বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী ও স্বৈরাচার কায়েম
বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ২০১১ সালের ৩ জুলাই।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে
সংবিধান আইন ২০১১ (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাশ হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ২০১১ সালের ৩ জুলাই। এই সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
এছাড়া সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত আওয়ামীলীগ সকার তার স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করে। শেখ মুজিবুর রহমান এর বাকশাল ছিলো একেবারেই একনায়কতন্ত্রের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। শেখ হাসিনা তার বাবাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৯ আগস্ট এ রুল জারি করেন।