Better Life With Steem || The Diary game || 8/6/2024

in Incredible India6 months ago
1000094565.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,, আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে খুব ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিনে কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে চাই।


1000094560.jpg

আল্লাহর নাম স্মরণ করে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে হাতমুখ ধুয়ে অজু করে, একমগ পানি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে চলে যাই। নামাজ পরে তারপর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিয়ে রান্না ঘরে চলে যাই, প্রথমে রান্না ঘরে বাসি কাজগুলো করি এরপর সকালের নাস্তা বানায়। আজকের সকালের নাস্তা ছিলো ডিম টোস্ট কিন্তু ফটোগ্রাফি করতে পারেনি, ছেলে ফোন দিয়ে কাটুন দেখে ডিম টোস্ট খেতেছিল তার জন্য।

1000094531.jpg

যাই হোক সকালে নাস্তার খাওয়ার পর্ব শেষ করলাম, কিছুক্ষণ ছেলের সাথে সময় কাটালাম। তারপর ভাবি এরকম বসে থেকে সময় নষ্ট না করে রান্নাঘরে যাই রান্না তো করতেই হবে। এই কয়েকদিন ধরে সাহেব দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে তারপর তার কাজে যায়। আবার আসে রাত ১:৩০ টার সময়। আর এই কথাটি বলার কারণ হলো,সাহেব বাসায় থাকে বলেই আমি দুপুরে রান্না তাড়াতাড়ি বসিয়ে দিই তার জন্য, যাতে সে খেয়ে দেয়ে এবং বিশ্রাম করে ঠিক মতন যেতে পারে।

এই কথাগুলো ভেবেই আমি দুপুরে রান্না বসিয়ে দিলাম। ভাত রান্না হয়ে গেছে তরকারি রান্না করতে বসালাম এর ভিতর কারেন্টটা চলে গেল। কি একটা বড় ঝামেলা এতটা গরমের ভিতর তাও রান্নার কাজে সময় কারেন্টটা চলে গেল। কোন রকম কষ্ট করে রান্নাবান্না শেষ কলাম এদিকে পুরো শরীরকল ঘেমে ভিজে চুপচুপ হয়ে গেছে ।

1000094523.jpg

রান্না শেষ হওয়ার পর কিছু বসে হাত পাখা দিয়ে শরীরটা ঠান্ডা করলাম। এদিকে সাহেব গোসল করে এসে বলে খেতে দাও, আমি বললাম এই গরমের ভিতরে কিভাবে খাবে। তারপর সে বলে কিছু হবে না তুমি খেতে দাও। আমি তাকে খেতে দিলাম সে খেতে লাগলো আর আমি হাত পাখা দিয়ে বাতাস করি। সে খেতে লাগলো তার শরীর থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ছে একবার গোসল করে এসেছে আর একবার ঘামে গোসল করিয়ে দিয়েছে।

সে খেয়ে দেয়ে হাতমুখ ধুয়ে উঠেছে এর ভিতরে কারেন্ট চলে আসলো। এরপর আমি জলদি করে ভাত খাওয়া থালা-বাসন গুলো বেচিনে রেখে ফ্যানের নিচে বসে পড়ি।

1000094539.jpg
1000094535.jpg

কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে যাই। আমার গোসল করা হয়ে গেলো,আর এদিকে ছেলে এক বালতি পানির ভিতরে বসে পরলো সে বালতি থেকে উঠবেই না। দুহাত দিয়ে পানি থাবরাচ্ছে আর হাসতে। এরকম ভাবে ওর মুখে হাসি দেখে আমি কিছুক্ষণ ওকে সময় দিলাম।

1000094546.jpg

অনেকক্ষণই সময় দিলাম গোসল করতে তারপর দেখি উঠছেই না এক পর্যায়ে ওকে জোরাজোরি করে বালতি থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসি। এরপর ওকে জামা প্যান্ট পরিয়ে দিয়ে ওর বোনের কাছে রেখে আমি জোহরে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করেই সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে দুপুরে ভাত খাইয়ে দিয়ে এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করি।

আমরা খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ি, আর সাহেব তো সেই দুপুরে খাবার খেয়ে দেড়টার সময় বাসা থেকে বের হয়েছে। ছেলে মেয়ে ওরা ঘুমিয়ে পড়ে আমি ঘুমাইনি, আমি শুয়ে শুয়ে ফোন ব্যবহার করছিলাম। এরপর দেখি পাঁচটা বেজেছে আর আসরের আজানও দিয়ে দিলো তারপর ফোন রেখে নামাজ পরে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ পরে পাশের বাসার ভাবির বাসায় যাই আর তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। কথা বলতে বলতে দেখি এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেল তারপর বাসায় এসে পড়ি।

1000094554.jpg

এরপর অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে মেয়েকে পড়তে বসাই । তারপর মেয়ে পড়ার ভিতরে বলে আম্মু অনেকদিন হয়েছে ফুচকা খাইলে চলো আজকে ফুচকা খাই। তারপর আমি বললাম ফুচকা খেতে হলে তো বাহির থেকে কিনে আনতে হবে কিভাবে কিনে আনব। এরপর মেয়ে বলে তুমি গেটের সামনে দাঁড়াবে আমি কিনে নিয়ে আসবো আজকে খেতেই হবে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। তারপর আর কি করবো সন্ধ্যাবেলা ফুচকা খেলাম।

ফুচকা খেয়ে মেয়ে পড়তে বসলো আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি। আর এদিকে ছেলে সেই বিকেলে ঘুমিয়েছে এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি, এত উঠাবার চেষ্টা করি তাও আবার লড়েচড়ে ঘুমাচ্ছে। আর হ্যাঁ পোস্ট লেখতে ছিলাম এর ভিতরে আমার ক্লাসমেট বান্ধবী ফোন দিল। অনেকদিন পর ওর সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম। ওর পরিবারের এবং ওর খোঁজ নিলাম আমারটাও নিল খুব ভালো লাগলো কথা বলে। যাইহোক ওর সাথে কথা বলে বিদায় জানিয়ে তারপর আমি বাকি পোস্ট লেখাটা শুরু করি।

পোস্ট শেষ করা মাত্রই আমি এশার নামাজ পড়ি । নামাজ শেষ করে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি ৯ টা বাজতে আর আর মাত্র দশ মিনিট সময় আছে। তাই ছেলেকে আর জোরাজুরি না করে ঘুম থেকে উঠই নি, ভাবি আজকে তো টিউটোরিয়াল ক্লাস আছে ক্লাস করে একবারে ঘুম থেকে উঠে ভাত খাইয়ে দিবো । এরপর আর কি করব তারপর দেখি ৯ঃ০০ টা বেজে গেল তারপর ক্লাসে জয়েন্ট করলাম।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
Loading...
 6 months ago 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নিজের কাজকর্ম সেরে নিয়েছেন। আপনার রান্না করা বেগুন ভাজি গুলো দেখে কেন জানি লোভ লেগে গেছে। যাইহোক, আপনার পোস্ট পড়ে সব থেকে মজা পেলাম আপনার ছেলের কান্ড দেখে। শুধু আপনার ছেলে যে এমন করছে এমনটা না। আমরাও ছোটবেলা এমন করেছিলাম। আপনার ছেলে বালতিতে বসে, কি মজাটাই না করতেছে।
সন্ধ্যার পর সবাই মিলে ফুচকা ও খেয়েছেন।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

এই গরমের সময় কারেন্ট বেশ ঝামেলা করছে হয়ত সব জায়গায়। কারেন্ট চলে গেলে রুমে টিকে থাকা মুশকিল। আপনার ছেলেকে স্নান করিয়েছিলেন মনে হচ্ছে গরমে সে স্নান করে বেশ খুশি হয়েছে। গরমের যে অবস্থা তাতে আপনার ছেলে জলের ভিতর থেকে উঠতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে আমারও মনে হয় যে জলে গিয়ে বসে থাকি। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

আপনি একদমই ঠিক কাজ করেন উনি যদি সঠিকভাবে বাসা থেকে খাবার খেয়ে যেতে না পারে। তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে কাজ করতে উনার অসুবিধা হবে। ছোট বাচ্চাদের এই একটা অভ্যাস পানি দেখলে বালতির ভেতরে বসে পড়ে এবং নিজে নিজে গোসল করতে থাকে। ফুচকা খেয়েছেন যেটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে এবং অনেক লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।