ওজন কমানোর উপায়..............

in #health2 years ago

প্রিয় বন্ধুরা,

কফি নিয়ে কিছু কথা বলা হোক। কারণ এই কফি পারে আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখতে। নিয়ম মেনে কফি পান করুন আর নিজের ওজন কমান।

কাজের চাপ এবং মানসিক চাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের বুড়ি। আর শরীরের বাড়তি ওজন ঝরাতে শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং আরো কত কিছু না আমরা মেনে চলি। তবু অনেক সময় মনের মতো ফল মেলে না। তবে কফি খেলে ওজন ওজন ঝরানোর সম্ভব সেটা কি জানেন? অনেকে দিনের শুরুটা করেন এক কাপ গরম কফি দিয়ে। সকালে কফি ডোজ আলসো কাটাতে এবং শরীরকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। কারো দুধ চিনি দিয়ে কফি পছন্দ কেউ আবার চিনি ছাড়া এক্সপ্রেসো কফি ভক্ত। তবে ওজন ঝরানোর জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে যদি রাখেন বিশেষ কিছু কফির তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

চলুন জেনে নেয়া যাক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন ধরনের কফি পান করবেন।

image-18520-1519987137.jpg

source

লেবু দিয়ে কফি - লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড যা কফির সঙ্গে মিশে বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। তার প্রভাবে মেদ ঝরতে থাকে। দুধ-চিনি ছাড়া এক কাপ কফিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে ইচ্ছা হলে দেওয়া যায় সামান্য দারচিনি। রোজ এই পানীয়টি খেলে মেদ ঝরার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়তে থাকবে।

বুলেট কফি - এটা কিন্তু আবার বন্ধুকে ভুলে ভেবে কেউ ভুল করবেন না। যাইহোক এক কাপ গরম জলে কফি মিশিয়ে নিন 1 টেবিল-চামচ। তবে করা কফি খেতে পছন্দ করলে পরিমাণটা নিজের সাধ্যমত বাড়িয়ে নিতে। তারপর সেই কফিটি মিশিয়ে নিন 1 চা চামচ ঘি বা মাখন বা নারকেল তেল। ভাল করে নাড়িয়ে নিন কফিটি এবং পরিবেশন করুন একেবারে গরম গরম। এই কফি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে এবং বিপাক হার বাড়বে। ফলে ওজন ঝরবে দ্রুত। তারা কিটো ডায়েট করেন তাদের দায়িত্বে এই ধরনের কফি থাকে।

দারুচিনি দিয়ে কফি - দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যাফিনের সঙ্গে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে বিপাকীয় হার উন্নত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ ব্লাক কফিতে 1 চা-চামচ দারুচিনি এবং মধু মিশিয়ে পান করলে কাজ হয়ে যাবে।

ডার্ক চকলেট কফি - ডার্ক চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এসিড থাকে। এই দুই পদার্থ কফি সঙ্গে মিশলে বিপাক হারকে বাড়তে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি। এই কফি খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধার অনুভূতি কমায়।

আমাদের সাথে থাকুন

নতুন সব তথ্য জানুন

ধন্যবাদ