**অন্ধকারের ছায়া**
একটি নির্জন গ্রামের গল্প। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, আর মেঘের চাদরে ঢাকা আকাশ থেকে ছোট ছোট বৃষ্টি পড়ছে। গ্রামটি অন্য সব গ্রামের মতোই শান্ত ছিল, কিন্তু কিছু অজানা অন্ধকার তাকে আচ্ছন্ন করছিল।
গ্রামের কুয়োতে প্রথম লাশটি পাওয়া যায়। মেয়ে ছিল মাত্র দশ বছরের, তার হাত-পা ভাঙ্গা এবং মুখটি বিকৃত। কেউ জানত না কীভাবে এই ঘটেছে। লোকেরা ভাবল, হয়তো কোনো বন্য প্রাণী তাকে আক্রমণ করেছে। কিন্তু পরের দিন আরও এক শিশুর লাশ পাওয়া গেল। এবার একটি ছেলে। তার শরীরের চামড়া ছিল ছেঁড়া এবং মাথার পেছনে গভীর ক্ষত। গ্রামের মানুষ ভয়ে কাঁপছিল। কেউ রাতের বেলা ঘরের বাইরে যেতে সাহস করছিল না।
গ্রামের বড়ো বুড়ো লোকজন বলল, “এই অন্ধকার এসেছে বহু বছর আগের একটি পাপের শাস্তি হিসেবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা একবার কোনো ভয়ানক ভুল করেছিল।”
কিছু লোক এই গল্প বিশ্বাস করল না। কিন্তু যেদিন এক পরিবারের সব সদস্য একসাথে অদ্ভুতভাবে মারা গেল, সেই দিন থেকেই সবাই আতঙ্কে ভুগতে লাগল। প্রতিটি মৃত্যুই ছিল ভয়ঙ্করভাবে অস্বাভাবিক, যেন কোনো অদৃশ্য শক্তি তাদের পেছনে লেগে আছে।
রাতের আঁধারে, বাতাস যখন নিস্তব্ধ, তখন গ্রামের এক যুবক, রতন, সিদ্ধান্ত নেয় রহস্যটা সমাধান করবে। সে এক রাতে কুয়োর পাশে দাঁড়িয়ে শুনতে পেল কিসের একটা অদ্ভুত আওয়াজ—মনে হলো কারও কান্না। সে আলো নিয়ে কুয়োর দিকে এগিয়ে গেল।
কুয়োর ভেতর থেকে ভেসে আসা শীতল বাতাস তার শিরদাঁড়ায় ঠান্ডা অনুভূতি সৃষ্টি করল। হঠাৎ করে একটি হাত, রক্তে ভেজা ও পচা, উঠে এল কুয়োর ভেতর থেকে! সে দেখল, এক ভয়ানক মেয়ে, যার চোখগুলো গহ্বরের মতো কালো, আর মুখটি বিকৃতভাবে হাসছে।
রতন চিৎকার করে পেছন দিকে দৌড়াতে শুরু করল, কিন্তু তার পা পিচ্ছিল হয়ে গেল। মেয়েটি তার দিকে এগিয়ে এল, তার দীর্ঘ হাতগুলো দিয়ে রতনের গলা চেপে ধরল। রতন বুঝতে পারল না কীভাবে বাঁচতে হবে, তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ, মেয়েটির বিকৃত কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “তোমরা সবাই মারা যাবে... তোমাদের রক্ত আমার শাস্তি!”
গ্রামটি পরদিন সকালে আর শান্ত ছিল না। গ্রামের সব বাড়িতে কেউ না কেউ মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। প্রতিটি মৃত্যুই ছিল অস্বাভাবিক এবং অত্যন্ত নির্মমভাবে। আর সেই কুয়ো, যা গ্রামের প্রাণ ছিল, এখন রক্তের পিচ্ছিলতায় ভরা।
কেউ আর বাঁচল না, কেউ বুঝতে পারল না কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সেই অন্ধকার এখনো গ্রামটিতে রয়েছে, তার পিশাচের মতো হাত নিয়ে অপেক্ষা করছে নতুন শিকারদের জন্য।
ভয়াবহ শয়তানের ঘটনা! 🎃👻
"আজ, গ্রামটির কথা বলা হচ্ছে। এখানেই সব শুরু হয়েছিল।
আদি, গ্রামটির তাত্কালিক শাসনকর্তা। যখন তিনি অজুহাত হওয়ার পর, তার একটি উচ্চশিক্ষিত ছেলে দিখি সেই অঞ্চলে। তিনি, একজন পুণ্যবান মানুষ যিনি তার দেশকে সর্বোচ্চ শালীন্যে নিয়ে আসতে ইচ্ছুক, উমর খান শাহ।
"আরে, তুমি জানো তো এই গল্পটা কেবল শুরু। আসল ভয় তো এখন সামনে আসতে চলেছে... যে গভীর অন্ধকারে লুকিয়ে আছে, তার চোখ এখন তোমার দিকে। সাবধান থেকো, কারণ কিছু গল্প কখনও শেষ হয় না... সে তোমার অপেক্ষায় আছে।"
The fear for the test bot is over?