নবীন বরণ ২০২৪ আয়োজন করে তিতুমীর কলেজ শাখার ইসলামী ছাত্রশিবির।।
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ সালে তিতুমীর কলেজের ইসলামী ছাত্রশিবির শাখা নবীন ছাত্রদের নিয়ে একটি নবীন বরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন বরণ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ ছিল। শিক্ষা সফর, ক্যারিয়ার গাইড লাইন, গিফট, টি-শার্ট সহ নানা উপহার।
সকাল বেলা মহাখালী আমতলী থেকে আমরা বাসে ওঠার জন্য অবস্থান নেই। যখন বাসে ওঠার জন্য অবস্থা নিচ্ছিলাম, তখন হাসিনার আমলে মিছিল গুলোর কথা মনে পড়ছিল। ঠিক এভাবে এসে সময়মতো সবাই জড়ো হতাম। এবং নির্দিষ্ট সময় আমরা মিছিল নিয়ে বের হতাম। সময়মতো গাড়ি চলে আসে।
গাড়িতে করে প্রথমে আমরা একটি কমিউনিটি সেন্টারে যায়। সেখানে আমাদের নবীনবরণ করা হয়। রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুলের মাধ্যমে আমাদেরকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এরপর আমাদের আগামীর পথচলা কি রকম হবে, সমাজে আমাদেরকে কি রকম ভূমিকা পালন করতে হবে, সেই সকল বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয় দায়িত্বশীল ভাইয়েরা। উক্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভাই। ভাইয়ের কথাগুলো খুবই গঠনমূলক ছিল। যা আমাদের পরবর্তী পথচলা কে আরো সহজ করে তুলবে।
আলোচনা শেষে ভাই আমাদের প্রশ্ন করার সুযোগ করে দেয়। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ও ছাত্রশিবির সম্পর্কে কোন ধারণা থাকলে সে সকল বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ আসে। আমিও ভাইদের কে একটি প্রশ্ন করি। আমার প্রশ্নের মূল কথা ছিল, আমাদের দেশে এতগুলো ইসলামী দল থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা ইসলামী দলগুলো ক্ষমতা যেতে পারছি না। ভাই প্রশ্নের উত্তরটি খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেয়।
এরপর আমাদের জোহরের নামাজের সময় চলে আসে। আমরা সবাই জামাতের সাথে জোহরের নামাজ আদায় করি। আর এখানকার মসজিদটি খুবই সুন্দর ছিল।
সর্বোপরি এই কমিউনিটি সেন্টারটি অনেক সুন্দর জাঁকজমক ভাবে সাজানো ছিল। এখানে আমরা একটি মডেল শহরের চিত্র দেখতে পাই। যেটি দেখে মনে হচ্ছিল যদি আমাদের শহরটা এরকম হয় তাহলে কতই না সুন্দর হবে।
এখানকার অনুষ্ঠান শেষে আমরা শিক্ষা সফরের জন্য বের হয়ে পড়ি। আমাদের গন্তব্যস্থল ছিল জাতীয় উদ্যান। আমরা সেখানে যাই এবং দুপুরে খাওয়ার জন্য আমরা সবাই গোল হয়ে বসে পড়ি।
আমাদের দুপুরে খাবারটি ছিল খুবই চমৎকার একটি খাবার। আমাদের সবাইকে দেওয়া হয় মোরগ পোলাও সাথে ছিল ডিম। এছাড়াও সালাতের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। আর সবার জন্য ছিল একটি করে কমল পানীয় মৌজ।তৃপ্তি সহকারে আমরা সবাই খাবার খায়। খাবার খেয়ে সবাই অনেক খুশি হয়।
এরপর আমরা আসরের নামাজ পড়ে ঘুরতে বের হয়ে পড়ি। আমরা একটি টাওয়ারের উপর উঠি এবং সেখান থেকে যতদূর চোখ যাচ্ছিল ততদূর শুধু গাছ আর গাছ দেখতে পাচ্ছিলাম।
জাতীয় উদ্যান যেহেতু এটি । এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ছিল। বলতে গেলে এখানে আসার পর মনে হচ্ছিল নিজেকে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে ফেলেছি। বাগানের বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে যাচ্ছিল আমাদেরকে প্রকৃতির মাঝে। বিকেলের দিকে বাগান থেকে ভেসে আসছিল পাখিদের বিভিন্ন ডাক।
আমার কাছে একটি দৃশ্য খুবই ভালো লাগে সেটেছিল বাগানের মাঝে একটি সুন্দর রাস্তা। দুই পাশে ছেয়ে আছে রাস্তাটা পুরাই। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এ ধরনের কার্যকলাপ খুবই সুন্দর হয়। যারা প্রথমবার মতন আমাদের সাথে গিয়েছিল তারা সবাই সন্তুষ্ট। তারা মানুষের মাঝে রাজনীতির চেতনা ছড়িয়ে দিতে চায় না। তারা তাদের আইডলজির মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের পথে আনতে চায়। আপনারা সকলে দোয়া করবেন, জীবনের শেষ পর্যন্ত যেন আমি এই কাফেলার সাথে থাকতে পারি।