ভালোবাসার গল্প তৃতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
ভালোবাসার গল্প তৃতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে আগে ভাবতাম সিনেমা থেকে গল্প হয় আর এখন দেখি বাস্তবতা থেকেই সিনেমা হয়। যাইহোক সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। তবে ভালোবাসার গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এমনি এক ভালোবাসার গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।আসলে গত পর্বে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আশিক ঠিক অন্তরার বিয়ের দিন এসে হাজির।এদিকে অন্তরার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন অন্য দিকে আশিক বিদেশ থেকে চলে এসেছে অন্তরার জন্য।
এখন আশিক অনেক ভালো পজিশনে আছে।আসলে আশিক যতই ভালো হোক না কেন আশিকের মনে অনেক ভয়। সে যে কাজের মেয়ের ছেলে। তবে অন্তরার আশিকের ভালোবাসা চিরন্তন। যাইহোক আশিক এসে সরাসরি অন্তরার সাথে দেখা করলো।তারপর অন্তরা আশিককে অনেক বলে তার বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললো।আসলে আশিক অন্তরাকে এক ঘন্টা সময় দিয়েছে। আশিক বলেছে সে যেভাবেই হোক বাড়ি থেকে বেরিয়ে আশিকের কাছে যাবে।তারপর অন্তরা তার মাকে সব কিছু খুলে বললো।তবে অন্তরার মা আশিকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি। কিন্তু অন্তরার বাবা বলেছে আমার কথার দাম আছে আমি মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছি।
তখন অন্তরার মা বললো মেয়ের জীবনের চেয়ে তোমার কথার দাম বেশি।এদিকে অন্তরা তার মাকে বললো আমি আশিককে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না। আশিক আমার জীবন। বাঁচতে হলে আশিকের সাথে বাঁচব।আর মরতে হলে আশিকের সাথেই মরব।এভাবে একদিন চলে গেল।আশিক কিছুতেই অন্তরার সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।এদিকে অন্তরার বাবা বিয়ের দিন একটু পিঁছিয়ে দিল। তারপর আশিক অন্তরার বাবাকে সরাসরি বললো অন্তরাকে না পেলে আমি বাঁচতে চায় না।তারপর আমি এখন স্বয়ং সম্পূর্ণ তাহলে কেন অন্তরাকে আমার হাতে তুলে দেবেন না ।
অবশেষে আশিক অন্তরার হুবু স্বামীকে সব ঘটনা বললো।আরো বললো আপনি যদি অন্তরাকে বিয়ে করেন তাহলে হয়তো অন্তরার মন কোন দিন পাবেন না।তবে আপনি একটু কষ্ট করে অন্তরার বাবাকে বলবেন যে আপনি তাকে বিয়ে করবেন। অবশেষে ছেলেটি আশিকের সকল আবদার মেনে নিল।তারপর আর অন্তরার বাবার কিছুই করার থাকলো না।অবশেষে অন্তরা ও আশিকের ভালোবাসা পূর্ণতা পেল।এখন তারা দুজন অনেক সুখে আছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1904916192701079604?t=n178GPL6q4YxdztjV6LY9A&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1904879119441023330?t=LWC9GsMCZL-irer27IZBPA&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1904590648625553672?t=fA2VmIsXzpW8g6X2Q9kBNQ&s
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্পটি খুবই অনুভূতিপূর্ণ এবং মর্মস্পর্শী। বিশেষ করে, আশিক এবং অন্তরার মধ্যে যে গভীর ভালোবাসা এবং সংগ্রাম তা অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। পাঠক হিসেবে আমি পুরো গল্পটি পড়তে পড়তে এক ধরনের আবেগ অনুভব করলাম। আপনার লেখা অত্যন্ত সাদাসিধে কিন্তু প্রভাবশালী, যা গল্পের প্রতিটি মুহূর্তকে জীবন্ত করে তোলে। শেষ পর্বটি পড়ে মনে হলো, ভালোবাসা সত্যিই অনেক শক্তিশালী হতে পারে। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।