আমি আজকের দিনটা যে ভাবে কাটিয়ে ছিলাম তার কিছু অংশ।
হ্যালো বন্ধুরা গুটি গুটি পায়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। আজকে আসলে পোস্ট লেখার কোনো অনুভূতি আমার ছিলো না। কারণ গতকাল রাত থেকে শরীরটা খুব বেশি ভালো লাগছে না। দুপুরে ঔষধ খেয়ে মনে করেছিলাম একটু ঘুমাবো কিন্তু ঘুমানোর কোন সুযোগ ছিলো না। গতকাল বলেছিলাম নতুন রুমে গিয়েছি যেখানে কারেন্টের অনেক সমস্যা। গতকাল রাত দুইটার সময় কারেন্ট ঠিক করে ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু সকাল হতেই কারেন্ট আবার সমস্যা দেখা দেয়।
যাই হোক সকালে গোসল করে ক্যান্টিনের দিকে চলে আসলাম। এসে দেখতে পেলাম আজকে রবিবার বলে অনেকেই কাজে যায়নি। অনেক মানুষ ক্যান্টিনে বসে আছে এবং ক্যান্টিনের মালিক আজকে বিরিয়ানি রান্না করছে। সেখানে সহযোগিতা করার জন্য অনেক মানুষ আছে। তাই তাদের সাথে বসে কিছু সময় আড্ডা দিচ্ছিলাম। ভেবে ছিলাম মনটা হয়তো বা ভালো থাকবে। কারণ অসুস্থ শরীর থাকলে কোন কিছু ভালো লাগে না।
যাইহোক সেখানে বসে বসে আর ভালো লাগছিল না। তাই কমিউনিটিতে ঢুকে কয়েক টি পোস্ট দেখছিলাম। এবং সেখান থেকে কয়েকটি পোস্টে কমেন্ট করি। যখন বসে কমেন্ট করছিলাম তখন ছোট্ট একটি বিড়াল আমার কাছে আসে। আপনারা সবাই জানেন আমি বিড়াল অনেক পছন্দ করি। সে আমার পায়ের উপরে এসে বসেছিল তাই তাকে নিয়ে কিছুটা সময় কাটালাম। তার সাথে সময় কাটাতে ভালোই লাগছিল।
বিড়ালটির সাথে সময় কাটাতে কাটাতে দুপুর হয়ে যায়। ওদিকে ভাত খাওয়ার জন্য মামুন ভাই আমার কাছে ফোন দিয়েছিল। কিন্তু ভাত খাওয়ার কোন ইচ্ছা আমার ছিলো না। কারণ মাথাটা এতটাই যন্ত্রণা করছে যে কিছুই ভালো লাগছিল না। তাই সেখানে বসে কিছু সময় বিড়ালের সাথেই খেলা করি। কিন্তু দেখতে পেলাম কারেন্ট আজকে ঠিক করার জন্য মানুষ পাঠিয়েছে।
সেই মানুষটির সাথে সাথে আমিও যাই কারণ আমাদের রুমে সমস্যা আছে। তার পাশাপাশি অনেক গভীর রাত পর্যন্ত কারেন্ট ঠিক করেছি। ঠিক করা বলতে পাশ থেকে অন্য আরেকটি মানুষের রুম থেকে কারেন্ট নিয়েছিলাম। যেহেতু আজকে কারেন্ট ঠিক করছে। তাই ভেবেছিলাম আজকে রাতে হয়তোবা সুন্দর ঘুম হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে কারেন্ট ঠিক করছিল আমি সেটা দেখছিলাম।
কিন্তু কারেন্ট ঠিক করা অবস্থায় বৃষ্টি চলে আসে। আমি দৌড়ে রুমের দিকে না গিয়ে আবারো ক্যান্টিনে আসি। সেখানে এসে দেখতে পেলাম ক্যান্টিনে অনেক মানুষ আছে। কারণ বৃষ্টি আসছে সবাই কম বেশি ক্যান্টিনের দিকে চলে এসেছে। সেখানে এসে অনেক মানুষ আমরা এক জায়গায় হই। সবাই বসে অনেক ধরনের আলোচনা করছিলাম। কেউ কেউ বলছিল কবে বাড়ি যাবে। কেউ বলছিল কোথাও ঘুরতে যাবে এমন ধরনের কথা।
এক জায়গায় অনেক মানুষ হলে যেটা হয় আর কি। বৃষ্টি থামার পরে শুনতে পেলাম আমাদের রুমেই সমস্যা বেশি। তাই আবার ধীরে ধীরে রুমের দিকে যাই। সেখানে গিয়ে কি ভাবে ঠিক করা যায় সেটা বের করছিলাম। কিন্তু মামুন ভাই সেখানে আছে বলে। আমি তাকে বললাম আমার শরীর ভালো লাগছে না আমি ক্যান্টিনে গিয়ে বসছি। সে বলল আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই।
ক্যান্টিনে এসে দেখতে পেলাম আমাদের এখান কার একটি বড় ভাই ও ক্যান্টিনের মালিক গল্প করছে। কথা হয়েছিল বাংলাদেশের মাছ সম্পর্কে। ওই যে কথায় আছে এক দেশের ভাষা অন্য দেশে মেলে না। ঠিক তেমনটাই আমরা যেমন চিংড়ি মাছ বলে থাকি। ক্যান্টিনের মালিকের বাসার দিকে সবাই ইছামতি মাছ বলে। সেটা নিয়ে অনেক ধরনের কথা হয়েছিল এখানে। এবং বিশেষ করে আমি তো ইছামতি নদীর নাম শুনেছি। কিন্তু কখনো ইছামতি মাছের নাম শুনিনি।
যেহেতু ইছামতি নদী আমার বাড়ির এলাকায় এই সব নিয়ে আমরা সেখানে কিছু সময় কথা বলি। এভাবে কথা বলতে বলতে বেশ ভালই লাগছিল। কারণ আজ কয়েক দিন ধরে কাজ হয় না । তার পাশা পাশি বসে থাকতেও ভালো লাগছে না। যেহেতু তাদের সাথে বসে কিছু সময় কথা বলছিলাম মোটামুটি ভালোই সময় কেটে যায়। এখানে বসে থাকতে থাকতে আবার রান্নার সময় এসে যায়। তাই ভাবলাম গিয়ে গোসল করে আসি। সেখান থেকে উঠে আমি চলে যাই। এবং গিয়ে দেখতে পেলাম রুমে কারেন্ট ও চলে এসেছে । যা দেখে ভালো লাগছিল। এ ভাবে আজকের দিনটা কিছুটা সময় পার করি এবং মাথাটা এখনো যন্ত্রণা করছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @edgargonzalez
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।