আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় কল্যাণ ও সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো ঈমান। পৃথিবীর সকল ধর্মই বলে, সবকিছু এ পৃথিবীতে রেখে যেতে হবে। মৃত্যুর পর মানুষের সঙ্গী হবে শুধু ঈমান। আর সেই ব্যক্তিকে ঈমানদার বলা হয়, যে হকদারের হক পরিশোধ করে দেয়। যে অন্যের হক অস্বীকার করে মেরে খায়, তাকে বলা হয় জালেম। মানুষের উপর সবচেয়ে বড় হক হলো, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার মানুষের কাছে তাঁর পাওনা বা হক। তিনি সকল মানুষের সৃষ্টিকর্তা, জীবন ও মৃত্যুর মালিক তিনিই। সবার পালনকর্তা একমাত্র তিনিই। মানুষের কর্তব্য হলো কেবল তাঁরই ইবাদত করা। জয়-পরাজয়, কল্যাণ-অকল্যাণ, ইজ্জত-সম্মান, মান-অপমানের তিনিই মালিক। এ জীবন তাঁরই দান। তাই তাঁর সন্তুষ্টি ও আনুগত্যর মধ্যেই জীবন যাপন করতে হবে। জীবনের সকল ধাপে তাঁকেই মেনে চলতে হবে। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি এবিশ্বাস ও আত্মসমর্পণের নামই ঈমান। একমাত্র তাঁকে মানা ছাড়া, তাঁর আনুগত্য ছাড়া কোনো মানুষ ঈমানদার হতে পারে না; বরং তাকে বলা হবে বেঈমান।

মালিকের সবচেয়ে বড় হক মেরে লোকদের কাছে ঈমানদারি দেখানোর বা ঈমানদার হওয়ার চেষ্টা প্রসঙ্গে বলা যায়, এক ডাকাত বহু ডাকাতি করে ধনী হওয়ার পর দোকানে এসে দোকানদারকে বলছে, হিসাবের ভুলে একটা টাকা আমার কাছে বেশি চলে গেছে। সেটি আপনাকে ফেরত দিতে এসেছি। বহু ডাকাতি করে ধনী হওয়ার পর দোকানদারের এক টাকা ফিরিয়ে দেয়া যেমন, স্বীয় মালিকের আদেশ অমান্য করে অন্যের আজ্ঞাবাহী হওয়া আপন মালিককে বাদ দিয়ে অন্য কারো ইবাদত করা, তার চেয়েও বহুগুণ বড় বেঈমানি।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

ঈমানের দাবি হলো, মানুষ কেবল এক অদ্বিতীয় মালিক ও মনিব আল্লাহ তাআলাকেই মেনে চলবে। শুধু তাঁরই ইবাদত করবে। জীবনের প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি ক্ষণে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবে। তাঁর দেয়া জীবন তাঁরই মর্জির অধীনে পরিচালিত করবে। জীবনভর এই আনুগত্য ও আত্মসমর্পণই দ্বীন। পক্ষান্তরে তার বিধানাবলি উপেক্ষা করে জীবন যাপন করাই বেদ্বীনি, ধর্মহীনতা।

আল্লাহ হাফেজ।