আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

আজ আমি আপনাদের কাছে সফেদা গাছের বিবরণ তুলে ধরবো

বাংলাদেশে মিষ্টি জাতীয় যত ফল আছে সফেদা তার মধ্যে অন্যতম একটি ফল। এটি যেমন পুষ্টিগণের সমৃদ্ধ তেমনি মিষ্টি হয়ে থাকে।এটি খুবই সুস্বাদু একটি ফল। এই ফলকে যে কোন ফলের সাথেই তুলনা করা যায়।বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া সফেদা উৎপাদনের জন্য উপযোগী। ফলে দেশে সর্বত্রে সফেদা পাওয়া যায়। তবে খুলনা বরিশাল চট্টগ্রাম অঞ্চলে সফেদা বেশি জন্মায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতের সফেদা ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে দুইটি জাত খুবই পরিচিত একটি হলো ছোট জাতের সফেদা অন্যটি হলো বড় জাতের সফেদা। অর্থনৈতিক দিক থেকে বড় জাতের সফেদায় লাভবান হওয়া যায়। অন্যদিকে ছোট জাতের সফেদা খেতে অতুলনীয় সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই গাছ একবার লাগালে সারা বছর ফলন পাওয়া যায়। সফেদা গাছ সাধারণত ৩২-৩৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এই ফল পাকার আগ মুহূর্তে গাছ থেকে পেড়ে আনতে হয়, তবে তবে এই ফল গাছে পাকলে তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। সফেদা ফলের সব থেকে বড় শত্রু হলো কাঠবিড়াল ও বাদুর। কারণ তারা বেশিরভাগ পাকা ফলই খেয়ে ফেলে।।

সফেদা গাছের চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে কলম পদ্ধতি সব থেকে ভালো হয়ে থাকে। আবার ব্রিজ থেকে গাছ হয়ে থাকে, তবে সেই কাছে ফল আসার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আর কলমের চারায় তাড়াতাড়ি ফলন আসে । এ গাছ গরম সহ্য করতে পারে বলে বেশি শেষ বা পানি দেওয়া লাগেনা। অতিরিক্ত গরম পরল এই গাছ বেঁচে যায়।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাড়িতে

সফেদা ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। সফেদা ফলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া রয়েছে।এছাড়াও এই ফল দিয়ে জ্যাম-জেলি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।প্রতিটে বাড়িতে একটি করে সেফেদা গাছ থাকলে পরিবারের ফলের চাহিদার একটি বিরাট অংশ পূরণ করা সম্ভব।

ধন্যবাদ