মামুন ভাই বাংলাদেশ যাবে তার জন্য কিছু মার্কেট। তৃতীয় পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। যাইহোক আজ আপনাদের মাঝে আবারও মামুন ভাই বাড়ি যাওয়ার জন্য। যে বাজার গুলো করেছিল তার তৃতীয় পর্ব নিয়ে চলে এসেছি। যাইহোক গতো পর্বে বলেছিলাম মেকআপ বক্স নিয়েছিলাম। এবং দোকান ঘুরে ঘুরে আমরা সবাই দেখছিলাম আরো কি জিনিস নেওয়া যায়।
এবং মামুন ভাই কিছু শ্যামপুর সাবান ও মুখে দেওয়া ফেসওয়াশ ভাবির জন্য নিয়ে ছিলো। আমরা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আমি যেহেতু তাদের সহযোগিতা করার জন্য গেয়েছি। তাই তেমন কোনো কাজ ছিলো না সেখানে আমার। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে চশমা দেখছিলাম। চশমা দেখতে দেখতে কয়েকটি ছবিও ধারণ করি। আমি যেহেতু এই দুই বার বাজার করতে গেছি কেউ বাড়ি যাওয়ার জন্য।
আমার বড় ভাই আবু রায়হান ভাই যখন বাড়ি গিয়েছিল তখন বাজার করতে গিয়েছিলাম। এবং এই বার গিয়েছি মামুন ভাইয়ের জন্য। যাই হোক সেখানে চশমা ছিলো অনেক সুন্দর সুন্দর। শুধু দুঃখের বিষয় এটা চোখে দিয়ে কোথাও যেতে পারবো না। পছন্দ হলেও সেখানে আবার রেখে দিয়েছিলাম। আমি বাড়ি যাওয়ার সময় চশমা নিয়ে যাবো তাই ভেবে রেখে দিয়েছি।
যাইহোক সেখানে ছিলো ঘড়ি অনেক সুন্দর সুন্দর। কিন্তু বাংলাদেশে ঘড়ি হাতে দেওয়ার মতো মানুষ এখন খুবই কম আছে। কারণ সবার কাছে এখন মোবাইল আছে সময় দেখার জন্য ঘড়ি এখন খুব বেশি মানুষ ব্যবহার করে না। যাইহোক ঘড়ি গুলো দেখছিলাম তাকিয়ে আমি অবশ্যই কখনো ঘড়ি হাতে ব্যবহার করিনি। কারণ তার কোন প্রয়োজন আমার হয়নি।
সেখানে আরো ছিলো কিছু ফুল গাছের মতো প্লাস্টিকের এগুলো অবশ্যই বাংলাদেশের নিয়ে যাওয়ার জন্য দেখছিলাম না। একটি দোকানে তো অনেক কিছু থাকে সেগুলো আমরা দেখছিলাম। যাহোক চকলেট সবার অনেক প্রিয়। বাংলাদেশের যখনি মানুষ বাড়ি যায় চকলেট না থাকলে হয় না। তাদের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে চকলেট থাকে। অন্য আরেকটি ভাই চকলেট নেওয়ার কথা বলেছিল তার বাড়ি পাঠিয়ে দেবে দুই প্যাকেট। মামুন ভাই নিয়েছিল দুই প্যাকে। এবং সাথে আরও যে ভাই ছিলো সেও দুই প্যাকেট নিয়েছিল।
মোট ৬ প্যাকেট চকলেট সেখান থেকে আমরা নিয়েছিলাম। এবং মামুন ভাই দেখছিল বডি স্প্রে সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর বডি স্প্রে ছিলো। সেখান থেকে মামুন ভাই ৪ পিস বডি স্প্রে নিয়েছিল। আমার কাছে শুনলো কোনটা নিলে ভালো হবে। আমি আমার পছন্দ মতো একটি তাকে নিতে বললাম এবং সে সেখান থেকে চার পিস নিয়েছিল।
যাইহোক তারপরে মামুন ভাই আমাকে আবার ডাক দিলো। সে বলল একটি মাজার বেলের কথা অবশ্যই তার কাছে বেল আছে তবে নতুন একটি নিয়ে যাবে। আমার যে ধরনের বেল পছন্দ সেটা এখানে ছিলো না। যা ছিলো তার মধ্য থেকে আমরা একটি সুন্দর বেল পছন্দ করি। অবশ্যই মামুন ভাই খুব বেশি জিনিস নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলো না। কারণ হঠাৎ করে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা তো তাই কাছে সেরকম ভাবে টাকা নেই।
যাইহোক বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম এবং আরো অনেক কিছু আছে টাকা না থাকলেও বাজার করা শেষ হয়নি। বাড়ি যাওয়ার মুখ আসলে অসুস্থ হোক বা স্বাভাবিক হোক জিনিস নিয়ে যাওয়াই লাগবে বাংলাদেশে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@baizid123 আপনি যেভাবে কেনাকাটার পর্ব লিখছেন দেখে মনে হচ্ছে গোটা মালয়শিয়া বাজার তুলে নিয়ে গেছে দেশে!
তাও যদি এক্ আধটা প্লেনের থেকে ছুঁড়ে আমার ফ্ল্যাটের ছাদে দিয়ে যেতো বুঝতাম।
কি জ্বালাতন যে এইসব মানুষ নিয়ে বলার না।