Better Life With Steem || The Diary game || 10/6/2024
শুরু করছি, আজকের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি কি করেছি সেটাই আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করব। আজকের সকালটা কিভাবে ঘুমের ভিতরে পার হয়ে গেলো বুঝতে পারিনি। প্রত্যেকদিন রাতে লেট করে ঘুমাতে হয় সাহেবের কারণে, সে প্রতিদিন রাতে বাসায় ফিরে রাত একটা থেকে দেড়টার সময়। লেট করে ঘুমাই আর সকালবেলার তো সবারই ঘুম আরো গভীর হয় আর তার ভিতরে যদি আবার বৃষ্টি তাহলে তো কোন কথাই নেই।
যাইহোক সকাল দশটার সময় চোখের ঘুম ভাঙলো, উঠে তাড়াতাড়ি করে হাত মুখ ধুয়ে রান্নাঘরে গিয়ে প্রথমে ভাটটা বসিয়ে দিলাম। নাস্তা আর বানাইনি কারন যারা খাবে তারা এখনও ঘুমাচ্ছে,আমার একার জন্য আর বানাতে ইচ্ছা করছিল না তাই দুই পিস বিস্কুট খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলাম। বাপ ছেলে মেয়ে তারা যে এতটা ঘুমে আছে মনে হচ্ছে না যে, এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে এর ভিতর আমার রান্নাও হয়ে যাবে।
নিজের মতন করে আস্তে আস্তে করে রান্না করলাম। রান্নাটাও সাড়ে বারটার ভিতরেই হয়ে গেল, আজকে রান্না করেছি হেলেঞ্চা শাক, ডাল, আর বেগুন ভর্তা। রান্নাবান্না শেষ হওয়ার পর সবকিছু গুছিয়ে নিলাম এর ভিতর দেখি একে একে সবাই ঘুম দিয়ে উঠে গেল।
আজকে রান্না শেষ হওয়ার পর স্পেশাল একটা জিনিস খেলাম যেটা এখন সচার আচার কেউ সহজে খায় না আর সেই খাবারটি হল ভাতেরর মার। ভাতের মার গালার সময় মারটা দেখলাম খুব ঘন তাই একটা বাটিতে করে কিছু মার রাখলাম খাওয়ার জন্য, এই ভাতের মার আগের যুগের মানুষ খেত ভাতের অভাবে পেটের ক্ষুধার যন্ত্রণায়। এখন বর্তমান সময়ের মানুষ এগুলোর ধারে কাছেও যায় না খাবে তো দূরের কথা। আর যারা খাই শখের বসে আমার মতন ।
আর বিশেষ করে আউশ চালের ভাতের মারটা খুব খেতে বেশ স্বাদ লাগে, আমি খেয়েছিলাম খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল তাই বললাম। আমি যে সময় ভাতের মারটা খেলাম ছেলেও আমার পাশে ছিল এবং আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে জানিনা ও কি ভাবছিল।তারপর আমি ওকে এক চামচ খাইয়ে দিলাম খেয়ে হয়তো ওর মুখে ভালো লেগেছে তারপর আমার সামনে থেকে বাতিটা নিয়ে আস্তে আস্তে করে ও খেলো । আর খাওয়া শেষ করেও বাটিটা চেটে খেলো।
যাইহোক অনেক কথাই বললাম, ভাতের মার খেতে খেতে অনেকক্ষণই রান্না শেষে বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নিয়ে গোসল করতে গেলাম ছেলেকে গোসল করেইনি, কারণ বারোটার সময় ঘুম থেকে উঠেছে আর বাইরে আবহাওয়া টা অনেক ঠান্ডা তাই গোসল না করিয়ে হাত-পা এবং ভালো করে মাথায় পানি দিয়ে নিয়ে আসি। আমি গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ে এরপর দুপুরের খাবার সবাই একসাথেই খেতে বসি।
দুপুরে ভাত খেয়ে দেয়ে সব কিছু গুছিয়ে রেখে শুয়ে পড়ি এবং সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর সেই ঘুম থেকে ৪ টা ৫০ মিনিটের সময় উঠি। তাও আমি নিজে থেকে উঠিনি, সাহেব উঠে দোকানে গেছে ওই সময় আমাকে উঠিয়েছে। তারপর আর ঘুমোয়নি ওঠে ওযু করে এসে বসলাম তারপরে শুনি আসরের আযান দিচ্ছে নামাজ পড়ে নিলাম।
আমি আসরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ পর ছেলে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠলাম ওরা উঠে গেল। ওরা উঠে বসে বসে মোবাইল দেখলো ততক্ষণে আমি বাহির থেকে কাপড়চোপড় গুলো এনে গুছিয়ে রাখি। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান দিলো ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠে দুই ভাই বোনকে দুইটা ডিং ডং চিপস খেতে দিলাম খেয়ে পড়তে বসালাম। মেয়ে পড়তে বসেছে ছেলে পড়েনি সে গাড়ি পাথর নিয়ে খেলা করছে।
তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসি, কিছুক্ষণ পর পোস্ট লেখা শেষ হল তারপর ফোন রেখে এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে তারপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিয়ে আমরা খাই । খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে করতে ১১ টা বেজে গেল। ছেলে মেয়ে ওরা তখনও ঘুমায়নি ওদের বাবার আশায় রয়েছে কখন বাবা আসবে।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বেশী রাত জাগা হয়েছে বলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী করেছেন। আসলে ঘুম পরিপূর্ণ না হলে শরীরে একটি চাহিদা থেকেই যায়। তাই চাইলেও উঠা যায় না। তবে সকালের খাবারটা সারাদিনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে অন্তত নিয়মিত হেলদি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আজকে ভাতের মার খেয়েছেন। আমি অনেক দিন এই মজার জিনিসটা খাই না। আগে খাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন রাইসকুকারের যুগে ভাতের মার গালার প্রয়োজনই পড়ে না। তাই এই খাবারও এখন বিলুপ্ত। আপনার দিনলপি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
বেগুন ভর্তা যেটা দেখতেই অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। ভাতের সাথে ডাল এবং বেগুন ভর্তা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন অনেকেই সচরাচর এই খাবারটা খায় না। কিন্তু আগের সময় গ্রামের মানুষ এই ভাতের মাড় খেয়ে নিজেদের ক্ষুধা নিবারণ করত। ঢং ঢং চিপস যেটা আমার ছেলেরা অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনার ছেলেও দেখছি চিপস এর জন্য পাগল। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেকেই অনেক রকম ভর্তা খেয়ে থাকে তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আলু ভর্তা বেশি পছন্দ করি। ডাল দিয়ে আলু ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা।
ভাতের মাড় সবাই সচারাচর খায়না এটা ঠিক তবে শুনেছি ভাতের মাড়ে অনেক উপকার এটা স্বাস্থ্য ভালো করতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
রাতে দেরি করে ঘুমালে সকালবেলা একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে এটা স্বাভাবিক। তার ওপর যদি সকালবেলা বৃষ্টি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই রান্নাবান্না সেরে নিয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন আগের যুগের মানুষেরা পেটের ক্ষুধায় ভাতের মার খেত। আর এখন আপনি শখে খেয়েছেন।
আপনার, সারাদিনের আপনার সারাদিনের কার্যক্রমশেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।