রবিবারে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত।

in Incredible India5 days ago

বাহিরের জীবন অনেক কষ্টের জীবন তবুও এই কষ্টের মধ্য কিছুটা আনন্দ খুঁজে পেতে চাই আমরা সবাই। হয়তোবা বাংলাদেশে থাকলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে এই বাহিরের দেশে এসে নিজেদের কোনো আত্মীয়-স্বজন দের বাড়ি যেতে পারি না। তবে বাংলাদেশের কিছু পরিচিত মানুষ আছে যারা একটি সময় আমাদের কাছের মানুষ ছিলো। হয়তোবা তারাও এই বাহিরের দেশে এসেছে এবং আমরা বাহিরের দেশে আছি। তাদের সাথে কম বেশি আমাদের যোগাযোগ হয়ে থাকে।

1000046369.jpg

ঠিক তেমনি আমার সাথে একটি ভাই কাজ করে তার দুইটি বন্ধু রবিবারে আসার কথা ছিলো আমাদের এখানে। এবং আপনারা সবাই জানেন সনি ও রবি আমাদের দুই দিন ছুটি ছিলো। যেহেতু তার বন্ধুরা রবিবারে ছুটি নিয়ে আসতে চেয়েছিল আমাদের এখানে। তাই সেই ভাইটি আমাদের আগে থেকে বলে রেখেছিল তার দুইটি বন্ধু আমাদের এখানে আসবে।

1000046370.jpg

আমরা শনিবারে মাংস এবং বিরিয়ানি রান্না করার জন্য চাউল এবং যে সকল জিনিসের প্রয়োজন থাকে সবকিছু নিয়ে রেখেছিলাম। আমরা বর্তমানে ম্যাচে ৪ জন খাওয়া-দাওয়া করি কিন্তু দুই জন আত্মীয় আসবে সব মিলিয়ে ৬ জন মানুষ। এবং আরো দুইটি মানুষকে আমরা দাওয়াত দিয়ে রেখেছিলাম। তার মধ্য থেকে আমার দুলাভাই ছিলো একজন । এবং অন্যজন ছিলো আরেকটি ভাই তার সাথে ভালো সম্পর্ক আমাদের।

1000046371.jpg

একটি জায়গায় থাকলে যেমন অন্য মানুষের সাথে পরিচিত হয় ঠিক তেমনটাই পরিচিত সেই ভায়ের সাথে। যাহোক রবিবারে রান্নার জন্য আমরা সকাল সকাল প্রস্তুত নিয়ে ছিলাম। কিন্তু বিরিয়ানি আমি রান্না করতে পারি‌না। তাই মামুন ভাই কে বলেছিলাম বিরিয়ানি রান্না করে দেয়ার কথা। বিরিয়ানি রান্না করার পথে গিয়ে আমি সেখান থেকে দুইটি ছবি ধারণ করে নিয়েছিলাম। এবং মামুন ভাইয়ের রান্না শেষ হয়ে যায় কিছু সময়ের মধ্যে আমরা ততো সময় বসে ছিলাম সবাই।

1000046372.jpg

যাইহোক কিন্তু দুইজন বাহিরে থেকে আসবে আত্মীয় আমাদের এখানে তাদের কোন খবর নাই। যে ভাইয়ের বন্ধু তাকে বললাম তোমার বন্ধুরা আসছে না কেনো ফোন দিয়ে দেখো। কিছু সময় ফোন দিচ্ছে কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না বিষয়টি কেমন যেনো লাগছিল আমাদের। এদিকে আমরা যে চারটি মানুষ আছি আমাদের পেটে অনেক ক্ষুধা লেগে যায়। কারণ কোন রকম ভাবে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম কারণ যেহেতু আমাদের এখানে আত্মীয় আসবে।

1000046291.jpg

পরবর্তীতে জানতে পারি তারা যেখানে কাজ করে সেখান থেকে তাদের বস আসতে মানা করছে। কারণ তাদের পাসপোর্ট নাই এখনও সরকারি ভাবে ভিসা তৈরি করতে পারিনি। তখন আমাদের কম বেশি রাগ হতে শুরু করলো কারণ তাদের জন্য এতো আয়োজন তারাই এখন নাই। যাইহোক দোলাভাই কে ডেকে এবং সেই ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়েছি যাকে দাওয়াত দিয়েছি। দুলাভাই আসলো কিন্তু সেই ভাইটি বলল সে এখনো রান্না করছে সে পরে খাওয়া-দাওয়া করবে।

1000046290.jpg

ভেবে ছিলাম সবাই এক সাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করব এবং অনেক আনন্দ করবো। বাহিরে থেকে আত্মীয় আসছে আমাদের এখানে তাদের সাথেও কিছুটা সময় পার করবো। কিন্তু সব কিছু যেনো কেমন একটি হয়ে গেলো । কোন মানুষকে পেলাম না তাই দেরি না করে আমরা চার-পাঁচজন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিয়েছিলাম। তবুও দুলাভাই ছিলো দুলাভাই একটু রসিক আছে। সে অনেক হাসির মজার কথা বলছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় ছবি ধারণ করার মতো মন আর ছিলো না।

ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন

@baizid123

Sort:  
Loading...
 3 days ago 

হাজার ও কষ্ট আর পরিশ্রমের মাঝে দিন কাটে আপনার এরপরে আবার পরিবারের একটা মানুষও কাছে নেই,,, এটা আপনার জন্য সত্যি অনেক কষ্ট দেয়,,,।
তবে এত এত কষ্টের মাঝে যখন এরকম আনন্দ উপভোগ করা যায় তখন কিন্তু নিজেকে একটু শান্তি দেওয়া যায় নিজেকে একটু ভালো রাখা যায়,, তখন কিন্তু মনটা অনেক ভালো লাগে,,,। আপনার দিনটা শুভ হোক সেই প্রত্যাশা আমি করছি।।