জুলাই বিপ্লব ২০২৪ নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যালিগ্রাফি।।প্রথম পর্ব।।
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কে বলা হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই বিজয় পথটি কখনো সহজে ছিল না, হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি।
হাজারো ছাত্র জনতা লাশ পড়েছিল রাস্তার মাঝে। ঘাতকাস থাবার সামনে বুক পেতে গেছিল আবু ছাইদের মতন সাহসী ছেলেরা। আর এ সকল সাহসী ছেলেদের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। তাদের নিয়েই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেওয়ালে এক কিলোগ্রাফির মাধ্যমে তাদের স্মৃতির সবার সামনে ফুটিয়ে তুলে। এ সকল শহীদদের আত্মত্যাগ এদেশের মানুষ কখনোই ভুলতে পারবেনা।
প্রথম ছবি।
এই ছবিটি শহীদ আবু সাঈদের পুলিশের গুলির সামনে নিজেই বুক পেতে গিয়েছিল , তার কথায় ছিল বাঁচলে বাঁচবো বাচার মতন , কারো দালালি করে বাঁচতে চাই না। অন্যায়ের সাথে আপোষ করে বাঁচতে চাই না। তার জীবন দেওয়ার মাধ্যমেই ছাত্র-জনতা আরও জাগ্রত হয়ে ওঠে। তাকে এভাবে গুলি করে হত্যা করাটা এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষ কখনোই এটাকে মেনে নিতে পারে না। যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সরকার পতনের অন্যতম আন্দোলন।
দ্বিতীয় ছবি।।
শহীদ ফয়সাল আহমেদ। ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে তাকে নিশংসভাবে আহত করে আওয়ামী লীগের দোসরা। আন্দোলনের একদল ছাত্র-জনতা তাকে নিয়ে যায় হসপিটালে, মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে সে বলে আমি সুস্থ আছি। তার এই বীরত্বকথা মনের সাহস আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে।
তৃতীয় ছবি।।
খুনি হাসিনার কথামতো এদেশের প্রশাসন যেভাবে এদেশের মানুষের মুখের ভাষাকে কেড়ে নিয়েছিল তারই প্রতিচ্ছবি ঘটে তোলে এই ছবির মাধ্যমে। এদেশের প্রশাসন ছাত্র-জনতা থেকে শুরু করে সাধারণ ছাত্রদের মুখ চেপে ধরে রেখেছিল, তাদেরকে কোন কিছু বলতে দিত না। এরপরও ছাত্র জনতার শক্তিকে তারা আটকে রাখতে পারেনি।
আজকের পর্ব এ পর্যন্তই, আবারও দেখা হবে আগামী পর্বে, সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।