আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

দেখ, ও কথাগুলো একটু রয়ে-সয়ে বলো তোমরা।' গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। তারপর আরো জোর করে বলে চলে, 'তোমাদের মনে যা খুশি থাক। কিন্তু আমার কথা ভেবো একবার। আমি বুড়ো মানুষ। আমার দুঃখের মধ্যে ঐটুকুই তো ভরসা। ভগবানকে তোমরা আমার কাছে থেকে কেড়ে নিলে কোথায় দাঁড়াব আমি, বল তো?'

মা'র চোখে জল উথলে ওঠে। বাসন ধুতে ধুতে আঙুলগুলো থরথর করে কাঁপে।

'মা, তুমি আমাদের কথা বুঝতে পারোনি,' সস্নেহে শান্তকণ্ঠে পাভেল বলে। রীবিন তার মন্থর গভীর স্বরে বলে, 'কিছু মনে করো না, মা।' একটু হেসে পাভেলের দিকে চায়। 'আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, তোমার এ বুড়ো বয়সে ঐ বাতিকটুকু বাদ দেওয়া চলে না...'

রীবিন টেবিল চাপড়ে চিৎকার করে ওঠে, 'হক কথা! ভগবানকেও বদলে দিয়েছে! হাতের কাছে যা পায় তাই দিয়ে আমাদের মারে। মনে রেখো মা, ভগবান তো মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন নিজের মূর্তির আদলে, তাই না? তাহলে দাঁড়াচ্ছে এই: মানুষ যখন ভগবানের মতো, তিনিও তাহলে মানুষের মতো। কিন্তু সে মিল আর কোথায়? বুনো জানোয়ারের সঙ্গেই তো দেখছি আমাদের আদল বেশি। গির্জাগুলোর বেদিতে আমাদের ভয় দেখানোর জন্য কাকতাড়ুয়া রেখে দিয়েছে! সুতরাং এই ভগবানকে আমাদের পাল্টে নিতে হবে। ঘষেমেজে সাফ

করে নিতে হবে। তাঁকে মিথ্যের পোশাক পরিয়ে রেখেছে ও ব্যাটারা। আমাদের আত্মাকে হত্যা করার জন্য তাঁকেও তারা অমন বিকৃত করে ছেড়েছে।' কথাগুলো অত্যন্ত ধীরে নরম করেই বলছিল রীবিন।

মাথা নেড়ে অসম্মতি জানিয়ে বলে, 'না না, আমি চলে যাই, তারপর তোমরা যা-খুশি বলো। এসব কথা শুনবার মতো শক্তি আমার নেই।'

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@dreamlife10
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

মা তাড়াতাড়ি চলে গেল রান্নাঘরে। রীবিন বলে পাভেলকে:

'বুঝলে, পাভেল, এসব মগজের কম্ম নয় খালি। কলজে চাই, কলজে। মানুষের আত্মাটার মধ্যে কলজের একটাখাস তালুক আছে সেখানে ওই একটি জিনিস ছাড়া আর কিছু গজায় না...'

পাভেল দৃঢ়কণ্ঠে বলে, 'মানুষের যুক্তিই তাকে মুক্তি দেবে।'

'না হে না, রীবিন বলে উচ্চকণ্ঠে, জোর দিয়ে, 'যুক্তি তাকৎ জোগায় না। তাকৎ, আসে কলজে থেকে,মগজ থেকে নয়।'

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।