Better Life With Steem || The Diary game || 23/6/2024
প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কাটানো সকল মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চলেছি, আশাকরি আমার পোস্টটা পরে সকলেই খুব ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।।
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে , একটা গ্যাসের ওষুধ খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলাম তারপর রান্নাঘরে গেলাম।তেল যুক্ত খাবার খেতে খেতে পেটে অনেক গ্যাস জমেছে আছে তাই নিয়মিত কয়েকদিন ধরে সকাল বিকাল গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছি। যাইহোক ওষুধ খেয়ে দেরি না করে রান্না ঘরে চলে গিয়ে সকলে নাস্তা তৈরি করি। ছেলে মেয়ের কথা অনুযায়ী ডিম টোস্ট করে দি। আমি আর ওগুলো খাইনি, আমি কয় পিস বিস্কুট খেয়ে পানি খেলাম।
সকালে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। ভালো লাগছিল না খুব মনমরা লাগছিল। কিছুক্ষণ বসে থেকে ঝিমিয়ে তারপর দুপুরে রান্না করতে চলে গেলাম। আর আজকে দুপুরে রান্নাটা আস্তে আস্তে সব কিছু করে নিলাম কারণ, সাহেব সকালে নাস্তা করে দশটার ভিতরে বাসা থেকে বের হয়ে গেল তাই তাড়াতাড়ি রান্না করার কোন ঝামেলা ছিল না।
দুপুর একটার ভিতর রান্নাবান্না সব কিছুই শেষ করলাম। রান্না শেষ করে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে শুয়ে রইলাম, এর এর মধ্যে মেয়ে দোকান থেকে তিনটি দই আইসক্রিম নিয়ে আসে তারপর সেখান থেকে একটা খেলাম। খেয়ে আবার ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে গেলাম।
গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে উঠেছি, এর মধ্যে সাহেব দুপুরের খাবার খেতে আসে। তারপর আমরা সবাই মিলে দুপুরে খাবার একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। সাহেব দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ৩:১৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়। সে যাওয়ার পর ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দেই আর আমি ওর পাশে বসে মোবাইল ব্যবহার করি।
এই ছবিটি রাত বারোটার পর তোলা
কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করার পর আসরের আযান দিলো এরপর ফোনটা রেখে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে বাহির দিয়ে কাপড় গুলো এনে রাখি। কাপড় গুলো আনা মাত্রই তারপর শুনি এক ভ্যান গাড়িওয়ালা ভ্যানে করে কাঁচা মরিচ আর লেবু নিয়ে এসেছে আর ডাকাডাকি করে বিক্রি করছে। এরপর আমি সেখান থেকে কাঁচা মরিচ আর এক ডজন লেবু রাখি।
তারপর সন্ধ্যা হয়ে গেল আজান দিল ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে তার কিছুক্ষণ পরে ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যায় ড্রাগন ফল খেতে দিলাম আর ওদের সঙ্গে আমিও খেলাম। সাহেব দুপুরে বাসায় আসার সময় ড্রাগন ফল নিয়ে আসছিলো, ছেলে মেয়ে দুপুরে খাবার খেয়ে ড্রাগন ফল খেয়েছিলো আর সন্ধ্যায় ওগুলো খেতে দিলাম।
ওরা খেতে লাগল আর আমি পোস্ট লিখতে শুধু করি।পোস্টটা সম্পূর্ণ লিখতে পারিনি নয়টা বেজে গেল তারপর টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন করি। এরপর ক্লাস শেষ করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি, ছেলেকে ভাত খাওয়া রাত বারোটা বেজে যায়। তারপর সাহেব ও আসে সে আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো, এরপর আমরা রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করি।।
এটা ঠিক যে তেলযুক্ত খাবার খেলে আমাদের শরীর খারাপ করে আর তার পাশাপাশি পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এগুলো যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়। ড্রাগন ফলে অনেক উপকার তবে আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না খেতে। যদিও বাড়িতে শখ এর বসে একটা ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার প্রতিদিন এর বিষয়গুলো অনেক সুন্দর ছিল, যেটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং আপনি ড্রাগন ফলটি খেয়েছেন, তার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যে ফটোগ্রাফি টি অনেক সুন্দর হয়েছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সকালের নাস্তা টা বেশ লবণ আছিল আর হ্যাঁ এরকম আইসক্রিম বা দই বাচ্চারা খেতে অনেক পছন্দ করে কিন্তু এটা বাচ্চাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।। শহরে একটা সুবিধা রয়েছে সবজি কিনতে বাজারে যেতে হয় না আর হ্যাঁ ড্রাগন ফল আমার খেতে খুব বেশি পছন্দ না।।