𝑩𝒆𝒕𝒕𝒆𝒓 𝑳𝒊𝒇𝒆 𝑾𝒊𝒕𝒉 𝑺𝒕𝒆𝒆𝒎 || 𝑻𝒉𝒆 𝑫𝒊𝒂𝒓𝒚 𝒈𝒂𝒎𝒆 || 24/11/2024
হ্যালো বন্ধুরা, সবাইকে আমার আজকের পোষ্টের স্বাগতম, দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে; প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ,আমি অনেক ভালো আছি। আজকের দিনটা আমার ভালো ভাবেই কেটে গেছে, চলুন আর দেরি না করে আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায়।আকাশটা কুয়াশা একদম ভরে গেছে, এবং ওই কুয়াশার কারণে কিছু কিছু শীত লাগছে। সকালবেলা ট্যাপের পানি খুব ঠান্ডা থাকে তাই ওযু করে কাপতে কাপতে রুমে চলে এসে ফজরের নামাজ আদায় করি। ফজরের নামাজ আদায় করে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে পড়ি এবং শোয়াতে ঘুমিয়ে যাই।
এরপর সাড়ে আটটার সময় উঠি, উঠে সরাসরি রান্না ঘরের দিকে চলে যাই কারণ, আজকে সকালে নাস্তা খাওয়ার মত তেমন কিছু ছিল না ছেলে মেয়েদেরকে এনার্জি বিস্কুট খেতে দিলাম আর ওগুলো খেলে তো আমার পেট ভরবে না কারণ, বাঙালি মানুষ ভাতটাই বেশি একটা পছন্দ করি।
সকাল ৯ টার ভিতরে দুপুরের রান্না টাই বসিয়ে দিলাম। সকালে গরম গরম ভাত খেতে পারব,আর দুপুরেও রান্না করার তেমন একটা তারা থাকবে না। তাই আজকে একেবারে সকাল সকাল দুপুরে রান্না করে নিলাম।
আজকে রান্না করলাম বাঁধাকপি, ডাল, আর সবজি। আগের বাঁধাকপি রান্না করে গরম গরম ভাত দিয়ে খেয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বাকি রান্না গুলো করে নিলাম। সাড়ে দশটার ভিতরে আমার সবকিছু রান্না এবং সবকিছু গোছানো শেষ হয়ে গেল।
আজকে রান্না তাড়াতাড়ি শেষ হলেও তারপরও, দুপুর একটা ছাড়া গোসল করতে যেতে পারিনি। কারণ ছেলেটার কালকে গলা বয়ে গেছিলো ঠিক মতো কথা বলতে পারেনি, আজকে থেকে আবার দেখি নাক থেকে শুধু পানি ঝরছে আর অনেক কাশি। তাই ছেলে অসুস্থতার কারণে ছেলেকে কিছুক্ষণ সময় দিলাম মানে ওর সাথে বসে থাকলাম এবং বসে বসে ওর সাথে দুষ্টুমি করলাম।
দুষ্টুমি ভিতরে দেখি ছেলে ঘুমিয়ে পড়ছে কারণ কালকে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি সর্দির কারণে শ্বাস নিতে পারছিল না । প্রায় অর্ধেকটা রাত কান্না করলো এবং ওর সাথে আমি জেগে রইলাম। এরপর তাড়াতাড়ি করে হাত পা পানি মুছে দিয়ে রুমে নিয়ে আসি এরপর কয়েক লোকমা ভাত খেয়ে দিলাম ভাত খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ল।
ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে আমি গেলাম গোসলে। গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে তারপর দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে আমিও ছেলের সঙ্গে শুয়ে পড়ি ; ঘুম পড়িনি শুয়ে কিছুক্ষন ফোন ব্যবহার করি। এরপর দেখি চারটার সময় সাহেব এসে গেল সে বাসায় আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো। তারপর গোসল করে ফ্রেশ হয় টেবিলে বসলো আমি তাকে খাবার খেতে দিলাম। তাকে খেতে দিয়ে আমি ওযু করে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। আমার নামাজ শেষ হতে না হতেই সাহেবের খাওয়া হয়ে গেল। সে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল এবং ঘুমিয়ে পড়ল।
আধা ঘন্টার মত ঘুমালো এরই মাঝে মাগরিবের আজান দিলে এরপর শোয়া থেকে উঠে গেল।এদিকে মাগরিবের আযান দেওয়ার পর আমি আর বসে থাকেনি, মাগরিবের নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে কয়েক পিস গজা খেলাম। এই খাবারটাকে আমরা গজা বলে চিনি হয়তো আপনার ভাবতে পারেন গজা আবার কিসের খাবারের নাম। আর যারা আমার পোস্টটা পড়বেন অবশ্যই এই খাবারটাকে আপনার কি বলে ডাকেন কমেন্টে লিখে যাবেন।
যাইহোক সন্ধ্যার নাস্তা খেয়ে আর বেশিক্ষণ বসে থাকেনি, পোস্ট লিখতে বসি। আবার পোস্ট লেখার ভিতর ভাত রান্না করা কথা মনে, ছিল না কিছুটা পোস্ট লিখে তারপর ভাতটা বসিয়ে দিয়ে আবার বাকি লেখাটা লিখে নিলাম। পোস্ট লেখা কমপ্লিট করতে করতে এদিখে আমার ভাতটা হয়ে গেল। এরপর ছেলেকে গরম গরম ভাত খাইয়ে দিয়ে সাড়ে নয়টার ভিতরে ঘুম পাড়িয়ে দি;আর আমি এশার নামাজ পড়ে ছেলের পাশে শুয়ে থাকি।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)