শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-64

আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।

আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 64 তম পর্ব।।

এখন মিলাদের আয়েজন জানাযায় চলে যাবে।
তিনি নিষ্ঠুর মোটর গাড়ির তলায় পিষ্ট হয়ে তার নতুন বাড়িতেই অবশ্য ঢুকবেন, তবে তা এখানে নয়। অন্য কোনখানে, অন্য এক সংসারে।
এখানে এদেশে কেবল নয়, পৃথিবীর সবখানে টাকা কথা বলে। টাকা খরচ করালে সব হয়। সব জটিল গিট খুলে যায়, সব কঠিন মানুষের মুখে হাসি ফোটে।
যথাস্থানে যথাসময়ে ঠিকমত ডোজ দিতে পারলে ব্যাধি বশ হবেই। আইন ব্যবসায় নামার আগে মুশারফ এটা এত ভাল করে অনুধাবন করে নি। ব্যবসাটি কেবল ফাঁকি এবং বুদ্ধির কলাকৌশল, এটা সর্বাংশে সত্য নয়। ফাঁকিটা না হয় বের করলাম, যুক্তি প্রয়োগ করলাম, তাতে সহযোগ হল না হয় আইনের জ্ঞান। কিন্তু তাতেই কেল্লা ফতে হবার কথা নয়। আরো কিছু চাই। যার অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয়। কিন্তু লুকিয়ে আছে সর্বত্র, জড়িয়ে আছে সব সীমানায়। তোমাকে সেই অদৃশ্য প্রবল শক্তিটি কোথায় কোথায় আত্মগোপন করে থাকতে পারে তা বের করতে হবে এবং নিঃসঙ্কোচে তাকে মিত্রজ্ঞান করে আপন করতে হবে। চোখ কান খোলা রেখে চারদিকে নজর রাখতে হবে এবং এই মিত্রশক্তিকে সতর্ক কৌশলে ব্যবহার করতে হবে। তার নাম জ্ঞানশক্তি। নোলোজ ইজ পাওয়ার।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

ঘটনাটি ঘটছে চৌরাস্তার ভিড়ের মধ্যখানে। সবাই দেখেছে কালো চশমা পরা ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি একজন পৌঢ় ভদ্র সজ্জন মানুষ গাড়িটা বাজারের ভিতর দিয়ে টপ স্পীডে চালিয়ে একজন লোককে চাপা দিয়ে চলে গেছে। ভদ্রলোকের পাশে ছিল একজন সুন্দরী রমণী। গাড়িটা ছিল পাজেরো জীপ, প্রায় নতুন। গাড়িটা যখন এক্সিডেন্ট করে দ্রুতবেগে পালিয়ে গেল তখন হই-হই করে সবাই ভিড় জমাল রক্তাক্ত সেই মাংসপিণ্ডটির চারদিকে, যে মাংসপিণ্ডটি একটু আগেও একটি অবয়বের শৃঙ্খলায় বাঁধা ছিল, তার হাত ছিল, মাথা ছিল, পিঠ ছিল, পেট ছিল, ছিল চোখ, নাক, কান এবং তার একটা প্রজাতি ছিল। প্রজাতির সেই বিশেষ ধারকের একটা নাম পর্যন্ত ছিল।
নিমেষে সব মুছে গেছে। আর কিছু লোক ঘাতক জীপটির নাম্বার টুকে রেখেছিল। বেশ কয়েকজন, সবাই আলাদা আলাদা করে টুকে রেখেছিল এবং নাম্বারগুরো মিলিয়ে দেখা গেল গাড়ির নাম, মডেল ও নাম্বার নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

বিকাল তিনটার মধ্যে মুহুরি আশু মিয়া পান খাওয়া লাল দাঁত মেলে ফিরে এল।
পুরো দুশ' টাকা লাগেনি। দামাদামি করে কিছু কমিয়েছে। তবে গাড়িটার মালিক সাধারণ মানুষ নন। সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার ছিলেন। অবসর নিয়েছেন, এখন ব্যবসা করেন। নাম, প্রতাপ, প্রতিপত্তি সব আছে। মুশারফ ভাবনায় পড়েছিল।
এসব মানুষের সঙ্গে পারা যায় না। চারদিকে এত তাদের খুঁটি, এত তাদের স্বগোত্র-স্বজন, এত লম্বা তাদের হাত, নাম শুনে তার উৎসাহ ও উত্তাপ আধখানা হয়ে........

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.