স্বরচিত কবিতা|| মনে পড়ে বাবাকে।
আসসালামু আলাইকুম এভরিওয়ান আশা করি সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে আসার ট্রাই করি যেহেতু এই প্লাটফর্মে মাতৃভাষা বাংলার সব কিছু নিয়েই উপস্থাপন করা যায়। ভাবলাম আপনাদের মাঝে স্বরচিত একটি কবিতা আবৃত্তি করব।
আজকে যে বিষয়টি নিয়ে নিজের লেখা স্বরচিত কবিতা শেয়ার করতে যাচ্ছি তা নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু আলোচনা করি। অনেক ছোটবেলায় যখন ঢাকার এক মাদ্রাসায় পড়তাম মাদ্রাসা থেকে একটি হাম নাত এবং কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা চলছিল।
প্রতিযোগিতার সময় একদিন শুয়ে থাকতে থাকতে কিভাবে জানি একটি নিজে নিজেই কবিতা বানিয়ে ফেলেছিলাম আমি নিজেও বলতে পারবো না আমি কিভাবে এই কবিতাটি বানালাম হঠাৎ করে একটি শব্দের সাথে আরেকটি শব্দের মিল করে করে বিভিন্ন কথা বলছিলাম শব্দের সাথে মিল হতে হতে হঠাৎ করে যেন এই কবিতাটি হয়ে গিয়েছিল। পরে যথাক্রম ভাবে তাড়াতাড়ি নিজের একটি খাতায় লিখে ফেলেছিলাম এবং শব্দগুলোর সাথে আরেকটু সুন্দর সুন্দর শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলাম।
সবশেষে শব্দের সাথে সব মিল দেখে সুন্দর একটি কবিতা তৈরি হয়েছিল এই কবিতাটি প্রতিযোগিতায় বলেছিলাম জানিনা কেন জানি প্রথমে স্থান অর্জন করতে পারিনি কিন্তু দ্বিতীয় স্থান অর্জন কি করেছিলাম এবং মাদ্রাসার ম্যাগাজিন ও আমার কবিতাকে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল চলুন কবিতাটি পড়ে আসি।
শৈশবকালে বেড়াতাম যে বাবার হাতটি ধরে; কোলে তুলে নিত আমায় অনেক আদর করে।
সরিষাক্ষেতে আমায় নিয়ে বাবা যখন চলতো; কাজের ফাঁকে আমার সাথে কত কথা বলতো।
অনেক মজার গল্প বলতো আমার প্রিয় বাবা এই দুনিয়ায় বাবার মতো আর আছে হায় কেবা ।
জীবন জুড়ে যদি ঝড় হয়, দুঃখ, কষ্ট বেদনা; ধৈর্য ধারণ করবে তুমি হতাশ হয়ে কেঁদো না ।
কত দিন হয় এসব কথা শুনি না যে আমি মোর বাবাকে ভাল রেখো ওগো অন্তর্যামী।
অনেক আফসোস ছিল এই কবিতাটি আবৃত্তি করার সময় বাবা আমার পাশে ছিল না। বাবা আমাদের বটগাছের ছায়াতল নিজের গায়ে রোদের তাপ লাগিয়ে নিজের সন্তানদেরকে পরিবারকে আশ্রয়ের ছায়াতল সব সময় দিয়ে থাকে।
বাবারা কোনদিন নিজের স্বার্থ হাসিল করতে পারে না তারা কোনদিন নিজেরটা নিয়ে চিন্তা করে না নিজে দুটি ভাত মুখে দেওয়ার আগে একবার জিজ্ঞেস করে নেয় আমার সন্তানরা কি খেয়েছে। আসলেই বাবারা অনেক নিঃস্বার্থ হয়ে থাকে।
আসলে আপনার মত আমিও মাঝে মাঝে যখন নিজে চুপচাপ বসে থাকি। তখন নিজে নিজেই কিছু কথা বলতে শুরু করি। আর সেভাবেই আমার মনে হয় সেই কথাগুলো একটা আরেকটা শব্দের সাথে জুড়ে দিলেই,, কবিতার মত মনে হয়। আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি কবিতা লেখার জন্য।
আমাদের বাবা আমাদের জন্য কত কিছুই না করে। আজকে আপনি বাবাকে নিয়ে চমৎকার একটা কবিতা আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। আপনার কবিতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা মতামত দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি যে কবিতাটি লিখেছেন অনেক সুন্দর লাগলো ৷ প্রতিটি শব্দের মিল রয়েছে ৷ বাবাকে নিয়ে এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপাস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য জেনে ভালো লাগছে যে আপনি কবিতাটি পড়ে অনেক আনন্দ পেয়েছেন।
বাবা কে নিয়ে কবিতা একজন বাবা তার পরিবারের জন্য বটবৃক্ষ।এই বটবৃক্ষ তার ছায়ায় খুব যত্ন করে রাখে পুরো পরিবার কে।তার কথা বলে শেষ করার নয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতা টি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাবা ৫বছর আগে মারা গেছেন যার কারনে বাবাকে সবসময়ই খুব মিস করি।আপনার কবিতাটা পড়তেছিলাম আর তার কথা মনে পরে যাচ্ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে বাবাকে নিয়ে এত সুন্দর করে একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আজকের পোস্টটি খুবই চমৎকার হয়েছে।।। আমিও মাঝে মাঝে যখন একা একা থাকি তখন অনেক কিছু মাথায় চলে আসে তখন এগুলো বলতে থাকি তখন খুবই ভালো লাগে।।।
আমাদের বাবা আমাদের ভালোর জন্য কতই না কষ্ট করে।। আর আজকে আপনি বাবাকে নিয়ে খুব চমৎকার আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লেগেছে।।