Better Life With Steem || The Diary game || 19/08/2024
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি কাটানো সময় গুলো। তবে প্রতিদিনের মতো আজকের দিনটাও একই রকম কেটে গেল রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া নিয়ে। যাইহোক এবার শুরু করছি আমার আজকের ডায়েরি গেম লেখা।।
ঘুম ঘুম চোখে সকাল চারটা ৫০ মিনিটে ঘুম ভাঙ্গে, এবার ঘুমঘুম চোখ নিয়ে দাঁত ব্রাশ করে ফজর নামাজ আদায় করে তারপর রান্নাঘরে চলে যাই। প্রথমে নুডুলস রান্না করলাম। তারপর ভাত রান্না করে আবার ডিম ভাত মসলা দিয়ে রান্না করলাম। নুডুলস ভাইয়া খেয়ে গেল এবং তাকে বক্সে করে দিয়ে দিলাম। আর ভাত ডিম রান্না করে তার দুপুরের খাওয়ার জন্য বক্সে দিলাম।
ভাইয়া ছয়টা ২৫ মিনিটের বাসা থেকে বের হলো। তার পাঁচ মিনিট পর মেয়েও মাদ্রাসায় চলে গেল । সবাইকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে এবং সব ঠিকঠাক করে। আমি আবার রুমে চলে গেলাম ঘুমানোর জন্য, ভীষণ ঘুম পাচ্ছিল এত সকালে একা একা কি করব তাই ঘুমিয়ে পড়ি।
চোখে ঘুম আসতে আসতে আধা ঘন্টা লেগে যায় তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর সাড়ে দশটা বাজে আবার ঘুম থেকে উঠি, আমি ঘুম থেকে ওঠার পর ছেলেক ও উঠাই এরপর দাঁত ব্রাশ করিয়ে সকালে নাস্তা খাইয়ে দেই। ছেলেকে আগে খাইয়ে দিয়ে তারপর সাহেবকেও খেতে দি। সাহেব সকালের নাস্তা করে সাড়ে এগারোটার ভিতরে মার্কেটে চলে গেল।
এরপর আমি এবার চলে যাই রান্নাঘরে, রান্নাবান্নার আয়োজন করতে। প্রথমে রান্না ঘরে গিয়ে রান্নার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকে রান্না করলাম পুইশাক, আর বরবটি আলু ভাজি, তরকারি গুলো রান্না করে সর্বশেষে চালটা ধুয়ে বসিয়ে দিলাম।
রান্না ঘরের কাজ শেষ করে কিছু কাপড়চোপড় ধুলাম তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দি আর আমিও করি। এরপর মেয়ে একটা সময় মাদ্রাসা থেকে চলে আসে ওকে কিছু খেতে দি খেয়ে ও গোসল করে আসে। একে একে সবার গোসল করা হয়ে গেলে জোহরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে ছেলেকে খাওয়াতে বসি এর মাঝে সাহেব এসে যায় তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করি এখন খেতে দিবো কিনা। এরপর সে বলে তুমি আগে ছেলেকে খাইয়ে দাও আমি একটু পরে খাবো। ছেলেকে খাওয়ানোর শেষ করে কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই খাওয়া-দাওয়া করি।
যাই হোক দুপুরে খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে আবার ঘুমোতেও চলে যাই। আগে ছেলে মেয়ে ওরা ঘুমিয়ে যায় তার কিছুক্ষণ পর আমি ঘুমাই। এরপর আবার সেই ঘুম থেকে বিকাল পাঁচটার সময় উঠি। আর মেয়েকে উঠিয়ে দিই মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য,মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে মাদ্রাসায় চলে যায় আমি আসরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে ওঠার কিছুক্ষণ পর বাহির থেকে এমন একটা গন্ধ বের হচ্ছে তা সহ্য করতে পারছিনা। আর সেই গন্ধটা হলো মশা মারার ওষুধের গন্ধ এই গন্ধটা একেবারেই আমি সহ্য করতে পারছি না। মুখ ভরে বমি এসে যায়। তারপর সব দরজা জানালা বন্ধ করে দি যতক্ষণ পর্যন্ত বাইরে গন্ধ চলে না যায় ততক্ষণ সবকিছু বন্ধ রাখি।
তারপর কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান দিল দরজা জানালা সব কিছু খুলে দিয়ে বাহিরের নিঃশ্বাস নি। মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেকে এক পিস কেক খাইয়ে দি। এরপর কিছুক্ষণ বাদে নিচে চলে যায় দেখি কোন টাটকা শাকসবজি পাই কিনা, ৪-৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর শাক পেলাম তাও লাল শাক নিয়ে নিলাম। তারপর দেখি আচার ওয়ালা এসেছে সেখান থেকে ২০ টাকা তেতুল আচার নিলাম। আচার খেতে খেতে আজকের পোস্ট লেখা শুরু করি। আর এভাবেই করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি বেলাটা কাটাই।।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম গুলি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। আপনার সারাদিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। আপনার সুন্দর পোস্টটি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিটি মেয়ের সংসারের অনেক দায়িত্ব থাকে আর সেইগুলো সকাল থেকেই তাকে পালন করতে হয়।। আপনি একা সংসারে সকল কাজ করে থাকেন সকালে রান্না থেকে শুরু করে দুপুর রাতের সব মিলিয়ে একটু কষ্ট করে এসব করতে হচ্ছে।।