ভ্রমণময় শীতের সকাল।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম এভরিওয়ান আশা করি সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। মোটামুটি ভালো না বললেও হয় না বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর সর্দি ও কাশিতে ভুগছি হঠাৎ করে সিজেন পরিবর্তন হাওয়াতে প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশি হচ্ছে।
প্রথমত সবাইকে জানিয়ে রাখি ৫ তারিখ থেকে আমার পরীক্ষা শুরু এর ফলে আপনাদের মাঝে আমি কন্টিনিউ থাকতে পারবো না এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এবং সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।
গতকালকে মূলত একটু দরকারি কাজে মামা বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল, খুব সকালেই নানু ডাক দিয়ে বলে একটু দরকারী কাজে গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে আমি বিষয়টি বুঝতে পারলাম না হঠাৎ করেই এত সকালে কিসের জন্য গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে কিছুক্ষণ পর নানু চালানো গ্রামের বাড়িতে মামার একটি জায়গা আছে ওই জায়গায় আম্মু বাসা বানানোর প্ল্যান করেছে এর জন্য মামার কাছে নানু কথা বলার জন্য যাচ্ছে।
বেশ সুন্দর একটি সকাল সুন্দর মনোরম পরিবেশ বেশ ভালো লাগছিল এত সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া না করেই ভোর ছয়টার ভেতরে আমি আর নানু রওনা দিয়েছিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। আমাদের এখান থেকে গ্রামের বাড়ি যেতে হলে প্রথমত একটি অটো রিকশা নিয়ে মাটিয়া ডালির যেতে হয় এবং তারপর বাসে চড়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়।
যেহেতু বেশি সকাল ছিল এর জন্য সহজে আমরা গাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না বাসা থেকে বেশ অনেকটা হেঁটে যাওয়ার পরে একটি অটোরিকশা পেয়েছিলাম অটো রিক্সায় চড়ে আমরা বাসস্ট্যান্ড পৌঁছানোর অত সকালে আমাদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস সহজে ভাবছিলাম না একদম ঢাকা টু জয়পুরহাটের বাস বেশি ছিল ঢাকা টু রংপুরের বাস একদমই আসছিল না বেশ অনেকক্ষণ পরেই একটি লোকাল বাস এসেছিল আমরা প্রায় নিরুপায় হয়েই লোকাল বাসে সত্যি হয়েছিল এবং সারা রাস্তায় লোকাল বাস দাঁড়া করিয়ে লোক নেয়।
বাসে চড়ার পর বেশ ১০-১৫ মিনিট পর আস্তে আস্তে বাস চলা শুরু করে আমার পাশের সিটে একজন মুরুব্বী আঙ্কেল বসে ছিলেন শীতের সকাল বেশ বাতাস দিচ্ছিল গাড়ি দ্রুত চলার ফলে সাথে বেশ গল্প গুজব করছিলাম আঙ্কেল আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করল আমি কিসে পড়ি কোথায় পড়ি আমি বেশ হাসি মুখেই আংকেলের সব উত্তর দিই।
বেশ ভালই লাগছিল সকালবেলার জার্নিটা এরকম সকাল-সকাল জার্নি আমার আগে কোনদিন করা হয়নি ফার্স্ট টাইম এত সকালে কোথাও যাওয়া হয়েছিল বেশ ভালো লাগছিল জানালা দিয়ে দেখছিলাম বেশ সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতেই বাড়ির কাছে চলে এসেছিলাম বাজারের ভিতরে দেখছিলাম সবাই কলার বড় বড় কান্দা নিয়ে বসেছে এক প্রকার কলার হাট বসেছিল পাইকারি ধরে সবাই বিক্রি করছিল এক একটা বড় বড় কলার কান্দা।
এইদিকে মামা আরেকবার কল করে জানতে চাইলো আমরা কতদূর রয়েছি বাজারে অপেক্ষা করছিল মামা সকালের নাস্তা টা বাজারে সেরে নিয়েই বাড়িতে যাব একেবারে আমাদেরকে জানিয়েছিল। মামা বাড়িতে যেতে আমাদের প্রায় বগুড়া থেকে ২ ঘন্টার পথ হয়ে থাকে সকাল সকাল রাস্তা ফাঁকা থাকায় আমরা 1.20 মিনিটের ভেতরেই পৌঁছে গিয়েছিলাম এভাবে আমার সকাল বেলার এবং ভোর সকালের শীতের প্রয়াসে ভ্রমণ শেষ হয়।
আজকের মত আমার লেখনি এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
শীতের মৌসুমে সকাল সকাল জার্নি করার মজাই আলাদা। শীতের সকালের জার্নিতে অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। সামনে আপনার পরিক্ষা তাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন আপনিও।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । অবশ্যই দোয়া করি পরীক্ষা যেন ভালো ফলাফল করতে পারেন।আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য
TEAM 2
Congratulations! This post has been upvoted through Curation Team#2. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন ৫ তারিখ থেকে আপনার পরীক্ষা শুরু।আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। শীতকালটাই ঘোরাঘুরির জন্য পারফেক্ট। এসময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে বলে আমরা ঘোরাঘুরির জন্য এ সময়টাকেই বেছে নিই।