𝐁𝐞𝐭𝐭𝐞𝐫 𝐋𝐢𝐟𝐞 𝐖𝐢𝐭𝐡 𝐒𝐭𝐞𝐞𝐦 || 𝐓𝐡𝐞 𝐃𝐢𝐚𝐫𝐲 𝐠𝐚𝐦𝐞 || 01/12/2024
হ্যালো গায়েজ
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে
আজকে সকালে মেয়ে আমার আগে ঘুম থেকে উঠে যায়। ওঠে হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নিল, মাদ্রাসা যাওয়ার আগে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল তারপর আমি উঠে গেলাম তখন সকাল সাতটা। এরপর ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে বসে এক গ্লাস ভুসি ও তোকমার পানি খেলাম।
খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলাম। সকালে নাস্তা বানাতে হবে এবং মেয়েকে টিফিন দিয়ে আসতে হবে।এতদিন প্রায় মেয়ের মাদ্রাসা ১০ দিনের মতন বন্ধ ছিল,সকালবেলা তেমন একটা তাড়াতাড়ি নাস্তা বানানোর তারা ছিল না নিজেদের ইচ্ছামতল বানিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার ভিতরেই বানাতে হয় এবং মাদ্রাসা দিয়ে আসতে হয়। আজকে সকালে নাস্তা বানিয়েছি নুডুলস।
নুডুলস রান্না করে আগে ছেলেকে দিলাম আর মেয়ের টিফিন বক্সে নিয়ে নিলাম। কিছুটা নুডুলস ঠান্ডা করে ছেলেকে খাইয়ে দিলাম, ছেলেকে চার চামচ নুডুলস খাইয়ে দিয়ে মেয়ের মাদ্রাসায় চলে গেলাম না হয় ওদিকে মেয়ের টিফিনের সময় দেরি হয়ে যাবে।
মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে আবার ছেলের কাছে বসলাম ওকে আবার বাকি নুডুলস খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমি খেলাম এবং সাহেবকেও দিলাম। সাহেব সকালে নাস্তা করে দশটার ভিতরে দোকানে চলে গেল। তারপর আমি রান্নার কাজে হাত লাগাই, আজকে যে রান্না গুলো করেছি সব লোভনীয় খাবার।
আসলে লোভনীয় বলতে বোঝায় যারা আমার মতো ভর্তায় পাগল তাদের কাছে খুব লোভনীয় হবে। আজকে দুপুরে রান্না করলাম ধনেপাতা ভর্তা, টমেটো ভর্তা, আলু ভর্তা, মরিচ ভর্তা, তার সঙ্গে আছে পানি ডাল। এগুলো রান্না করে রান্না ঘরটা গুছিয়ে রেখে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।
গোসল করে এসে আগে ছেলেকে হাতে পায়ে লোশন লাগিয়ে বসিয়ে রেখে আমি জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ হলে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বসি। আজকে রান্না কাজ থেকে যতটা এগিয়েছি ততটা আবার পিছিয়ে গেছি ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসে। দুপুর দুইটার সময় খাওয়াতে বসেছি তিনটা বিশে ভাত খাওয়া শেষ হয়েছে। ছেলেকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমি খেলাম।
খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম ৫ মিনিট পরে আসরের আজান দিল। ভাত খেয়ে শুয়ে পরার পর শরীরটা খুব ভারী লাগছিল ভাবছি আরেকটু বিশ্রাম নি, তারপর উঠে নামাজ পড়ে নিবো। কিন্তু সেটা আর হলো না ওই একটু পর বলতে অনেকটা সময় লেগে গেছে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি অজান্তে বুঝতে পারিনি সাহেব এসে গোসল করে যখন ভাত খাবে তখন আমাকে ডেকে উঠালো।
সাহেব ভাত খেয়ে উঠলো তার ১০ মিনিট পরে মাগরিবের আজান দিল। আমি আর বসে থাকিনি ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ বসেছি তারপর ছেলে বলে ক্ষুধা লাগছে এরপর ওকে এনার্জি বিস্কুট খাইয়ে দিলাম। আজকে আর ছেলেকে পড়তে বসাতে পারিনি, সে নিজের মতো খেলছে।
ওর খেলা দেখে আমি আর বসে রইনি ছেলের পাশে বসে তখন পোস্ট লিখতে ছিলাম। পোস্টটা লিখে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আর কি বলবো প্রতিদিনের রাতের মতন আজকের রাতটা একই রকম ভাবেই কেটে গেল।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)