প্রকৃতি দেখতে অনেক ভালোবাসি। আপনার ঢাকা শহর ভ্রমণের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি অনেক পছন্দ করি।