পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে মানুষের মৃত্যু কেন হবে.......................................

in #blog2 years ago

বন্ধুরা কেমন আছেন?

আশা করি ভালো এবং সু্স্থ্য আছেন। পৃথিবীতে দিন দিন তাপমাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে আমরা নিজেরাই। তাই আমাদের দ্রুত সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মৃত্যু হয় বাড়তে পারে ৬০%। কিন্তু কেন? জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ। অনেক দেশে গেল কয়েক দশকের মধ্যে এবার রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা। এর মধ্যে এক আতঙ্ক উঠার খবর দিয়েছেন একদল গবেষক। তাদের দাবি রাতের অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ মৃত্যু হার বাড়তে পারে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। গবেষকদের দাবি তাপমাত্রার পরিবর্তন মানুষের ঘুমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার ফলে হূদরোগ, মানসিক অস্থিরতা, অশান্তি সহ নানা ধরনের রোগ বাড়তে পারে। আর এই রোগব্যাধি মানুষকে আরো বেশি ঠেলে দিবে মৃত্যুর দিকে।

temp.jpg

source

২০৯০ সালের মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের ২৮ টি শহরের রাতের তাপমাত্রা ঘরে ৬৮.৭২ ফারেনহাইট থেকে দ্বিগুন হয়ে ১০৩.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে গবেষণায়। চীনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণার অন্যতম লেখক ডঃ হাইরংকান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব এর ফরে যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মানুষকে এর সাথে মানিয়ে নিতে হবে। আর আমাদের উচিত এ মানিয়ে নিতে বা এই অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে এমন কার্যকর উপায় তৈরি করা। এক্ষেত্রে ডাঃ কান মনে করেন, ভবিষ্যতে দাবদাহের সতর্ক ব্যবস্থা তৈরি সময় রাতের বেলার উত্তাপের বিষয়টি অবশ্যই বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।

বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের অতিরিক্ত ব্যয় বহনের সক্ষমতা নিয়ে। গবেষকরা মনে করেন রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে না। তবে গবেষকরা এশিয়া অঞ্চলের বাকি অংশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এই গবেষণার ফলাফল আপাতত প্রয়োগ না করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কারণ তারা এখনও এ সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী তথ্য বিশ্লেষণ করেননি। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক গবেষনাটি পরিচালনা করেছেন।

আমাদের সাথে থাকুন

নতুন সব তথ্য জানুন

ধন্যবাদ