জামিল মাদ্রাসায় বুখারী খতমের দিন।
হ্যালো এভরিওয়ান,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই কুশল আছেন এবং সুস্থ থেকে সময় গুলো পার করছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি এবং সুস্থভাবেই দিন পার করছি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মনটা ছটফট করছিল জামিল মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য, পরীক্ষার সামনে চলে এসেছে এই সুবাদে পড়াশোনা চাপ থাকায় বাসা থেকে বের হতে পারছে না সারাদিন স্কুল প্রাইভেট করে আসো এবং বাসায় এসে পড়তে বস। কয়েকদিন আগেই জামিল মাদ্রাসায় আমার বেশ কয়েকজন ভাই পড়াশোনা করেন কয়েকদিন ধরেই বলছিল মাদ্রাসায় এসে একবার ঘুরে যেতে বোখারী খতম হবে এবং সবাই সবার ফ্যামিলি মেম্বারদের কে দাওয়াত করবেন।
ভাইয়ারা আমাকে কল করে জানিয়েছিল গত শুক্রবার যেন আমি জামিল মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকি এবং সবার সাথে দাওয়াত গ্রহণ করি। ভাইয়েরা আগে থেকেই সোমবারে কল করে জানিয়েছিল আমাকে। বাসায় থাকতে থাকতে একদম একঘেয়েমি হয়ে গিয়েছে মনটা আমি না কোথাও বের হতে পারছি না কোথাও যেতে পারছি পরীক্ষার আগে নিজেকে পড়ার জন্য বিলিয়ে দিয়ে ব্যস্ত রাখছি।
আল্লাহর অশেষ কৃপায় সকালের সময়টা ঠিকভাবে উঠতে পেরেছি গোসল এবং সকালের নাস্তাটা সেরে নিয়ে ১১ টার ভিতরে রওনা দিয়েছিলাম জামিল মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে জানতে পারলাম বুখারী খতম শুরু হবে আসরের নামাজের পর। এবং মেহমানদেরকে জুমার নামাজের পর দাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে হবে সেই অনুযায়ী সময় করে আমি রওনা দিয়েছিলাম।
যেহেতু বাসা থেকে কিছুটা দূরে ছিল আধা ঘন্টার মত লেগেছে মাদ্রাসায় পৌঁছাতে এবং মাদ্রাসার একটি সমস্যা হচ্ছে মাদ্রাসাটি বেশ বড় কয়েকদিন পরপর ছাত্রদের রুম চেঞ্জ করে দেয় আমার ভাইয়েরা যে রুমে থাকতো আমি সেই রুমে যে ভাইকে খুঁজে পাইনি পরে বেশ খানিকক্ষণ নাম বলে বলে খোঁজার পর ভাইয়ের হলটি খুঁজে পাই।
চলুন জামিল মাদ্রাসা নিয়ে কিছু আলোচনা করি জামিল মাদ্রাসার সম্পূর্ণ নাম: আল জামিয়া আল ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম বগুড়া (সংক্ষেপে জামিল মাদ্রাসা) এটি বগুড়া জেলার কলোনিতে অবস্থিত। এই মাদ্রাসাতে একটি কওমি মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা ১৯৬০ সাল থেকে চালু হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে মাদ্রাসাটি চলতে থাকে এবং ১৯৭১ সালে মাদ্রাসাটি স্বাধীনতার যুদ্ধের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এবং আবার পুনরায় ১৯৮১ সাল থেকে এখনো চলে আসছে।
এরপর জুমার নামাজ শেষ করে ভাইয়েদের সাথে দাওয়াতে অংশগ্রহণ করি প্রায় ৫ হাজার মানুষ হয়েছিল বুখারী খতমের দিন আমরা ভাইয়েরা মিলে সবাই তাড়াতাড়ি ঢুকে পড়ি হলের ভেতর তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে ভাইয়েদের রুমে চলে আসি বেশ কিছুক্ষণ গল্প করতে করতেই আসরের নামাজ জন্য আযান দিয়ে দেয় আসরের নামাজ আদায় করার পর বুখারী খতম শুরু হয় এবং বেশ অনেক কিছু হয়েছিল যা এই একটি পোস্টে লিখে বলা সম্ভব না।
আসরের নামাজের পর থেকে রাত ৯ টা অব্দি বুখারী খতমের কার্যকলাপ চলতে থাকে এবং আমি বেশি রাত পর্যন্ত না থাকতে পারায় সন্ধ্যার পরই বাসায় ফেরার পথে রওনা দিয়ে দেই।
জামিল মাদ্রাসায় বুখারী খতমের দিন আপনার দাওয়াত ছিল এবং সেখানে আপনি উপস্থিত হয়েছেন। জামিল মাদ্রাসা বিভিন্ন তথ্য আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম। যারা বুখারী খতম দিয়েছেন সকল ভাইদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনি এই তথ্যটি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ভালো থাকবেন।
আচ্ছা আপনি জামিল মাদরাসায় ঘুরতে গিয়েছেন। কারণ সেখানে বুখারীর খতম শুরু হবে, সেজন্য একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আপনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত অনেক কিছুই আলোচনা করেছেন। আসলে এ বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আমার জন্য ভালো লাগছে আপনি মাদ্রাসায় পড়েন এবং মাদ্রাসার সব নিয়ম মেনে চলেন আজ আপনি গিয়েছিলেন আপনার এক বড় ভাইয়ের মাদ্রাসাতে,জামিল মাদ্রাসায় বুখারী খতমের অনুষ্ঠানে, সেখানে গিয়ে আপনি ভালো আনন্দ উপভোগ করেছেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা
খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি কারণ আজকে আপনি একটা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন সেখানে বুখারী খতম শুরু হবে আর এই উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।।
আপনি মাদ্রাসা সম্পর্কে আরও আলোচনা করেছেন যেগুলো খুবই ভালো লেগেছে।।