Better Life With Steem || The Diary game || 12/6/2024

in Incredible India2 months ago
1000096837.jpg

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আবারও একটি নতুন দিন উপভোগ করতে পেরে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে অযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি।ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি এরপর সকাল সাতটার সময় উঠে, বাসার সমস্ত কাজগুলো করি। আমি বাসায় কাজ গুলো করে কিছুক্ষণ বসে থাকি, এরপর সাহেব ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে বাহিরের দিকে চলে যায় বন্ধুর ফোন পেয়ে।

1000096366.jpg

বাহির থেকে আসার সময় বাসার জন্য কিছু বাজার নিয়ে আসে আর সকালের নাস্তা নিয়ে আসে। সাহেব আমার হাতে বাজার গুলো দিয়ে সে গোসল করতে গেল আজকে দোকানে তার তাড়াতাড়ি যেতে হবে। তাই সে রুটি খেয়ে গা গোসল করে বাসা থেকে বের হল।

1000096404.jpg

সকালে নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর দুপুরে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আজকে দুপুরে রান্না করবো ধুন্দল আলু, আর করলা ভাজি, দুপুরে রান্না করতে তেমন একটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে নি, কারণ সাহেব তো আগে থেকেই বাসা থেকে বের হয়ে গেল। তাই আস্তে আস্তে করে সবকিছু রান্নাবান্না এবং গুছিয়ে নিলাম।

রান্নাবান্না শেষ হওয়ার পর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে, তারপর ছেলেকে দুপুরে ভাত খাইয়ে দেয়ার পর আমরা খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে ভাত খেয়ে শুয়ে পরি তারপর কিছুক্ষণ ফোন পর ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর সেই ঘুম থেকে পাঁচটা পনেরো মিনিটের সময় উঠি, উঠে আসলে নামাজ পড়ি।

1000096745.jpg

আমার নামাজ পড়া শেষের দিকে দেখি ছেলেও ঘুম থেকে উঠে গেল। বাকি বিকেলটা কোনরকম ভাবে হাঁটাচলার উপরে সময়টা কাটাই। তারপর যখন দেখি সাড়ে ছয়টা বেজেছে সঙ্গে সঙ্গে সাপ্তাহিক আর্ট ক্লাসে জয়েন্ট করি। আসলে আর্ট ক্লাসটা করতে খুব ভালই লাগে, আর আমাদের আটিস ম্যাম খুব সুন্দরভাবে এবং ধীর স্থির ভাবে বুঝিয়ে দেয়। আর্টিস ম্যাম বুঝিয়ে দেওয়ার পর।আবার আমাদের এডমিন ম্যাম বুঝিয়ে দেয় যারা না বুঝতে পারে। আর এই যে উপরের ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হল ছবি আঁকার মূল অংশ। স্কেল ছাড়া সোজা দাগ টানতে পারাই ছবি আঁকা শেখারই মূল ভীত। তাই ছবি আঁকার প্রথমে সোজা দাগ টেনে প্র্যাকটিস করতে হবে।

1000096727.jpg
1000096713.jpg

আজকের আর্ট ক্লাসটা খুব সুন্দর হয়েছে। ম্যাম আজকে গোলাপ আকা শিখিয়েছে আকা ছবিতে কি রকম ভাবে রং টেনে দিতে হবে সেটাও বলেছে। এই যে উপরের দুইটা ছবি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হল ম্যামের আঁকা ছবি। ক্লাস চলাকালী সময় স্ক্রিনশট নিয়েছিলাম।

1000096739.jpg
1000096738.jpg

তারপর এই যে আবার ছবিগুলো দেখতে পারছেন এগুলো আমার মেয়ে একেছে ম্যামের আঁকা ছবি দেখে মাশাল্লাহ মোটামুটি খুব ভালোই হয়েছে। আসলে আকতে পারা না পারা এটা তেমন একটা ব্যাপার নয়,আঁকার প্রতি ওর অনেক আগ্রহ বেশি এটা দেখে খুব ভালো লাগছে।

1000096656.jpg

আর্ট ক্লাস শেষ করে তারপর ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যায় ক্রিম দিয়ে পাউরুটি খেতে দি,মেয়ে খেয়ে পড়তে বসে আর ছেলে ওর খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি। আজকের ডাইরি গেম লেখা এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আজকের ক্লাসে আপনি যে ফুলের ছবিটা একেছেন সেটা অনেক সুন্দর ছিল, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এর কারনে যে আপনি তাদের সুন্দর ফুলের ছবি আঁকতে পারেন এবং সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এবং আমি আশা করি এবং আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের ছবি আঁকা আপনার কাছে থেকে আমরা দেখতে পারবো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।

 2 months ago 

আজ সকালে রুটি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলেন এবং তারপর প্রতিদিনের মতো দুপুরের রান্না শেষ করলেন। তবে আপনার মেয়ে খুব সুন্দর ছবি এঁকেছে। দুইটা ছবিই খুব চমৎকার লাগছে। ক্রিম পাউরুটি খেতে দিয়েছিলেন ছেলে মেয়েকে। আগে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ক্রিম পাউরুটি বিক্রি করতো আর সেগুলো খেতে খুব ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ শেষ করে ঘরের কাজগুলো করে নিয়েছেন। এরপর আপানার হাসবেন্ড বাইরে বেরিয়ে যায় আর বাসায় ফেরার পথে বাজার করে নিয়ে আসে।সে নাস্তা না করেই দোকানে চলে যান।এরপর আপনি দুপুর এর রান্না করে ফেলেন।
সন্ধ্যা কমিউনিটির আর্ট ক্লাসে যোগ দেন।আপনার ও আপনার মেয়ের আর্ট শিখতে ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো। এটা আসলেই একটা বড় সুযোগ। আমি আমার ছেলেদের টিচার রেখে আর্ট শিখিয়েছি আর সেখানে আপনারা ফ্রিতে শিখতে পারছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।

 2 months ago 

আসলে সাহেব নিজে কয়েক দিনে ব্যস্ততার কারণে ঠিকমতো সকালে এবং দুপুরে খাবার খেয়ে যায় না বাসা থেকে তারপরও শত ব্যস্ত থাকার ভিতরে বাসায় ঠিক মতন দেখাশুন এবং বাজারঘাট করে দিয়ে যায়।

আসলে মেয়ে সেখার আগ্রহটা দেখে আমি আর্ট ক্লাসে জয়েন্ট হই। আমাদের প্ল্যাটফর্মে খুব সুন্দর একটা সুযোগ করে দিয়েছে। ফ্রিতে খুব সুন্দর ভাবে আর্ট করা শিখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।

 2 months ago 

@amekhan , মা আমার ওটা গোলাপ ফুল নয়, টিউলিপ ফুল আঁকা শেখানো হয়েছিল! কি জ্বালা, তবে আমি আপনার মেয়ের শেখার আগ্রহ দেখে ভীষণ খুশি। আমি সত্যি চাই এখানের ইউজার দের বাড়িতে ছোটো বাচ্চারা আঁকা শিখুক, কোনো শেখাই বিফলে যায় না।

 2 months ago 

সরি ম্যাম আমি গোলাপ ফুল বুঝে পোস্ট লিখেছি গোলাপ ফুল। হ্যাঁ ম্যাম ও আকতে ভীষণ পছন্দ করে এবং অনেক আগ্রহ ও আছে। ম্যাম খুব সুন্দর একটা আইডিয়া নিয়েছেন যা ঘরে বসে বাচ্চার আাকা শিখতে পারবে।থ্যাঙ্ক ইউ

 2 months ago 

আপু আমাদের এ্যাডমিন ম্যাম সত্যি একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। আর্ট শিখতে এবং আর্ট করতে মোটামুটি সকলেই পছন্দ করেন। ছোটবেলায় আমারো অনেক ইচ্ছে ছিলো যে আর্ট শিখবো। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত তার আর হয়ে উঠে নি। এখনো যখন মন স্থির করলাম কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত আর্ট ক্লাসে অংশগ্রহন করবো ঠিক তখনি কাজের চাপ এসে হাজির।

যাইহোক আপু আপনার শিখুন। ইনশাল্লাহ্‌ পরবর্তীতে সুযোগ আসলে আমরাও শিখবো। আপনারা আমাদের অনুপ্রেরণা। এ্যডমিন ম্যামের কথা না বললেই নয়। তিনি আমাদের বিভিন্ন সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাকেও অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকবেন আপু।

 2 months ago 

সত্যি বলেছেন ম্যাম খুব সুন্দর একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে, যেটা আমরা কখনো নিজের শিখতে পারতাম না তাই মনের কারণে অনলাইনে আমরা শিখতে পারছি।।

তবে আপনি বলেছেন আপনারও আর্ট শিখতে অনেক ইচ্ছা আছে কাজের চাপের কারনে
শিখতে পারের না আশা করি সব কাজ পেরিয়ে আপনি আর্ট ক্লাসে যুক্ত হয়ে খুব ভালো ভালো আর ছাড়তে পারবেন।ধন্যবাদ

 2 months ago 

যদিও ম্যাম ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন ওটা টিউলিপ ফুল, গোলাপ ফুল নয়। তবে আপনার মেয়ে বেশ সুন্দর ভাবে এঁকেছে। এইভাবে ওকে উৎসাহিত করবেন, আমার বিশ্বাস এইভাবে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করলে ও ভালো কিছু শিখতে পারবে। আর ওর দেখাদেখি হয়তো আপনার ছেলেরও আঁকার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের গল্প পড়ে। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

সকালের নাস্তাটা করেছিলেন রুটি দিয়ে। আমার এরকম ক্রিম দেওয়া রুটি খেতে খুবই মজা লাগে। দুপুরের রান্নাবান্না শেষে খেয়েদেয়ে ভাতঘুম দিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় কমিউনিটির আর্ট ক্লাসে যুক্ত হয়েছেন। আপনার মেয়ে অনেক সুন্দর গোলাপের ছবি আর্ট করেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, ছবি আঁকার ক্ষেত্রে দাগ টানা অনেক বড় একটি বিষয়। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন।