Better Life With Steem || The Diary game || 4/6/2024
আলহামদুলিল্লাহ, আরো একটি নতুন সূর্যের আলো দেখতে পেলাম তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সকালবেলা পাঁচটার সময় বিছানা ছেড়ে উঠে, বাথরুমে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে অজু করে এসে,এক গ্লাস পানি খেয়ে এরপর ফজরের নামাজ আদায় করি। সকালে খালি পেটে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো তাই সকালের খালি পেটে পানি খাওয়াটা সহজে মিস করি না।
ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে তারপর বাসার বাসি কাজগুলো করা শুরু করি। সকালের সমস্ত কাজগুলো শেষ করে তারপর দুই পিস বিস্কুট খেয়ে এক গ্লাস পানি খাই। আজকে সকালে ছেলে মেয়ে ওরা তাড়াতাড়ি উঠেছিলে সাহেবও উঠেছে কিন্তু সে ফোনে কাজ করছিল। মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বলে, আম্মু আজকে আমি একটা সকালে নাস্তা বানাবো কালকে ইউটিউবে দেখেছিলাম সেটা দেখেই বানাবো। আমি আর না বললাম না দেখি কি রকম নাস্তা বানায়।
নিজের হাতে নিজের মতন করে বানিয়ে আমার সামনে নিয়ে আসলো। মাশাল্লাহ, দেখে খুব ভালোই লাগলো এবং খেতেও ভালোই লাগছিল। আর ছেলেও মজা করে খেয়েছিল। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম কি রকম করে বানিয়েছ। তারপর বলল, আলুর খোসা সরিয়ে ফিস পিস করে কেটে তারপর সেদ্ধ করে , আটার সঙ্গে আলু গুলো মিশিয়ে তারপর তেলে ভেজেছি আর আটার সাথে লবণ মরিচ ও দিয়েছে । মেয়ের বানানো ছোট্ট রেসিপিটি আপনাদের জানিয়ে দিলাম।
যাইহোক মেয়ের হাতের বানানো খাবার খেয়ে, দুপুরে রান্নায় কাজে হাত লাগালাম। আজকের রান্নাটা অনেক সহজ ছিল, মুসুরি ডাল আর আলু ভর্তা। আর হ্যাঁ, রান্না করতে যাওয়ার আগে সাহেবের প্যান্ট, গেঞ্জি, এবং বিছানার চাদর, এগুলো ভিজিয়ে রেখে তারপর রান্নাটা শুরু করছিলাম। আর আজকে রান্না করতে কোন ঝামেলা হয়নি, অল্প সময়ের ভিতরই হয়ে গেছিল।
আমার রান্না শেষ হলো সাহেবও শুয়া থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে নিল তারপর ভাত খেলো। আমি তাকে খেতে দিয়ে গোসল করতে গেলাম। আগে কাপড়চোপড় গুলো ধুয়ে তারপর গোসল করে নিলাম। গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর দুপুরের খাবার খেলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। আসলে একটা অভ্যাস হয়ে গেছে দুপুরে খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ি।আর এই অভ্যাসটা এখানে আসার পর থেকেই হয়েছে। ছেলেকে ঘুম পারালাম আমি আর ঘুমাইনি আমি কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পরে বাহির থেকে শুকনো কাপড়চোপড় গুলো এনে গুছিয়ে রাখি।
এরপর দেখি কারেন্ট চলে গেছে, কারেন্ট যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলে কান্না করতে করতে ঘুম থেকে উঠে গেল মশার কামড় খেয়ে। এরপর ওকে পাশের বাসায় ভাবির বাসাই নিয়ে যাই ওই বাসায় ওর বয়সী একটা মেয়ে আছে ওর সাথে খেলা করলেই ঠান্ডা হয়ে যাবে। আমাদের বাসায় কোন বাচ্চা আসছে ছেলে এতটা খুশি হয় যা ধারণার বাইরে, ওর জিনিসপত্র যা থাকে তা সবকিছু বের করে দেয়।
এই বাসায় যাওয়ার পর ছেলে অনেকক্ষণ খেলা করলো এরপর হাসিমুখে বাসায় নিয়ে আসি।এরপর মাগরিবের আযান দিলো ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুটা সময় বসে রইলাম, এরপর দেখি সাহেব হাতে একটা চিপস নিয়ে বাসায় ফিরেছে। ছেলে মেয়ে চিপস খেতে লাগলো আর সাহেব বলল, একটা বাসা দেখে আসলাম সামনের মাসে আমরা নতুন বাসায় যাবো এবং টাকাও এডভান্সও দিয়ে আসছি। এই কথা বলে কিছুক্ষণ বাসায় সময় কাটিয়ে তারপর আবার সে চলে গেল।
সাহেব বাসা থেকে চলে গেল ছেলে মেয়েরও চিপস খাওয়া হলো তারপর ওদেরকে পড়াতে বসালাম। ছেলেকে মুখে মুখে পড়াই আর বইর উপর কালার কলম দিয়ে দাগাচ্ছে। ওর পড়ার ভিতরে পাশে বাসা ভাবির মেয়েটা আসলো ওর সাথে খেলা করতে। এরপর আর পড়াতে পারলাম না। ওকে না পড়াতে পেয়ে আমি এদিকে পোস্ট লিখতে শুরু করি।
লেখাটা শেষ করতে মোটামুটি সময় লেগেছে তেমন বেশি সময় লাগেনি লেখাটা কমপ্লিট করে ছেলেকে রাতে ভাত খাওয়াতে বসি। ওকে ভাত খাওয়ানোর শেষ করে তারপর আমি এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে বাসার ভিতরে কিছু খুঁটিনাটি কাজ করি, তারপর রাতের খাবার খেয়ে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।,
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনার সাথে আমি সহমত সকালে খালি পেটে জল খাওয়া অনেক উপকারি। এটা গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। বাহ! আপনার মেয়ে তো বেশ কাজের। নিজে নিজে নাস্তা বানিয়েছে আজ জেনে খুব ভালো লাগলো। আরও ভালো লাগলো যদি ওর হাতের নাস্তা খেয়ে দেখতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, সকাল বেলা খালি পেটে পানি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। সেই সাথে যদি একটু বাইরে ভোরবেলা হাটাহাটি করা যায় আরো শরীরের জন্য খুব ভালো।
সত্যি আপনার মেয়ের বানানো খাবারটি দেখতে খুব লোভনীয় ছিল। মেয়ের হাতে বানানো খাবার খেয়ে আপনি মনে হয় বেশ খুশি হয়েছিলেন।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
একটু একটু করে আপনার মেয়েও বড়ো হয়ে উঠছে, আজকের পোস্ট পড়ে সেটাই মনে হলো। নিজের মেয়ের হাতে তৈরি ব্রেকফাস্ট খেয়ে আপনার নিশ্চয়ই অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিল। আজকাল ইউটিউব দেখে রকমারি খাবার তৈরি করার উৎসাহ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। আপনার মেয়ের তৈরি রেসিপিটিও বেশ লোভনীয় বলেই মনে হলো। বাড়ি পরিবর্তন করা বেশ ঝামেলার কাজ, কয়েকদিন বাদে আবার সেটা করতে হবে আপনাদের। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে নিজের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আরে বাহ আপনার মেয়ে তো দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে। ইউটিউব থেকে দেখে একটা খাবার তৈরি করেছে। যেটা আপনারা খেয়ে অনেক বেশি মজা খেয়েছেন। আসলে বর্তমান সময়ে লোডশেডিং এর অবস্থা কি আর বলব। কারেন্ট চলে গেলে এত পরিমানে খারাপ অবস্থায় মশা এত পরিমানে কামড়ায়। যেটা বলার বাহিরে। আপনি আপনার ছেলেকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।