Better Life With Steem || The Diary game || 11/6/2024

in Incredible India2 months ago
1000096048.jpg

প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাটানো মুহূর্তগুলো গুলো শেয়ার করতে চাই, চলুন এবার শুরু করি।


1000095908.jpg

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়েই একমগ পানি খেয়ে কিচেনের দিকে চলে যায়। প্রথমে থালাবাসন গুলো ধুয়ে রান্নাঘরটা সাফ করি। এদিকে সাহেব তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বাইরের দিকে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরল হাতে করে কতগুলো ডালপুরি নিয়ে। এরপর সেগুলো দিয়ে সকলে সকালের নাস্তা করি।

সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বসে সময় কাটাই, যখন দেখি ঘড়ির কাটায় সাড়ে দশটা বেজেছে এরপর যাই রান্নাঘরের দুপুরে রান্না করতে। সবকিছু গুছিয়ে রান্নাটা বসিয়ে দি, আজকে দুপুরে রান্না করব ডাল চচ্চড়ি আর কাঁচকলা ভর্তা। রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগেনি জটপট করে রান্না গুলো হয়ে গেল।

1000095566.jpg

দুপুরে রান্নাবান্না শেষ করে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিলাম। প্রত্যেকদিন সকালে নাস্তা করে কিছুক্ষণ পরে আবার পান্তা ভাত খাই। সকালের পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাসটা এটা অনেক আগে থেকেই তাই এখনো খাওয়াটা ভুলতে পারিনি। তবে আজকে সেই পান্তা ভাত খাইনি মনে হচ্ছে কি জেনো খাইনি তাই রান্না শেষে পেটে অনেক ক্ষুধা লেগেছে তাই নিরুপায় হয়ে কয় পিস রুটি খেলাম।

রুটি খেতে খেতে যতক্ষণ বিশ্রাম নিতে পেরেছি এরপর যাই ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে। ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়ে তারপর আমি নিজে গোসল করি।গোসলটা শেষ করে জামা কাপড় বাইরে শুকা দিয়ে তারপর জোহরের নামাজ পড়ি ।

1000095721.jpg

আর হ্যা, আমার দুপুরে রান্না শেষ হওয়ার পর সাহেব খাওয়া দাওয়া করে দেড়টার ভিতরে চলে যায়। আমরা ততক্ষণে কেউ গা গোসল করিনি। যাইহোক গোসল করে নামাজ পড়ে তারপর আমরা তিনজনে মিলে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করি। খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ পর ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দি, আমি কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে চারটার ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ি।

বিকেলে চারটার দিকে ঘুমিয়ে আবার পাঁচটা দশ মিনিটে উঠে পড়ি, উঠে অজু করে আসরের নামাজ পড়ি। আসরের নামাজ পড়ে উঠে তার পাঁচ-ছয় মিনিট পরে ছেলে ঘুম থেকে উঠে কান্না করে।ওকে নিয়ে বাসার ভিতরে হাঁটাহাঁটি করি তারপর দেখছি কান্না থামছে না,এরপর পাশের বাসার ওই বাচ্চাটার কাছে নিয়ে যাই, তারপর কান্না থামে এবং দুইজনে খুব হাসি মুখে খেলছে।

ওই পাশে বাসায় ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে এসে পড়ি, ছেলে আসতে চাইনি ওর সাথে আরও খেলা করবে এদিকে সন্ধ্যা হয় গেলো। তারপর বুঝিয়ে শুনিয়ে ওকে ওই বাসা থেকে নিয়ে এসে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ি।

1000095907.jpg

আমি যখন মাগরিবের নামাজ পড়তে ছিলাম ছেলে আমার পাশে তখন বসে ছিল এবং আমার নামাজ পড়া দেখে ঐরকম পড়ার চেষ্টা করে। ওর নামাজ পড়ার আগ্রহটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। নামাজ কালাম শেষ করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম, সন্ধ্যার নাস্তার জন্য ছেলে-মেয়েকে সিঙ্গারা এবং ডালপুর এনে দিলাম। ওরা ওগুলো খেলো আমি ডাল দিয়ে মুড়ি মাখা খেলাম।

তারপর পোস্ট লিখতে বসলাম, আর হ্যাঁ সকালে কিছুটা লিখছিলাম বাকি পোস্ট লেখাটা সন্ধ্যায় লিখলাম। পোস্টটা লিখে কমপ্লিট করে তারপরে এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া করাই,তারপর আমরা মা মেয়ে খেয়ে সাড়ে ১১ টার ভিতরে শুয়ে পরি। আজকের ডাইরি গেম লেখা এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আপনি প্রতিদিনই সকালে খালি পেটে জল খেয়ে কাজ শুরু করেন। এটা খুব ভালো বিষয় বলে আমি মনে করি। আপনার হাসবেন্ড বাইরে থেকে ডাল পুরি কিনে এনেছিলো সেজন্য আলাদা করে কিছু না বানিয়ে এগুলো দিয়েই সকালের নাস্তা করেছিলেন। রান্না শেষ করে খুব খিদে পেয়েছিলো তাই রুটি খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আপু আপনার মতন আমারো পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেই ছোট্টবেলা থেকে পান্তা ভাতের প্রতি আমার আলাদা এক ধরনের আকর্ষণ কাজ করে। বিশেষ করে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, সরিষার তেল আর শুটকি ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাতের জুড়ি মেলা দায়। যদিও এখন প্রতিদিন খাওয়া হয় না তবে মাঝে মাঝে খাওয়ার চেষ্টা করি। গরমের দিনে পান্তা ভাত খেলে বিশেষ এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব করা যায়। সকালে পান্তা ভাত খেলে শরীল মোটামুটি ঠান্ডা থাকে।

আপু আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো। সকালে উঠে থালা মাজন পরিস্কার করা আমাদের সকলের নিত্যদিনের একটি কাজ। আমি আমার বউকে মাঝেমধ্যে এই কাজে সাহায্য করে থাকি। সে ভীষণ খুশি হয়। প্রত্যেকটি কাজ ভাগ করে করার মাঝে বিশেষ এক ধরনের সুখ রয়েছে। যাইহোক ভালো থাকবেন আপু। আপনার আগামী দিনগুলো সুখের হউক।

 2 months ago 

গরমের সময় সকালের পান্তা ভাত খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং শরীরটা খুব ঠান্ডা থাকে। আর খেয়ে মনের ভিতর একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।

আসলে ঘরের মহিলাদের প্রতিদিনের কাজ একই রকমই হয়ে থাকে। বিশেষ করে তো প্রতিদিন সকাল থালাবার ধোয়া এবং দুপুরে রান্নাটা এটা তো প্রতিদিনই থাকে। আর হ্যাঁ এটা শুনে ভালো লাগলো আপনার স্ত্রীকে আপনি কাজে সাহায্য করে এবং তাতে সে অনেক খুশি হয়।খুশি হওয়ার কথা ভাগ করে কাজ করলে আমার খুব ভালো লাগে । ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করবেন।।