Better Life With Steem || The Diary game || 13/6/2024

in Incredible India2 months ago

1000097709.png
(Canva)

প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই, চলুন এবার শুরু করি।


1000097208.jpg

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আবারও একটি নতুন দিন উপভোগ করতে পেরে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে অযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে তারপর বাসার বাসি কাজগুলো করি। কাজ গুলো সম্পন্ন করে সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। আজকে সকালে ডিম টোস্ট বানিয়ে ছিলাম তারপর সেগুলো সবাই মজা করে খেলাম।

1000097245.jpg

সকালে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে তারপর সাহেব বাজারে গেল কিছু মুদি বাজার ও তরকারি আনতে। এরপর সে বাজার থেকে এসে বাসায় ৫-৬ মিনিটের মত বিশ্রাম নিয়ে তারপর সে তার কাজে বেরিয়ে পড়ে। সাহেব বাসা থেকে যাওয়ার পর আমি দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আজকে দুপুরে রান্না করব ঝিঙ্গা চিংড়ি দিয়ে আলু, আর চাল কুমড়া।

দুপুরে রান্নাটা সাড়ে বারটার ভিতরেই শেষ হয়ে গেল , রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পর রান্নাঘরটা ভালো করে গুছিয়ে রেখে তারপর গোসল করে আসি। গোসল করে যোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাইয়ে দি,ওকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমরা মা- মেয়ে দুপুরে খাবার খেয়ে খেয়ে নেই।

1000097360.jpg

দুপুরে খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভরা পেট নিয়ে শুয়ে পড়ি নি, বাসার ভিতরে একটু হাঁটাচলা করে তারপর শুয়ে পরি। শুইছি মাত্র আধা ঘন্টা হয়েছে এর পরেই সাহেব এসে পরে দুপুরে খাবার খেতে। এসে হাতমুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেও তারপর খেতে দি। ছেলেকে আজ আর ঘুম পড়াতে পারেনি কারণ তার বাবা এসেছে সে আনন্দে তার সাথে খেলা করছে। ওদের বাবা বাসায় থাকলে ছেলে-মেয়ে এত খুশি থাকে না খেয়েও তার সঙ্গে থাকতে পারে।

এমনকি ছেলে মেয়ে দুটাই রাত একটা দেড়টা পর্যন্ত সজাগ থাকে তার বাবার জন্য, তাদের বাবার মুখ খানা দেখে তারপর ঘুমিয়ে পড়ে। যাই হোক দুপুরে খানা খেয়ে আধা ঘন্টার মতন শুয়ে থেকে চলে যায়।

আজকে বিকালে আর ঘুম হয়নি ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম এরপর আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে দেখি বাহিরে কালো অন্ধকার হয়ে গেছে আর অনেক বাতাস তার কিছুক্ষণ পরেই অনেক জোরে বৃষ্টি নামা শুরু করলো। তবে বৃষ্টি এসে বেশিক্ষণ থাকেনি আধা ঘন্টার মতন হয়েছিল।

1000097546.jpg

বৃষ্টি ও থেমে গেল মাগরিবের আজান দিল, ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম তারপরে গেলাম রান্না ঘরে, সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য কিছু বানাতে। ভাবছি কালকের কতগুলো পাউরুটি পড়ে আছে ওগুলো দিয়ে দেখি কিছু বানানো যায় কিনা, আর ফেলে দিতে পারছি না খুব মায়া লাগে। তাই ওই রুটি আর আটা দিয়ে বরার মত বানিয়ে নিলাম ওটাই আজকে সন্ধ্যার নাস্তা খেলাম।

বরা খেতে যেতে পোস্ট লেখা শুরু করি। আর মেয়ে পড়তে বসেছে, ছেলেও মেয়ের পড়তে বসা দেখে ও লিখতে বসেছে। এরপর পোস্টে লিখে কমপ্লিট করে মাকে ফোন দিয়ে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। মার সাথে কথা বলা শেষ করে তাকে বিদায় জানিয়ে আমি এশার নামাজ পড়ি।এরপর ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিয়ে আমরা খাওয়া দাওয়া করি। রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে বসে এবং হাঁটাচলা করে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর বিছানায় গুছিয়ে শুয়ে পরি।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আসলে ছোট বাচ্চারা সারাদিন তার বাবাকে দেখা। এবং তার বাবা অনেক রাত করে চলে আসে বাড়িতে। এবং যখন বাবা বাড়িতে এসেছে আপনার ছেলেরা তাকে নিয়ে অনেক আনন্দ করেছে যার জন্য রাতে তাদেরকে ঘুম পড়াতে আপনার অনেক দেরি হয়ে যায়।

আরো আপনি সকালে নাস্তা করেছিলেন ডিম ও টোস্ট সেগুলো আপনারা সবাই খুবই মজা করে খেয়েছিলেন তারপরে আপনার হাসবেন্ড বাজারে চলে গিয়েছিল বাজার করার জন্য সে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে তার কাজের জায়গায় চলে যায়।

 2 months ago 

ডিমটোস্টের নাস্তা দিয়ে সকাল শুরু করেছেন। সকালবেলা বেশী ভারী খাবার খেতে ইচ্ছা করে না। তাই এগুলোই ভালো। দুপুরের খাওয়ার পর সাথে সাথে শুয়ে পড়েননি। এটা খুব ভালো কাজ করেছেন। খেয়েই শুয়ে পড়লে শরীরের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি শরীরের স্থুলতা বেড়ে যেতে পারে। তাই একটু নড়াচড়া করা উচিত। বাচ্চারা গভীর রাত পর্যন্ত বাবার জন্য অপেক্ষা করে এটাই স্বাভাবিক। সারাদিন তো তেমন দেখা হয় না বাবার সাথে।তাই বাবাকে না দেখলে তাদের ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আমাদের সাথে দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন এর মতোই ফজরের নামাজ পরে ঘরের কাজ শেষ করেন। এরপর আজকের নাস্তায় ডিমটোস্ট করে সবাইকে নিয়ে মজা করে খান।
দুপুরে আজকে রান্না করেছিলেন চিংড়ি দিয়ে ঝিঙ্গা ও আলু দিয়ে। দুপুরে খাওয়ার পরে কিছু সময় রেস্ট নিয়েছেন। এরপর পাওরুটি দিয়ে বরা বানিয়েছেন। আর সেগুলো দিয়েই বিকেলের নাস্তা করেছেন।
এরপর স্টিমিট এর জন্য পোস্ট লেখা শেষ করে আপনার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলেন।
এর পরে এশার নামাজ শেষ করে ছেলেকে খাইয়ে দেন আর তারপর নিজেরা খেয়ে নেন। আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পর্যায়ে নামাজ আদায় করে। রান্নাবান্না থেকে সবকিছু কাজে লেগে পড়ি। দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম এরপর বিকেলে নাস্তার জন্য পাউরুটি এবং আটা দিয়ে নাস্তা বানালাম। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পরে আপনার মতামতে জানিয়ে দিলেন।

 2 months ago 

সকালবেলা নিজে রান্না বান্না শেষ করে আবারো কিছুটা সময় বাসার কাজ করে নিলেন। আসলে বাচ্চারা তাদের বাবাকে ফেলে অনেক বেশি খুশি হয়ে থাকে, তাই না খেয়েও তার সাথে থাকতে পারে। আপনার বাসায় পাউরুটি ছিল ফেলে দেয়ার মত চিন্তাভাবনা ছিলনা। তাই ওটা দিয়ে আপনি আবার পিঠা তৈরি করেছেন, দেখতেই তো অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আসলে যাদের বাসায় ছোট বাচ্চা থাকে একই কাজটি বারবার করতে হয়। যতই গুছিয়ে রাখির আবার কিছুক্ষণ পর এলোমেলো দে হয়ে যায়।

আর হ্যাঁ আমার ছেলে মেয়ে ওর বাবাকে ভীষণ পছন্দ করে। এরকম মনে হয় সব বাচ্চারাই বাবাকে অনেক ভালোবাসে। আসলে খাবারের কোন জিনিস অপচয় করতে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। তাই পাউরুটিগুলো না ফেলে দিয়ে বুদ্ধি করে আটা এবং রুটিগুলো গুরো করে সন্ধ্যার একটা নাস্তা করে নিলাম। আর খেতে তো বেশ মোটামুটি ভালোই হয়েছিল খারাপ হয়নি। থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

 2 months ago 

সকালের নাস্তা হিসাবে প্রায়ই ডিম টোস্ট বানিয়ে থাকেন আজও বানিয়েছিলেন। হয়ত ডিম টোস্ট অনেক ভালোবাসেন খেতে। হাসবেন্ড বাজার করে এনে দিলে দুপুরের রান্না করেছিলেন, চিংডি মাছলর কথা শুনলেই খেতে ইচ্ছা করে।

যদিও দুপুরে বেশি সময় ঘুমাতে পারেন নি, হাসবেন্ড বাসায় খেতে এসেছিলো তাই তাকে খাবার দিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় আবার বোড়া বানিয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

ডিম টোস্ট আমি তেমন একটা পছন্দ করিনা ছেলে মেয়ের ভীষণ পছন্দ করে তাই মাঝে মধ্যে ওদের বানিয়ে দেই।

আর হ্যাঁ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমোতে পারিনি কারণ সাহেব বাসায় চলে এসেছিল দুপুরের ভাত খেতে। সে চলে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম কিন্তু ঘুম আসেনি উঠে নামাজ পড়লাম। থ্যাংক ইউ আপনার কমেন্টটি পরে বেশ ভালো লাগলো।।

 2 months ago 

আপনি প্রায় প্রতিদিনই ডিম টোস্ট বানিয়ে থাকেন, বাচ্চারা যেটা খেতে পছন্দ করেন সেটা বানালে ওরা খুব খুশি হয়। দুপুরে খাওয়ার পর একটু ঘুমানোর অভ্যাস আমার। আপনিও দুপুরে ঘুমান তবে আজ আর ঘুমানো হয় নি।হাসবেন্ড বাসায় খেতে এসেছিলো এজন্য তাকে খেতে দিচ্ছিলেন। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আপু রান্না বান্না প্রতিটি মেয়ের জীবনের একটি অংশ। সব থেকে রেহাই পাওয়া যায় কিন্তু রান্না থেকে পাওয়া যায় না। এই যেমন আপনি দিনের অর্ধেকের বেশি সময় কিন্তু রান্না করতে কাটিয়ে দেন। মাঝে মধ্যে আমার স্ত্রী আমাকে বলে একদিন আমার রান্না গুলো তুমি করো আর তোমার বাইরের কাজগুলো আমি করে দেই। দেখি কেমন হয়। তুমি তো সবসময় বলো আমরা মেয়েরা নাকি কিছুই করি না। বাসায় শুধু বসে থাকি। কিন্তু একদিন রান্না করে দেখো কেমন লাগে।

সত্যি বলতে আপু আমি মন থেকে মানি যে রান্না করা অনেক ঝামেলার কাজ। মাঝে মধ্যে আমার স্ত্রীকে রান্নার বিষয়ে সাহায্য করে থাকি। তবুও মাঝে মধ্যে তার সাথে রান্নার বিষয়ে একটু দুষ্টামি করি।

আপু আজ আপনার রান্নার কথাগুলো পড়ে আমার কিছু কথা বললাম। আপনার রান্না নিশ্চই অনেক ভালো। সময় পেলে একদিন গিয়ে খেয়ে আসবো। দাওয়াত দিতে ভুলবেন না কিন্তু। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

বিয়ের পর মেয়েদের প্রদান অস্ত্র হয় রান্না করার খুন্তি। সব কাজ থেকে কিছু কিছু এড়িয়ে চলা বা আসা যায় কিন্তু রান্নার কাছ থেকে মোটেও এড়ানো যায় না। আসলে সব কাজই পরিশ্রম বাহিরের কাজ করতে যেরকম পরিশ্রম রান্না করতেই একই পরিশ্রম। আপনি আপনার স্ত্রীকে রান্নার কাজে মাঝেমধ্যে সাহায্য করেন এটা বেশ ভালো একটা কাজ। আনন্দের মাঝে দুজনে কাজগুলো করে নেন খুব ভালো।

নিশ্চয়ই সময় পেলে একদিন আমাদের বাসায় আসবেন দাওয়াত রইলো আপনার জন্য। থ্যাঙ্ক ইউ

 2 months ago 

আজকাল জিনিসপত্রের যা দাম তাতে কিছু ফেলতে সত্যিই মায়া লাগে। আপনার তৈরি ডিম টোস্ট দেখে বেশ লোভ লাগলো। অনেকদিন হলো খাওয়া হয়নি। এই গরমে ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। আপনাদের দেশে বৃষ্টি হচ্ছে জেনে আফসোস হচ্ছে। যাইহোক সারাদিনের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।