চলনবিল ঘুরে আসার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো চলনবিল ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
আমি এ বছর কুরবানি ঈদ করেছি আমার বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে। আপুর শ্বশুর বাড়ি বগুড়া, নন্দিগ্রাম, ইউসুবপুর।আমার বোনের শ্বাশুড়ি আমার মাওয়াই মা বললেন চলো চলনবিল ঘুরে আসি।
চলনবিল অবস্থিত নাটোর রোড সিংরা।আমরা তো অনেক খুশি। আমার মাওয়াই মা উনি ঘুরতে অনেক পছন্দ করেন। বলা মাত্রই ঘুরতে যাওয়ার জন্য রেডি। তো যেই কথা সেই কাজ ঈদের আগের দিন দুপুরের খাবার শেষ করে আমরা সবাই মিলে বের হলাম বিকেল তিনটার দিকে। আমি, আমার বড় বোন , আমার আদরের ভাগ্নে, আামার বোনের শ্বাশুড়ি, মামা শ্বশুর, মামি শ্বাশুড়ি এবং তার দুই ছেলে ও মেয়ে।
সকলে মিলে চলে গেলাম চলনবিলে। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন বিলে কোনো পানি ছিলোনা।পুরো বিলে শুধু সবুজ ঘাস আর ঘাস আর বইছিল দখিনা বাতাস। তবে আমরা সেই সবুজ ঘাসেই অনেক মজা করেছি।স্মৃতি হিসেবে তুলেছি কিছু ছবি। এরপর আমরা সেখান থেকে অটোতে উঠে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম বিলে নৌকা ও সামান্য পরিমানে পানি। তবে মাঝি ছিলো না।আমরা অটো থামিয়ে নৌকায় উঠেছিলাম আমার ভাগ্নে মাঝি না পেয়ে এবং বিলে নৌকায় ঘুরতে না পেরে অনেক রাগ করে এবং কান্না করে। আমরা ওকে থামানোর জন্য ওর পছন্দের জুস কিনে দিয়েছিলাম। তবে সে খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাস অনেক সুন্দর ভাবেই উপভোগ করেছে।তার দুরন্তপনা আমরা সকালেই উপভোগ করেছি।
এরপর আমরা বাড়ি ফেরার পথে সিংরা বাজারে একটি মাজার দেখতে পাই । মাজারের চারপাশে অনেক রুপার দোকান। মাজারের থেকে রুপার দোকানের দিকে নজর ছিলো বেশি। শুনেছি এই দোকান গুলোতে অনেক সুন্দর ডিজাইনের রুপার কাজ করা হয়।চলন্তগাড়িতে থাকায় যদিও বা দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
এরপর ওখান থেকে দোহা দেখি। দোহা একটি নদী।যার উপর দিয়ে চলেগেছে নাটোর শহরে ঢোকার রাস্তা। দোহার একটি ঘটনা শুনে আমি অনেক ভয় পাই এবং অবাক হয়ে যাই। ঘটনাটি ছিলো দোহ নদীর মাঝখানে নাকি এক বুড়ি আছে,নদীতে কেউ গোসল করলে বা সাঁতার কাটলে ঐ বুড়ির যদি তাকে ভালো লাগে তাহলে সে নাকি তাকে নিয়ে যায়।এরকম অনেক ঘটনা ঘটে সেখানে। ডুবুরি খুজতে গিয়েও নাকি নিখোঁজ হয়ে যায়।হাস্যকর মনে হলেও আদায়ও সত্য কিনা তা জানা নেই।সবই লোকমুখে শোনা ।
এরপর আমরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।আসার সময় নামলো বৃষ্টি। অটোতে থাকায় কেউ সেভাবে ভেজেনি।এরপর আমরা ইউসুবপুর বাজার হয়ে বাড়ি ফিরে আসি। ফেরার পথে সবাই বলতে লেগেছিল সবাই অনেক মজা কর এবং সবার অনেক ভালো লাগে।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে নতুন বিষয় তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।আপনারাও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চলনবিল। আমার অনেক ভালো লাগেছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।আর হ্যাঁ অবশ্যই দোহা ঘুরে আসবেন।
hr>
আমি তাইয়্যেবা সরকার শ্যামা। আমি বাঙ্গালী। বাঙ্গালী হিসেবে আমি গর্ব বোধ করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। সময় পেলে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ঘুরি। আমি ছবি আঁকতে এবং নতুন কিছু তৈরি করতে ভালোবাসি। বই পড়তেও ভালো লাগে। এছাড়াও আমি অন্যের মতামতকে সম্মান করি। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পছন্দ করি। সবসময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করি এবং নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো আমার ভালো লাগে।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)