এ কেমন ছুটির দিন
নমস্কার সবাইকে, আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। গতকাল ছিল শুক্রবার, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। বাইরের কাজের ছুটি থাকলেও শুক্রবার দিনটি আসলে বাড়ির কাজ যেন শেষ হতে চায় না। তড়িঘড়ি করে বাড়ির কাজ গুলো সেরে বাইরে একটু ঘুরতে যাওয়া চাইই চাই। আর তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ছোটখাটো একটি চড়ুইভাতি করলে কেমন হয়, যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সবাই মিলেমিশে কোন কিছু করার আনন্দ টাই অন্যরকম। খুশি যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাড়ির বড়রা থেকে ছোটরা কারোরই চড়ুইভাতিতে না নেই। কিন্তু আগের দিনের সেই আমেজটা যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। এখনকার দিনের চড়ুইভাতিতে বাজার আনা হয় দোকান থেকে, কিন্তু আমাদের ছেলেবেলায় বেশিরভাগ খাবারের আয়োজনটা হত ঘর থেকে। কেউ আনত চাল কেউবা ডাল, কারো বাড়ি থেকে আবার একটু নুন একটু হলুদ এভাবেই আয়োজন টা হতো। তখন হয়তো খাবারের পদ কি ছিল সেটা বেশি জরুরী ছিল না। সামান্য ডিমের ঝোল ভাত যেন ছিল অমৃত। যাই হোক ফিরে আসি গতকালের চড়ুইভাতিতে। আমাদের মেনু অবশ্য ছিল কষা খাসির মাংস, বেগুন ভাজা, শসা টমেটো গাজর আর ধনিয়া পাতা দিয়ে সালাদ,আর গরম গরম ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাত। বাঙ্গালীদের আবার শেষপাতে একটু মিষ্টিমুখ না হলে চলে না। তাই সেই সাধ পূরণ করতে ছিল মিষ্টি দই। বড়রা এদিকে রান্নার আয়োজন শুরু করলে ছোটরাও বায়না ধরল ওরাও রান্না করবে,তাই ওদের, ও কেউ কাজে লাগিয়ে দিলাম। সবাই মিলেমিশে কাজ করলে কাজগুলো যেমন তাড়াতাড়ি হয় তেমনি আনন্দ লাগে। চড়ুইভাতিতে আনন্দঘন মুহূর্তে সবাই মিলে হাসি ঠাট্টায় মুঠো ফোন থেকে যেন অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম, আর তাইতো সবাই মিলে ছবি তোলা হয়নি। যাই হোক সবমিলিয়ে কালকের দিনটা বেশ ভালোই কাটলো। আশা রাখি আপনাদেরও ভালোই কেটেছে।