নতুন শুরু, নতুন ভোরে....

in Writing & Reviews3 years ago

আসসালামুআলাইকুম, সুপ্রিয় লেখকবৃন্দ, ও এই মহতী বাংলা ব্লগের নিয়মিত পাঠক ও মেম্বারগন।সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের এই দিনে।সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন, আশা করি। অনেকদিন পর লিখতে বসলাম এই ব্লগে ;শত ব্যস্ততার মাঝেও কিছু সময় হাতে থাকে যা লিখতে পছন্দ করি। আচ্ছা, যা হোক, সবার জন্য শুভকামনা জানাই।

christmas-3015776_1280.jpg
Image

শীত এসে পড়েছে, ভীষন জাঁকিয়ে পড়লেও আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ ঠিকই টের পাচ্ছি, জানিনা আপনারা পাচ্ছেন কিনা।এ শীতের সকালের আকাশটা কিন্তু খুব দারুন আর মন ভুলানো, বিশেষ করে যখন কুয়াশা পড়তে আরম্ভ করে আর হুহু বাতাস গায়ে লাগে, তখন অন্যরকম এক অনুভূতি আর পুলক জাগে মনে।আমার প্রকৃতিপ্রেমিক আর কবি স্বভাবের কারনে এ জিনিসগুলো আর প্রকৃতির পালাবদল খুব পছন্দ করি।

অবসরে ভালোবাসি কবিতা লিখতে আর ছোটগল্প রচনা করতে।হয়তো আপনারা অনেকে জানেন না, ছোটবেলা থেকেই আমি সাহিত্যের প্রতি প্রবোল অনুরাগী আর ভক্ত ছিলাম।নানা জ্ঞানী গুনী আর বিশ্ব কাঁপানো জগতজোড়া খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের লেখা পড়ে আমার ছোটবেলা কেটেছে।সাহিত্যের নানা দিক ভ্রমন করে শেষমেষ লেখক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার পণ নেই মনে মনে। যার জন্য এ কবিতা লেখা আর স্টিমিটে বাংলা ব্লগে নিজের কবিতা প্রকাশ করার একটা ভালো মঞ্চ পেয়ে যাই।

man-489744_1280.jpg
Image

এই ব্লগটি আমার খুব ভালো লাগে আর সবার নান্দনিক উপস্থাপনা আর বিভিন্ন দিকদর্শী লেখা আমাকে অনুপ্রাণিত করে ভালো কিছু করার।তাছাড়া, যতই ইংরেজী চর্চা আর বিলিতি বিশ্বকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ঘরানার লেখা লিখি না কেন আর ভাষাগত চর্চা করি না কেন, বাংলায় লেখার চেয়ে মজা আর ভালোলাগা অন্য কোন ভাষায় পাওয়া যাবে না। খানিকটা মাইকেল মধুসূদনের কথা মনে পড়ে যায়, যখন তিনি অ্যাংলোম্যানিয়াক বা ইংরেজপ্রীতির ভুল বুঝতে পেরে, স্বদেশে ফিরে আসেন।

মধুসূদনের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে হয়তো প্রায় সবারই জানা আছে।ছোটবেলায় নিজেকে শেক্সপিয়রের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে যে আকাশ কুসুম, মেকি, মরীচিকাময় স্বপ্ন দেখেছেন আর নিজেকে একজন প্রখ্যাত ইংরেজ কবি হিসেবে খুঁজেছেন, তার সবই বৃথা দেখতে পেলেন যখন তিনি হাড়ে হাড়ে ইংরেজি ওয়েদারে নিজেকে অসহায় ভেবেছেন অনাদর অবহেলিত হয়ে। ইংরেজরা তার লেখাকে পাত্তাই দেয় নি, বরং তার কাব্য প্রতিভার গ্রন্থিমোচন করে ছেড়েছে।

নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এলেন কবি, স্বদেশে ফিরে মাতৃভূমির কাছে মিনতি করে নিজের ভুল স্বীকার করে পুনরায় বাংলায় নিজেকে অনুধাবন করলেন।এ যেন মধুসূদনের পুনর্মিলনী নিজের অন্তরাত্নার সাথে, নিজের ভূখন্ডের চিরচেনা প্রকৃতির কাছে, স্বরুপ দর্শন করে বুঁদ হলেন বাংলায় কাব্য সাহিত্য রচনায়।তারপর তিনি একে একে বাংলা সাহিত্যকে দিয়ে গেলেন অমিয়ধারার সৃষ্টি, মধুর সুধা, নিজ হাতে তৈরি করলেন আধুনিক বাঙালী মনন আর শৈল্পিক ছান্দসিক কবিতার ভান্ডার, নতুন সাহিত্যক্ষেত্র।

বাকিটা আপনারা হয়তো মধুসূদনের জীবনি পড়লে টের পাবেন।এ নিয়ে আর কথা বলছি না। আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন এমন করে মধুসূদনের কথা টেনে আনলাম, কেনইবা কায়দা করে অবতারনা করলাম মোটের ওপর অপ্রাসঙ্গিক এক উদাহরনের। তবে, আমি বলছি এর পক্ষে এক যুক্তি আছে।

pen-4163403_1280.jpg
Image

এই ব্লগে লেখার জন্য সময় সুযোগ ছিল, অন্য লেখকদের লেখাগুলো পড়ার জন্য ও ভাব বিনিময় করার জন্য,কিন্তু নিত্যদিনের ব্যস্ততায় আর বাস্তবতায় আটকে গেলাম।তবে,এ ব্লগটির সাথে থাকার ভালো ইচ্ছে ছিল আমার,কিন্তু একদিন পোস্টিং চাবিগুলো হারিয়ে ফেলি
বেশ কয়েকমাস খোজাখুজির পরও পাইনি ;এইভাবে নিয়মিত পোস্ট করা হয়নি।

তবে আশা করি,এ ব্লগটিতে ভবিষ্যতে নিজেকে পরিচিত করানোর একটা সুযোগ পাবো। সবার জন্য শুভকামনা এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ সবাইকে দীর্ঘজীবি করুন।
আল্লাহ হাফিজ।