গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে বেগুন ভর্তা তৈরি
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আজ শেয়ার করবো চুলার আগুনে পুড়ে বেগুন ভর্তা তৈরির রেসিপি। এই রেসিপি অনেক আগে করেছিলাম। কিন্তু শেয়ার না করাতে গ্যালারির মধ্যে জমা পড়ে রয়েছে। আজ বাসায় প্রচুর মেহমান ছিল। রান্নাবান্না করে তাদের খাইয়ে ফ্রেশ হয়ে বসতে একদম সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তারজন্য সারাদিন পোস্ট রেডি করার মতো সময় পেলাম না। এরপর ফ্রি হয়েই চিন্তা করলাম একটা পোস্ট করে নেই। কিন্তু কি পোস্ট করবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এরপর গ্যালারির একদম শেষে গিয়ে এই রেসিপি খুঁজে পেলাম।
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। তবে বেগুন ভর্তা একটু বেশিই পছন্দ করি। বিশেষ করে এভাবে আগুনে পুড়িয়ে ভর্তা করলে বেশি ভালো লাগে। কারণ এতে পোড়া পোড়া একটা ঘ্রাণ থাকে। ছোটবেলায় যখন গ্ৰামে গিয়েছিলাম তখন মা লাকড়ি দিয়ে রান্না শেষ করার পর জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে বেগুন রেখে দিত আর সেই পোড়া বেগুনের ভর্তা খেতে দারুণ সুস্বাদু ছিল। কিন্তু ঢাকায় কয়লা পাবো কোথায় তারজন্য গ্যাসের চুলায় এভাবে পুড়ে নিলাম। আপনারা যদি এভাবে বেগুন ভর্তা খেতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই পদ্ধতি দেখে তৈরি করে নিতে পারেন। এখন শীত শুরু হয়ে গিয়েছে এই সময়ে সকাল বেলা বিভিন্ন ধরনের ভর্তা গরম ভাত দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। আমি প্রায় সময় ভর্তা তৈরি করি। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বেগুন | ১টি |
পেঁয়াজ | ১টি |
শুকনো মরিচ | ঝাল অনুযায়ী |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
১ম ধাপ
প্রথমে বেগুন গ্যাসের চুলায় পুড়ে নিলাম। এরপর শুকনা মরিচ সরিষার তেলে ভেঁজে নিলাম।
২য় ধাপ
এবার পেঁয়াজ চিকন করে কেটে নিলাম। এরপর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে এরমধ্যে ভাজা মরিচ নিয়ে ঢলে নেবো।
৩য় ধাপ
এরপর বেগুনের উপরের খোসা ফেলে দিয়ে পেঁয়াজ মরিচের সাথে মাখিয়ে নেবো।
৪র্থ ধাপ
এরপর অল্প পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা মাখিয়ে নেবো। এরপর পরিবেশনের জন্য চলে যাব।
পরিবেশন
এবার একটি প্লেটে সুন্দর ভাবে ভর্তা পরিবেশন করে নিলাম। আমি যখন পোস্ট লিখছি আর ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখছিলাম তখন যেন আবারও খেতে ইচ্ছে করছিল। বেগুন ভর্তা বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। তবে আমার কাছে এভাবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনারা চাইলে একবার তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। যাই হোক আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
অনেক দিন আগের জমে থাকা রেসিপি হলেও জিভে জল আনতে সক্ষম এটা 😀
এই রেসিপি আমিও খেয়েছি তবে এটা কিন্তু দূর্দান্ত স্বাদের।
যাইহোক বেশ গুছিয়ে রেসিপি উপস্থাপন করেছেন, দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া আমিও যখন পোস্টটা লিখছিলাম তখন একদম জিভে জল চলে এসেছিল, ইচ্ছে করছিলো তখনই খেয়ে নিই। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1861409527213760901?t=vPe-TpRS8yHHBLFHALP0tA&s=19
পোড়া বেগুনের ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের সময় যদি বেগুন পুড়ে ভর্তা করা হয় তাহলে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় পুড়া বেগম ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
রেসিপিটা দেখে লোভ লেগে গেল আপু। এইভাবে বেগুন ভর্তা করলে আসলে অনেক মজাদার হয়। আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে পুড়িয়ে বেগুন ভর্তা খেতে। আমার গ্যাসের চুলা নেই। ইনডাকশনে এভাবে পুড়িয়ে সাহস পায় না। সেই জন্য আর এভাবে বেগুন পড়িয়ে মজা করে ভর্তা বানিয়ে খেতে পারি না। খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু গ্রামে গেলে এভাবে বেগুন ভর্তা তৈরি করে খেয়ে নেবেন তাহলেই হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
বাহ খুব মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু আপনি। বেগুন ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতকালে ধনে পাতা দিয়ে করলে খুবই মজার হয়। আমিও গতকালকে করেছিলাম গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে। আপনি বেশ মজার একটি বেগুন ভর্তা তৈরি করে শেয়ার করলেন। দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে এত লোভনীয়দেখাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু শীতকালে ধনেপাতা দিয়ে বেগুন ভর্তা করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ডেইলি টাস্ক রিপোর্ট
গ্যাসে আমিও মাঝেমধ্যে বেগুন পুড়ে নিই৷ তবে উনুনে পুড়লে সেই যে একটা ধোঁয়া গন্ধ হয় সেটা পাই না। বাকি সব ঠিকই থাকে।
আপনার শুকনো লঙ্কা ভেজে মাখানোটা দেখে রীতিমতো জিভে জল আসছে।
আপু উনুনের ধোঁয়ার গন্ধ গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে করলে পাওয়া যাবে না। তারপরও খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
মাটির চুলায় পোড়া বেগুন এর ভর্তার স্বাদ আসলেই মুখে লেগে থাকার মতোন। গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে নিলেও অবশ্য কিছুটা স্মোকি ভাব টা আসে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে এভাবেই করতে হয় শহুরে বাসিন্দাদের!!
হ্যাঁ শহরের বাসিন্দাদের এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
রেসিপিটা দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। বেগুন ভর্তা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে খেতে। আমরাও এইভাবে তৈরি করি। লোভনীয় এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনারাও এভাবে বেগুন ভর্তা তৈরি করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আগুনে বেগুন পুড়িয়ে শুকনা মরিচ দিয়ে ঝাল ঝাল করে ভর্তা করলে খেতে যে কতই মজা লাগে যা বলার মত না।বিশেষ করে গরম গরম ভাতের সাথে।আপনার তৈরি টকটকে কালারের বেগুন ভর্তা দেখে সত্যিই আমার খাওয়ার খুব ইচ্ছা করছে।কিন্তু কি আর করার খেতে তো আর পারবো না।
ভাইয়া খেতে ইচ্ছে করলে অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে নেবেন, আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।