Better Life With Steem || The Diary game || 27/6/2024
আজ সকালে ভোরের দিকে সকালে আবহাওয়া টা খুব ঠান্ডা এবং শান্ত ছিল, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই সকালে ঠান্ডা হাওয়া টা গায়ে লাগাতে খুব ভালো লাগলো। আর এই সকালের বাতাসটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
চোখের ঘুম ভাঙার পর আর বিছানায় শুয়ে থাকেনি, ওঠে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম তারপর কিছুক্ষণ বসে থেকে এক গ্লাস পানি খেলাম। কিছুক্ষণ পর সাহেবও উঠলো হাত মুখ ধুয়ে গোসল করে তার কাজে বেরিয়ে পড়ে। সে সকাল বেলা উঠে বাসায় তেমন কিছু খায় না বাইরে গিয়ে যা খাওয়ার খেয়ে নেই। যাওয়ার সময় ছেলে মেয়ের জন্য পরোটা এনে দিয়েছিল, তারপর আমি একটা ডিম ভেজে ওদেরকে খেতে দিলাম।
ডিম ভাজার পরেই হল এক কান্ড ডিমটা ভাজা শেষ হতে না হতেই গ্যাস শেষ হয়ে গেল, তারপর বললাম আহারে যাওয়ার সময় পেলিনা এ তিন দিনের জন্য আবার একটা নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে। যাক গ্যাস শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাহেবকে ফোন দিলাম। সে ফোন রিসিভ করে বলে সমস্যা নাই আমি গ্যাসের লোক পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এরপর সাড়ে এগারোটা বাজে সিলিন্ডার লাগিয়ে দিয়ে গেল, তারপর আমি রান্না করার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করেছি চিংড়ি মাছ দিয়ে বেগুন আলু, আর মিষ্টি কুমড়া ভাজি, দুপুরে রান্না করতে এবং সবকিছু গুচাতে দুপুর দেড়টা টা বেজে গেল।
রান্নাবান্না শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই,আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে তারপর আমি আমার গোসল করাটা সেরে নিলাম। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর ছেলে মেয়েকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। আর দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে সাহেবকে ফোন দিলাম দুপুরে খাবার বাসায় খেতে আসছে সে বলল না আমি খেয়ে নিয়েছি তোমরা খেয়ে নাও, এরপর আমরা খেলাম।
আমার আবার একটা অভ্যাস আছে দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানার শরীর না লাগালে মনে হয় খাবার হজম হয় না। আমার মতন এই অভ্যাসটা মনে হয় মোটামুটি সবার ভিতরেই আছে। ছেলেকে ঘুম পড়ালাম আমি কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়ি। বিকেলে ঘুমের কারণে আসরের নামাজ পড়তে পারিনি মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে উঠেছি,হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠার পর ভালো লাগছিল মাথাটা ঝিমঝিম করছিল।
মাগরিবের আযান দিলো নামাজ পড়লাম। নামাজ পরে সন্ধ্যার নাস্তার জন্য ছেলে মেয়েকে ডালপুরি এনে দিলাম এবং ওদের সঙ্গে আমিও খেলাম। খাবার সময় আমার ছোট বোন ফোন দিলো ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে ভিডিও কলে কথা বললাম।ওর সাথে কথা বলতে অনেকটা সময় লেগে যায় তারপর আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি।
তবে পোস্ট লিখতে বেশি কোন সময় লাগেনি, এরপর পোস্ট লেখা শেষ করে এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে আগে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি,ওকে খাওয়া শেষ করতে প্রায় আমার ৪০ মিনিট লেগে যায়। তারপর আমরা খেলাম, খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে শুভরাত্রি জানিয়ে শুয়ে পড়ি।। যাক, এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করি।।
বাড়ির কাজের দায়িত্ব আপনার উপর থাকার কারনে হয়ত প্রতিদিনই আপনাকে সবার আগে ঘুম থেকে উঠতে হয় আজও তাই করেছিলেন। আপনি ঠিকই বলেছেন সকালের তাজা বাতাস আমাদের জন্য অনেক ভালো। আমার সাথেও বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে, যে রান্না করতে করতে গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছে। এটা সত্যি খুব বিরক্তিকর বিষয়। ভালো থাকবেন।
সাহেব তো ভালোই চালাক বাসায় না খেয়ে বাইরে যেয়ে ভালো ভালো খাবার খাই আপনাদের রেখে।।। সাহেবকে ধরতে হবে এরকমটা কেন করে 🤣🤣🤣
আজ দুপুরের খাবারটা বেশ ভালই ছিল চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দ আর হ্যাঁ আপনার মত আমার অভ্যাস আছে দুপুরে খাবার পর বিছানায় শুয়ে থাকা।
সকাল সকাল দোকান থেকে পরোটা ভাজা নিয়ে এসে সকালের নাস্তা করে নিয়েছেন। আসলে সকালবেলা পরোটা ভাজা তার সাথে যদি ডিম কিংবা আলু ভাজা হয়, তাহলে কিন্তু খেতে বেশ ভালোই লাগে। যারা গ্যাসের চুলায় রান্না করে তাদের এই একটা সমস্যা। গ্যাস শেষ হয়ে গেলে রান্না করা নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। যাই হোক অবশেষে আপনার গ্যাসের স্যালেন্ডার চলে এসেছে এবং আপনি সঠিক সময় রান্না করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।