ক্ষেতে বসে আখ খাওয়া
প্রত্যেক বছর শীতকালে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসলে আমাদের বাড়িটা ঠিক গ্রামের ভেতরে নয় একটা মফস্বল শহরে। কিন্তু গ্রাম থেকে খুব কাছেই। তাই গ্রাম এবং শহর উভয়েরই ছোঁয়া পাওয়া যায়। তা গ্রামের মাঠে আমাদের বেশ কিছু জায়গা আছে। সেখানে আমার বাবা চাচারা বিভিন্ন ধরনের সিজনাল চাষাবাদ করে থাকেন। এ বছর আমার ছোট চাচা অনেক জায়গা জুড়ে আখের চাষ করেছেন। তো গতদিন গিয়েছিলাম কাকার আখের জমিতে।
জমিতে গিয়ে দেখি আখ কাটছে। বেশ অনেকজন শ্রমিক নিয়ে কাকা ওখানে আখ কাটতেছেন। ঐগুলো কেটে গাড়ির মাধ্যমে আগ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ওজন দিয়ে সেগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ অনুসারে আখের দাম সরকারি মাধ্যমে নিয়ে নিবেন।
যাই হোক, আগের দিন রাত্রে ঠিক করলাম পরের দিন কিছু জমি জায়গা দেখতে যাব। তাই আব্বুকে বলে রাখলাম পরদিন ঠিক সকালবেলা বাইকে করে দুইজন দেখতে যাব আমাদের সেই জমি জায়গা গুলো আছে সেগুলো। বেশ কয়েকটা জমি জায়গাগুলো দেখার পরে আখের জমিতে গেলাম। গিয়ে দেখি প্রায় অর্ধেক মাঠ আঁখ কাটা হয়ে গেছে।
দেখে অনেক ভালো লাগছিল। কয়েকজন শ্রমিক মিলে সেই আখ গুলো কাটতেছে এবং এই দুইটি গাড়িতে লোড করা হচ্ছে। একজন শ্রমিক আমার জন্য একটি আর কেটে আমাকে ডাকলো এবং আমাকে খেতে বলল। আটটি ছিল অনেক শক্ত, তবে কামড় বসানোর পরে বুঝলাম অনেক মিষ্টি আখ। তো যাই হোক আখের জমিতে বসে দেশি আঁখ খেতে সত্যি দারুন অনুভূতিও মজা। একেবারে দেশি ফ্রেশ আখের রস, স্বাস্থ্যের জন্যও যেমন ভালো ঠিক তেমন শক্ত। খালি পেটে আখ খাওয়া খুবই জরুরি এবং উপকারী। আখ দাঁতের জন্য খুবই উপকারী।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
তারপর বেশ কিছুক্ষণ আখের জমিতে কাটা দেখলাম এবং গাড়ি লোড করা দেখলাম। আখ খেতে খেতে পুরো বিষয়টি উপভোগ করলাম। দেখে খুব ভালো লাগছিল, সত্যিই গ্রামের পরিবেশ এবং মানুষগুলো কতটা সহজ সরল এবং ভালো। একটি পুরো আখ শেষ করে খুব ভালো লেগেছিল তাই আরো একটি হাত নিলাম এবং খেলাম । তারপর বেশ অনেকগুলো আগ একজন শ্রমিক কেটে দিল এবং আমি সেগুলো বাড়িতে নিয়ে আসলাম। দিনটা অনেক ভালো ছিল।