একটি মানববন্ধন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি জানিনা কেমন হয়েছে সবাইকে পড়ার অনুরোধ করলাম এবং মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
আপনারা সবাই জানেন আমার মাদ্রাসা প্রায় অনেকদিন পর খুলেছেন প্রতিনিয়ত এবং প্রতিদিনের মতোই মাদ্রাসায় যাতায়াত করছিলাম গতকাল রাতে এতই বৃষ্টি হয়েছে যে রাস্তাঘাটে পানি উঠে গিয়েছিল একদম প্রতিদিনের মতোই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া না করেই মাদ্রাসায় রওনা দেই। ক্লাস করতে করতে ছেলেপেলেদের কাছ থেকে শুনলাম আজ নাকি মানববন্ধন হবে। এক ফ্রেন্ডের কাছে আমি একদম আবেগপ্রবণ হয়েই জিজ্ঞেস করলাম কি বিষয় নিয়ে মানববন্ধন হবে আমাদের মাদ্রাসায় তো আগে এরকম কোনদিনই হয়নি। রফিকুল ইসলাম স্যার আমাদের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শুনলাম তার বিরুদ্ধেই নাকি মিছিল হবে তিনি সরকারি মাদ্রাসার গাছ বিক্রি করে ফেলে গাছে যেগুলো ফল হয় সেগুলো বিক্রি করে উন্নয়নের টাকা মেরে খায়।
কথাগুলো শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো প্রিন্সিপাল স্যার আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ আমাদের ছাত্রদের সাথে খুব সুন্দর আচরণ করে সবাইকে বাবা বাবা করে ডাকে কিন্তু ভেতরে ভেতরে এতটা খারাপ মনের মানুষ ছিল এটা জানা ছিল না। প্রিন্সিপাল স্যারকে আমি ভীষণ পছন্দ করিনি ছাত্রদের মুখে এগুলো কথা শুনে আমার একদমই বিশ্বাস হচ্ছিল না নিজেকে বোঝাতে পারছিলাম না এত ভালো মানুষ এতটা খারাপ কিভাবে হতে পারে। ১০ থেকে ক্লাস শুরু হয় ১.৩০ এর ভিতর মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেয়। ক্লাস থেকে বের হয়েই দেখি একজন বড় ভাই সব ছাত্রদেরকে এক স্থানে জড় করছে বেশ আবেগপ্রবণ হয়েই যে দেখি আসলেই মানববন্ধন হবে এজন্য বড় ভাইয়েরা ছাত্রদেরকে নিয়ে প্রস্তুতি হচ্ছে এদিকে মিডিয়া ডেকেছে সাংবাদিকরাও এসেছে।
আসলে কথায় আছে না পাপ করলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত এমনিতেই হয়ে যায় কথাটা হচ্ছে এরকম আসলে আমি দেখছিলাম মাদ্রাসার পুকুরের ডান পাশে অনেকগুলো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে মাদ্রাসার কোন উন্নতি নাই পড়ালেখার মান একদমই ভালো না আমাদের মাধ্যমিক ভবন এবং অফিস ভবন এতটাই পুরনো হয়ে গিয়েছে যে কদিন পর দুটি বিল্ডিংই ধসে যাবে ৪০-৫০ বছর আগে মাধ্যমিক ভবন এবং অফিস ভবন করেছিল অতিরিক্ত অবস্থা খারাপ হওয়াতে শুনলাম ১৫ বছর আগে একবার সবকিছু ঠিক করা হয়েছিল এবং নতুন করে রং করা হয়েছিল।
তিনি নাকি প্রতিটা বছর মৌসুমী ফলের সময় ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী কাউকে না দিয়েই একাই ফল বিক্রি করে অর্থ ভোগ করে। এগুলো অন্যায় কাজে দেখে মাদ্রাসার অনার্স ভবনের বড় ভাইয়েরা এবং মাস্টার্স এ পড়াকালীন বড় ভাইয়েরা আর সহ্য করতে না পেরে মিডিয়ার ডেকে স্যারের বিরুদ্ধে বিচার চায় এবং তাকে এখান থেকে যেন ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে আমি আমার কয়েকজন ফ্রেন্ডরা মিলে মানববন্ধনে যোগদান করি এবং প্রায় ২ টা থেকে নিয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মানববন্ধন করি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে আমার লেখনি শেষ করছি এবং আপনাদের মাঝে বিদায় নিচ্ছি আসসালামু আলাইকুম।
𝐂ςメ@farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | Realme C53 |
Android version: | 13 |
Camera: | 50MP |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | @farhan456 |
আপনি একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে তাই নিয়ে পোস্ট টি শেয়ার করছেন।
প্রিন্সিপাল স্যার কেকেন্দ্রকরে এই মানব বন্ধন।
খুব দ্রুতই যাতে এই সমস্যা সমাধানে আসতে পারেন। সেই প্রত্যাশায় রইল। ধন্যবাদ আপনাকে
আসলে একজন প্রিন্সিপাল হয়ে উনি কিভাবে এই কাজ করে। সেটা আসলে ভেবে পাইনা,,, আমি কেননা উনি একজন শিক্ষিত মানুষ উনি। ওনার উচিত ছাত্রদেরকে সঠিকভাবে পথ চলার দিকনির্দেশনা দেবে। তা না করে উনি নিজেই সরকারি গাছ কেটে ফল বিক্রি করে সেই টাকা,,, নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছে এটা অনেক বড় অন্যায়।
কথায় আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না,, এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাই প্রত্যেকটা মানুষকে পাপ করার আগে দশবার ভেবে নেয়া উচিত। মিথ্যা যেমন চাপা থাকে না তেমনি পাপের প্রায়শ্চিত্তেও আমাদের সবাইকেই করতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের মাদ্রাসায় এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেটা আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। অবশ্যই এই দুর্ঘটনার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন ।
যখন রক্ষকি হয় ভক্ষক তখন বিচার চাই কার কাছে। যাদের কাছ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করবো সেই যদি হয় অন্যায়কারী তাহলে আমরা কার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করব।
আপনাদের প্রতি দোয়া রইল আপনাদের মানববন্ধন সফল হোক।