আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমি খুব বেশি ভালো নেই তবুও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তিনি যে ভাবে নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে এটাই ভালো নিয়ে যাচ্ছে। কারণ অনেক মানুষ এখন অনেক সমস্যায় ভুগছে। হয়তোবা আমার ছাড়া আরো অনেক মানুষ বেশি অসুস্থ আছে। যাহোক সৃষ্টিকর্তা যে ভাবে নিয়ে যাচ্ছে এটাই ভালো যাচ্ছে।
আমি আমার কাজের কিছু দৃশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমাদের এখানে এ সি নিয়ে এসেছে। কারণ আজ কয়েক দিন ধরে আমাদের এখানে কাজ অনেক কম। এবং আজ কয়েক দিন ধরে ছুটি কাটাচ্ছি। তাই গতকালকে এ সি অর্ডার দিয়েছিল সে গুলো নিয়ে এসেছে আমাদের এখানে। প্রায় ৩০ টি এ সি নিয়ে এসেছে। যদি সব গুলো এ সি আমরা লাগাতে পারি তাহলে বেশ কিছু দিন আমাদের কাজ হবে।
এ সি গুলো নিয়ে যেতে হবে আমাদের আট তলার ওপরে। কিন্তু প্রোজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে বলে। যে লিফট গুলো আছে এই লিফট দাঁড়াবে নয় তালার পরে। নয় তলা থেকে পরবর্তীতে আমাদের আট তলায় নিয়ে যেতে হবে এ সি গুলো। আমরা সব গুলো এ সি লিফটে করে নয় তলায় রেখে আসি। লিফটে আমাদের দুই বার যেতে হয় কারণ সব গুলো এ সি সেখানে ধরে নাই।
তাই আমরা ধীরে ধীরে সেই গুলো নয় তলার ওপরে রেখে আসি। এবং বসের দোকান থেকে এই এ সি গুলো নিয়ে এসেছে গাড়ি করে। এবং আমাদের কিছু কাটা পাইপ ছিলো যে গুলো বসের দোকানে পাঠাতে হবে। তাই আমরা রুম থেকে পাইপ গুলো এনে গাড়িতে তুলে দিয়েছিলাম। গাড়ি চলে যাওয়ার পরে আমরা ক্যান্টিনে বসে ছিলাম। কারণ এসি ওপরে দিয়ে এসে কষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই ক্যান্টিনে বসে ঠান্ডা খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো।
আমরা দুই জন দুইটি ঠান্ডা অর্ডার দিয়েছি সে তৈরি করে আমাদের ঠান্ডা দিয়েছে। এবং দেখতে পেলাম দোকানে লাল শাক নিয়ে এসেছে। আজ কয়েক দিন ধরে শাক খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো ।কিন্তু শাক দোকানে নিয়ে আসছে না। আজকে ক্যান্টিনে থাকতে থাকতে শাক নিয়ে এসেছে। তাই সেখান থেকে ২ আটি শাক আমরা রেখে দিয়েছিলাম। এবং ওপরে কিছু কাজ ছিলো যে কাজ গুলো শেষ করে আমরা চলে আসি।
মামুন ভাই আজকে বাহিরে ছিলো এবং আমি কখনো শাক রান্না করি নাই। কিন্তু মামুন ভাই যেহেতু বাহিরে আছে তাই শাক আমার রান্না করতে হবে। আমার সাথে আরেকটি ভাই ছিলো সে শাক কাটা শুরু করে দেয়। কারণ গোসল করার সময় শাক ধুয়ে নিয়ে আসবে একে বারে। আমিও তার সাথে গিয়ে কিছুটা কাজ করে দিয়েছি। গোসল করে এসে ঝাল পেঁয়াজ গুলো কেটে নিয়েছিলাম। এবং এই লাল শাকের সাথে আরও একটি জিনিস দেয়ার ইচ্ছা ছিলো। কুমড়ার বড়ি, কুমড়ার বড়ি ভাজি করে দিলে লাল শাক খেতে ভালো লাগবে।
ঝাল পেঁয়াজ গুলো কেটে আমি রান্নার জন্য প্রস্তুত নিয়েছি। আমি প্রথমে গিয়ে কুমড়ার বড়ি গুলো ভেজে নিয়ে ছিলাম। এবং সত্য কথা বলতে আজ আমি প্রথম লাল শাক রান্না করছি। আমি যখন লাল শাক রান্না করছিলাম তখন। যে পাতিলে রান্না করছিলাম সেটাই ধরছিল না। আমি তো ভয় পেয়ে যাই আজকে মনে হয় রান্না খাওয়া-দাওয়া সব শেষ। কিছু সময় পরে দেখতে পেলাম শাক গুলো অনেক কমে গিয়েছে। তখন মনে হলো এখন রান্না করতে পারবো।
রান্না করতে করতে মামুন ভাই আবার আমার কাছে ফোন দিয়েছে। গেটের সামনে আসার জন্য আমি তখন রান্না করছি। আমি মামুন ভাই কে বললাম সাথে আরেকটি ভাই আছে তাকে আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি আমি রান্না করছি। মামুন ভাই আজকে বাহিরে কাজে গিয়েছিল। বাহিরে থেকে আজকে মামুন ভাই গান বাজানো বক্স নিয়ে এসেছে। আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো আমি একটি গান বাজানো বক্সে নিবো। কিন্তু যাই হোক কোন একটি কারণে সেটা হয়নি।
মামুন ভাইয়া জানে আমি বক্স নিতে চেয়েছিলাম। সে বাহিরে থেকে বক্স নিয়ে এসে আমাকে ফোন দিয়ে রুমে আসতে বলল। গিয়ে দুই ভাই বক্স ঠিক করছিলাম এবং দেখতে পেলাম একটি মাইকে গান চলছে না। সেটি মামুন ভাই আবার দেখছিল গান চলছে কি না। খোঁজা খুঁজি করতে করতে গান হঠাৎ বেজে ওঠে। মামুন ভাই তখন ধীরে ধীরে গোসলের জন্য চলে যায় । এবং আমি বসে গান শুনছিলাম। সে রুমে আসার পরে আমরা খাওয়া-দাওয়ার জন্য বসে যাই। এবং আজকে লাল শাক প্রথম রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক এভাবে পার হয়ে যায় আমার আজকের দিনটা।