Better Life With Steem || The Diary game || 11/07/2024
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আবারো একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম আলহামদুলিল্লাহ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল প্রিয় বন্ধুরা, খুব ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার আজকে সারা দিনে কার্যক্রম নিয়ে, চলুন দেরি না করে শুরু করি।
চোখের ঘুম ভাঙ্গার পর বিছানায় আর শুয়ে থাকিনি চটপট করে উঠে পড়ি, উঠে দাঁত ব্রাশ করে মুখ হাত ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে কিচেন চলে যায়। এরপর এক গ্লাস পানি পান করি, পানি পান করে থালা-বাসন গুলো ধুয়ে রুটি বানানোর কাজে লেগে পড়ি। আমাদের জন্য রুটি আর বাজি বানিয়েছি আর ছেলের জন্য একটা চিনি পরোটা বানিয়ে দিলাম।
আমার রুটি বানানোর মধ্যেও ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল, তারপর ওর জন্য আগে একটা চিনি পরোটা বানিয়ে দিয়ে ওকে বসিয়ে দিয়ে বাকি রুটি বানানো কাজটা সেরে নিলাম। আমার সকালের নাস্তা বানানো হয়ে গেলে সাহেবকে উঠিয়ে সকলে মিলে একসাথে নাস্তা করি।
সকালে নাস্তা খাওয়ার পর্ব শেষ করে, দুপুরের রান্না কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুরে রান্নার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করা শুরু করে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করেছি লাউয়ের ছোকলা দিয়ে ভাজি, কলমি শাক ভাজি, আর ডাল, দুপুরে রান্না কমপ্লিট করে তারপর প্রত্যেকটা রুম সুন্দর করে মুছে নিলাম।
রুম মোছা হয়ে গেলে আমি গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলে তারপর আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাবার খেয়ে আমি ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ওরা ঘুমিয়ে যায় ওদের সঙ্গে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। আসরের আজান দেওয়ার পর ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ি, এরপর ছেলেমেয়ে ওরাও ঘুম থেকে উঠে যায় ওদের দুজনকে দু পিস কেক খেতে দি।
আসরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি, আমি যখন মোবাইল ব্যবহার করতে ছিলাম তখন মেয়ে আমার হাতে একটা গোলাপ ফুল এনে দেয় যেটা দেখতে ভীষণ সুন্দর ছিল । এই ফুলটা ও নিজের হাতে বানিয়েছে খেলনা ক্লে দিয়ে। প্রথম এই ক্লে গুলো কাদার মতন নরম থাকে শুকিয়ে গেলে একদম ফমের মতন হয়ে যায়
ফুল বানানোর পাশাপাশি অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসও বানিয়েছে যেগুলো দেখলে সত্যিকারের জিনিসের মতন লাগে। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল তাই সব মিলিয়ে একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেল নামাজ পড়ে নিলাম। সন্ধ্যার পর মনে হলো ছেলের হাতের ব্যথা আরো বেড়ে যাচ্ছে তাই ছেলে কান্না করতে লাগলো। ওর কান্না দেখে সাহেব নিজের কাজ ফেলে রেখে ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তারা হাত দেখে বলল মচকা ব্যথা পেয়েছে, একটু মালিশ করে দিল তারপর হাতে একটা ব্যাথার প্লাস্টার লাগিয়ে দিল। ডাক্তার দেখিয়ে আসার সময় ছেলেমেয়ে জন্য নারিকেলের সানা মিষ্টি নিয়ে আসে, মিষ্টি গুলো খেতে ভিষণ মজা লেগেছিল।
এরপরে এশার আযান দিলো নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। ছেলে কোন ভাবেই খেতে চেয়েছিল না খুব জোর করে কয়েক লোকমা খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে খাওয়া দাওয়া করে আমরাও খেলাম তখন রাত একটা বাজে। রাতের খাওয়া দাওয়া করে ১০-১৫ মিনিটের মতন সময় কাটিয়ে শুয়ে পড়ি। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল, সবার সুস্থতা কামনা করছি, (আল্লাহ হাফেজ)
প্রতিদিনের মতোই সকালের বাড়ির কাজ গুলো খুব সুন্দরভাবে করেছেন আর হ্যাঁ ছেলেমেয়েদেরও খুব ভালোভাবে যত্ন নিয়েছেন।। আপনার মেয়ে তো খুবই সুন্দর জিনিস বানাতে পারে খুবই চমৎকার হয়েছে গোলাপ ফুলটি।।
আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই আপনি অনেক সুন্দর করে, একটি ফুল বানিয়েছেন এবং সেটি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করেই শেয়ার করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
প্রথমেই আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করি। আপনার মেয়ের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে। ক্লে দিয়ে কি সুন্দর জিনিসগুলি তৈরি করেছে, দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। ওকে এই সকল কাজে অবশ্যই উৎসাহ দেবেন। সারাদিনে ব্যস্ততম সময় পার করলেও পরিবারকে নিয়ে ভালো আছেন, এটাই সবথেকে বড় পাওনা। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়ে না থেকে কিচেনে গিয়ে রুটি ও ভাজি করেছেন। ছেলের জন্য পরোটাও বানিয়েছেন। এরপর নাস্তা করে নিয়েছেন। দুপুরের রান্না শেষ করে সবাই মিলে খেয়ে নিয়েছেন ।
আপনার মেয়ের ক্লে দিয়ে বানানো জিনিসগুলি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার ছেলে ব্যাথা পেয়েছে শুনে খারাপ লাগলো। আশা করি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।