পক্ষপাত।🥀
"নমস্কার বন্ধুরা"! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। গতদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক...
সে সব সময় বলে যে আমি সবার মতো না। আমার ভেতর নাকি আলাদা একটা সত্বা আছে। মাঝে মাঝে আমার ঈশ্বরের কাছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে যে,কোনদিনও কি আমার সাথে ভালো কিছু হবে?নাকি এমনটাই বারবার হবে আমার সাথে। আমরা তিন বন্ধু আমি,শান্ত ও সানজিদা। শান্ত এবং সানজিদার মধ্যে অনেকবার ঝামেলা হয়েছে। খুব ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা হয়।
আমি সব সময় চেষ্টা করেছি যেন ওদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। এটার ভেতর আমার কিছুটা নিজের স্বার্থও আছে। আমার খুব ভালো বন্ধু বলতে ওরা দুজনেই আছে। আমি তাদের দুজনের কাউকে কখনো হারাতে চাই না। এইজন্য তাদের মধ্যে যতই ঝামেলা হোক না কেনো আমি সব সময় ওদের ঝামেলা মিটিয়ে দেই। আমি নিজে ওদের কাছে খারাপ হয়ে হলেও আমি সবসময় চেষ্টা করি ওরা যেন এক হয়ে যায় এবং আমার সাথেই থাকে।
আমি মনে হয় একটু বোকার স্বর্গে থাকতে ভালোবাসি। আমি জানি, শান্ত সানজিদার সাথে থাকলে আমায় ভুলে যায়। ওর মনেই থাকেনা যে, আমি বলে কেউ ওদের মাঝে আছি। আমি হাজার চেষ্টা করেও নিজেকে আটকাতে পারি না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি ওদের মাঝে যাব না, কিন্তু আমি পারিনা। কেনো পারি না তাও আমি জানিনা। আমি বারবার অপমানিত হই তারপরও আমি বারবার তাদের কাছেই ফিরে যাই।
আমি কি কোনদিনও ভুলতে পারবো শান্তর সানজিদার দিকে তীব্র গতিতে ধাতব হওয়ার দৃশ্যটা। সেদিন তো আমাকে একবার বলতে পারতো যে,তুই ও আয় আমার সাথে একা একা বৃষ্টিতে কেনো দাঁড়িয়ে থাকবি। সে একবার চেয়েও দেখেনি আমার দিকে। আমার দিকে না তাকিয়েই চলে গিয়েছিল আমাকে পেছনে ফেলে। তবে আমি কোনোদিনই সানজিদাকে দোষ দিতে পারবো না।
সানজিদা আমাকে আমার মত করে ভালোবাসে। ওই আমার একমাত্র বন্ধু যে আমাকে আমার মতো করে মেনে নেয়। আমাকে আমার মায়ের মত করে আগলে রাখে। সেদিনও ও আমাকে বলেছিলো "যে আজ অনেক হাঁটাহাঁটি করা হয়েছে তার উপর বৃষ্টিও পড়েছে তুই এখানে দোকানের সামনে দাঁড়া, আমি গিয়ে তোর জন্য খাবারটা নিয়ে আসছি "। সানজিদা শান্তকে ও অনেকবার করে আমার সাথে থাকার কথা বলেছিল কিন্তু শান্ত ওর কথা না শুনে আমার কথা একবারও না ভেবে, আমাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিল।
সেদিন আমি প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি যেটা ওর জন্য অনুভব করি সেটাই একপাক্ষিক। ও হয়তো কোনদিনও আমায় আমার মতো করে ভাবতে পারিনি। আমি আগে খুব চাইতাম যে, শান্ত আমাকে বুঝুক আমি কি চাই সেটার দিকে খেয়াল করুক। কিন্তু আমিও সেদিনের পর থেকে আর কখনো ওকে বুঝতে দেয়নি যে আমি কি চাই।
আমি নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে ফেলেছি। আমি কি চাই সেটাই এখন তুই আমার নিজের ব্যাপার। আমি এখন চাইও না যে বুঝুক। আমি জানি ও কোনদিন আমাকে বুঝতে পারবে না। তাই আমি আমার অনুভূতিগুলো একান্তই নিজের করে ফেলেছি। যা আমার তা শুধুই আমার, সেটার উপর কারোই কোন অধিকার নেই। এমনকি যার জন্য অনুভূতি তার ও না.......!!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মনে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো লেখা! আপনার অনুভূতির গভীরতা এবং অভিজ্ঞতার বর্ণনা সত্যিই হৃদয়গ্রাহী। বন্ধুত্বের জটিল দিকগুলো নিয়ে আপনার যে সংগ্রাম, সেটি অনেকেরই জীবনের সঙ্গে মেলে।
এমন একপাক্ষিক অনুভূতির সাথে লড়াই করা অনেক কঠিন, কিন্তু আপনি যেভাবে নিজের আবেগগুলোকে নিজের ভেতরে আটকে রাখতে শিখেছেন, সেটা একটা মানসিক শক্তিরই প্রমাণ।
সত্যিকারের বন্ধুত্ব হলো একে অপরকে গ্রহণ করা এবং পাশে থাকা, আর সানজিদার প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতাবোধ সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি শান্তি এবং মানসিক স্থিতি পাবেন। আপনার এই লেখাটা আমাদের সকলকেই ভাবায়, বিশেষ করে নিজের প্রতি এবং আমাদের জীবনের সম্পর্কগুলো নিয়ে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আল্লাহ আপনার জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলুন এবং প্রতিটি দিন শান্তি আর আনন্দে ভরে উঠুক। ধন্যবাদ এমন একটি হৃদয়স্পর্শী লেখা শেয়ার করার জন্য।