Better Life With Steem || The Diary game || 10/12/2024
হ্যালো গায়েজ
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, আবারো খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম,উঠে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পড়ে তারপর ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে এরপর রান্না করে চলে যাই সকালে নাস্তা বানাতে।
আজকে সকালের নাস্তা হিসেবে সবার জন্য চিনি পরোটা বানিয়েছি। একে একে করে সবাই খেয়ে নিলো এরপর মেয়েকে সকালের টিফিন দিয়ে আসি। সকালে নাস্তা করে দশটার ভিতরেই দুপুরে রান্না বসিয়ে দি। তবে আমার আজকে সকালের নাস্তাটা খেয়ে মন আর পেট কিছুই ভরেনি।
দশটার সময় রান্না ঘরে গেলাম। তবে আজকে বেশি কিছু রান্না হয়নি,শিং মাছ ভুনা, আর তার সাথে আছে ডাল ভুনা। মাছ গুলো রান্না হলে ডাল রান্না বসিয়ে দিয়ে ছেলেকে গোসল করিয়ে দি। ছেলেকে গোসল করিয়ে জামাপ্যান্ট পরিয়ে পরিপাটি রেখে ; রান্না ঘরে গিয়ে দেখি আমার ডাল রান্না হয়ে গেল।
এরপর রান্না ঘরের সবকিছু গুছিয়ে রেখে ঝাড়ু দিয়ে তারপর আমি গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল করে এসে জোহরে নামাজ পড়ি তখন বাজে বারোটা ২০মিনিট। শীতের দিনে বেলা ছোট তাই জোহরের নামাজ বারোটার ভিতরেই শুরু হয়ে যায়। যখন নামাজ পড়তে ছিলাম এত পরিমান ক্ষুধা লেগেছে যে, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারছি না।
তাই নামাজ পড়া কোনরকম ভাবে শেষ করে। আগে আমি ভাত খেয়ে পেটটা ঠান্ডা রেখে। তারপরে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি। আজকে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে তেমন একটা সময় লাগেনি, ৩০ মিনিটের ভেতরে খাওয়া শেষ হয়ে গেল।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম, ছেলে তখন ঘুমোইনি। আমি খেয়ে দেড়টার ভিতরে ঘুমিয়ে পড়েছি। ছেলে খেলছে মেয়ে ফোন দেখছে। এরপর আমি তিনটার সময় সজাক হয়েছি, তখনো দেখি দুই ভাই বোন একই অবস্থা করছে তখনো ঘুমায়নি।
এরপরে জোর করে মেয়েয় হাত থেকে ফোন নিলাম ছেলের হাত থেকে খেনলা নিলাম তারপর দশ মিনিটের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ল। ওরা ঘুমিয়ে পড়লো আমি আর ঘুমাইনি আমি উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি দেখি সাহেব এসেছে সে হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে বসলো তারপর আমি তাকে খাবার খেতে দিলাম।
বিকেল হতে না হতেই সন্ধ্যা নেমে এলো। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে ছেলেকে ফিট বিস্কুট খেতে দিলাম। ছেলে বসে বসে খাচ্ছে আর আমরা প্যাটিস খেলাম। সন্ধ্যার নাস্তাটা শেষ করে তারপর পোস্ট লিখতে শুরু করি। যাইহোক এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্তগুলো আর সন্ধ্যাটা পার করি লেখাটা এখানেই শেষ করতে চাই। (সমাপ্ত)