আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদেরকেই তৈরি করতে হবে।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ছিল। যদিও দুই একজন দেশের হাল ধরার চেষ্টা করেছেন, তবে তাদেরকে বেশি দিন নেতৃত্বে থাকতে দেওয়া হয়নি। যার ফলে আমরা সবসময় যোগ্য নেতৃত্বের অভাব অনুভব করছি। আশা করি খুব তারাতাড়ি আমাদের দেশে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে।

আজকে আমি যোগ্য নেতা ও নেতৃত্ব নিয়ে কিছু কথা বলবো। কারন আমাদেরকে আগে যোগ্য নেতার গুনাবলি জানতে হবে। তারপরে আমরা যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে পারবো। যে কোন দেশের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব খুবই জরুরি। আমরা যদি বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকায় তাহলে দেখবো যোগ্য নেতৃত্বের কারনে তারা খুব তারাতাড়ি এগিয়ে গেছে। সবাই বলে জাপান পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে ২০/২৫ বছর এগিয়ে আছে। অথচ তাদের দেশেই কিছুদিন পরপর ভূমিকম্প হয়, ঘূর্ণিঝড় হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা জর্জরিত। তাদের দেশেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অথচ তারা সব বাঁধা পিছনে ফেলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তার কারন হলো যোগ্য নেতৃত্ব।

এখন আমি যোগ্য নেতৃত্বের কিছু গুণাবলি নিয়ে আলোচনা করবো। যোগ্য নেতা কাকে বলে? আমরা যোগ্য নেতৃত্ব কিভাবে চিনবো ? কিভাবে যোগ্য নেতা নির্বাচন করবো।

আমাদের দেশে নেতার অভাব নেই। শুধু যোগ্য নেতার বড়ই অভাব। প্রতিদিনই দেখি নতুন নতৃন নেতা হচ্ছে কিন্তু সেই নেতারা দেশের কথা,জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজের, তার দলের , তার গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করে। যায় হোক মূল আলোচনার দিকে যায়।

যোগ্য নেতার মূল বৈশিষ্ট্য কি..?

একজন যোগ্য নেতার সবচেয়ে বড় গুণ হলো তার নৈতিকতা। তিনি এমন একজন হবেন,যিনি নিজের স্বার্থ নয়,বরং জনগণের স্বার্থ আগে দেখবেন। যার কোন পিছু টান থাকবে না, যে কারো কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না।

১. নেতার মধ্যে দায়িত্ববোধ থাকবে: শুধু এসি রুমে বসে বক্তৃতা দিবে না। কাজের সময়ও মাঠে থাকবে, সামনে থাকবে, সব কিছু পর্যবেক্ষন করবে।

২. যোগ্য নেতার মধ্যে সহানুভূতি থাকবে: যেন মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারেন, এবং সেটা দুর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

৩. নেতার মধ্যে থাকবে দূরদর্শিতা: যোগ্য নেতারা বর্তামান দেশকে নিয়ে ভাবে না, বরং তারা দেশকে নিয়ে আগামী ২০/৫০ বছরের জন্য পরিকল্পনা করেন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড , জাপান এমন পরিকল্পনা করে থাকে।

৪. যোগ্য নেতার মধ্যে থাকবে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানুষিকতা: যে নিজের জনপ্রিয়তা বা ক্ষমতা হারানোর চিন্তা করবে না। যে সব সময় সাহসিকতার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।

৫. নেতা নিজেকে জনগণের সেবক মনে করবেন: নেতা নয় বরং জনগনের সেবক হয়ে সেবা করবে, এই মনোভাবই একজন যোগ্য নেতার সব থেকে বড় পরিচয়।

নেতা এমনি এমনি তৈরি হয় না, আর নেতা আকাশ থেকেও পড়ে না। নেতা আমরা বানাই। আমরাই ভোট দিয়ে, সমর্থন দিয়ে, প্রচার করে একেকজনকে নেতা বানাই। তাই যদি আমরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেয়, তাহলে আমাদেরই ভবিষ্যৎ পড়বে অযোগ্যদের হাতে। বিপদ হবে, দেশের না বরং আমাদেরই। এদেশে অন্য দেশের মানুষ বসবাস করবে না, আমরাই এদেশে থাকবো। আপনার আমার ছেলে মেয়ের এই দেশের আগামী প্রজন্ম। তাই আমাদের নেতা নির্বাচনে বুঝে শুনে মতামত দিতে হবে। আগামীতে আমাদেরকে কে শাসন করবে সেটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে।

অযোগ্য, দুর্নীতিবাজরা যেন আর দেশের ক্ষমতায় না আসতে পারে, সেজন্য আমাদেরকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ দেশটা আমার আমাদেরকেই ভালবাসতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে আমাদের এই দেশটা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। এখন সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার। সবার সাথে আমরাও এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের আগামীর সোনার বাংলাদেশ গড়তে আপনার আমার সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই মিলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।